ঢাবি ছাত্রলীগের আহ্বানে শিক্ষার্থীদের একাডেমিক সমস্যা লাঘব


ঢাকা | Published: 2021-04-12 03:48:17 BdST | Updated: 2024-04-26 18:21:51 BdST

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বিজ্ঞান অনুষদের অন্তর্ভুক্ত বিষয়গুলোতে ফলাফল দেরিতে দেয়া, পুনঃভর্তি হওয়া, অনেক বেশি শিক্ষার্থীর অকৃতকার্য হওয়ার বাস্তবতার কারণে শিক্ষার্থীরা বিভিন্ন রকমের প্রতিবন্ধকতার সম্মুখীন হয়ে থাকেন। ৭-৮ মাস এক বর্ষে ক্লাস-টিউটোরিয়াল-এ্যাসাইনমেন্ট-ল্যাব করে অকৃতকার্য হওয়ার কারণে তারপর আবার অল্প কয়েক দিনের প্রস্তুতিতে ক্লাস-টিউটোরিয়াল-এ্যাসাইনমেন্ট-ল্যাব না করেই আগের বছরের পরীক্ষায় অংশ নিতে হয়।

বাড়তি হিসেবে পুনঃভর্তির হওয়ার দীর্ঘ প্রক্রিয়া, জরিমানা, উপস্থিতির নিম্ন হার, অনুমতি পাওয়া না পাওয়ার আশংকা তো রয়েছেই। ফলাফলজট ও ব্যবস্থাপনাগত এই ত্রুটির কারণে অনেক শিক্ষার্থীকেই বাড়তি সময় নিয়ে স্নাতক-স্নাতকোত্তর শেষ করতে হয়, অনেকজনকে ড্রপ আউটও হতে হয়। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের মেধাবী শিক্ষার্থীদের জন্য এটি মানসিকভাবে পীড়াদায়কও বটে। বিশ্ববিদ্যালয়ের কাঠামোগত অনিয়মের ভুক্তভোগী হতে বহু শিক্ষার্থীকে।

গত বছর ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের দাবির আলোকে বিজ্ঞান অনুষদসহ বেশ কয়েকটি অনুষদে সাপ্লিমেন্টারি পরীক্ষা চালুর মাধ্যমে শিক্ষার্থীদের বিশেষ পরীক্ষায় অংশগ্রহণের সুযোগ করে দিয়ে পরবর্তী ক্লাসে উত্তীর্ণ হওয়ার সুযোগ করে দেয়া হয়েছিল। আমাদের আন্দোলন-সংগ্রামের কারণেই অনেকগুলো বিভাগের ফলাফলজট কমে ৬-৭ মাস থেকে ২ মাসে এসে পৌঁছেছিল।

চলতি সেশনের শিক্ষার্থীদের দুর্ভোগ ছিল আরো অনেক বেশি। পূর্বোক্ত সমস্যাগুলোর সাথে এবার যুক্ত হয়েছিল করোনা মহামারী জনিত বাস্তবতা। উত্তীর্ণ না হতে পারার কারণে এবার আশঙ্কা ছিল আরো বাড়তি ২ বছরের সেশনজট হওয়ার। শিক্ষার্থীদের স্বতস্ফূর্ত আন্দোলন, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের নেতৃত্বে কর্মসূচী ও প্রশাসনের প্রতি আহ্বানের প্রেক্ষিতে এ বছরের জন্য সকল বর্ষের শিক্ষার্থীদের পরবর্তী বর্ষে উন্নীত হওয়ার জন্য সিজিপিএ ২/২.২৫/২.৫০থেকে সিজিপিএ ২.০০ নির্ধারণ করা হয়েছে। ডীনস কমিটিতে গৃহীত এই সিদ্ধান্ত ইতিমধ্যে সংস্লিষ্ট বিভাগগুলোকে জানিয়ে দেয়া হয়েছে।

সফল এই ছাত্র আন্দোলনের কারণে বিজ্ঞান অনুষদের প্রায় দেড়শত শিক্ষার্থীর শিক্ষাজীবন স্বাভাবিক থাকার পথ উন্মুক্ত হল। সেশনজটের আশঙ্কা, একাডেমিক জটিলতা, মানসিক পীড়া, আর্থিক দায়ভারসহ অন্যান্য প্রাসঙ্গিক সমস্যার সমাধানও এই সিদ্ধান্তের মাধ্যমে বাস্তবায়িত হল।

জয় বাংলা, জয় বঙ্গবন্ধু।

লিখেছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক সাদ্দাম হোসেন