হাফ ভাড়া দিতে চান জাবি কর্মকর্তা, না নেওয়ায় বাস ভাঙচুর


Desk report | Published: 2023-03-30 04:26:49 BdST | Updated: 2024-04-18 13:16:17 BdST

ভাড়া কম দেওয়াকে কেন্দ্র করে ঠিকানা পরিবহনের একটি বাস ভাঙচুরের অভিযোগ উঠেছে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের (জাবি) শারীরিক শিক্ষা অফিসের উপ-পরিচালক এস এম সাদাত হোসেনের বিরুদ্ধে। বিশ্ববিদ্যালয়ের কর্মকর্তা হয়ে তিনি শিক্ষার্থী ভাড়া (হাফ ভাড়া) দিতে চেয়েছিলেন বলে দাবি বাসের কন্ট্রাক্টরের।

বুধবার (২৯ মার্চ) বিকেল ৪টার দিকে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান ফটকে এ ঘটনা ঘটে।

প্রত্যক্ষদর্শী সূত্রে জানা যায়, বিশ্ববিদ্যালয়ের কর্মকর্তা এস এম সাদাত হোসেনের কাছে সর্বনিম্ন ভাড়া ১০ টাকা দাবি করেন ঠিকানা বাসের (ঢাকা মেট্রো-ব ১৫-০৬৫৬) কন্ট্রাক্টর। তবে ১০ টাকা ভাড়া দিতে অস্বীকৃতি জানান সাদাত হোসেন। তিনি পাঁচ টাকা ভাড়া দেবেন বলে জানান। এ সময় বাস কন্ট্রাক্টর সাদাত হোসেনকে আবারো বলেন সর্বনিম্ন ভাড়া ১০ টাকা। তাতেই ক্ষেপে যান সাদাত হোসেন। পরবর্তীতে বাসটি বিশ্ববিদ্যালয়ের সামনে এলেই তিনি গ্লাস ভাঙচুর করেন।

বাসচালক মোহাম্মদ সোহাগ গণমাধ্যমকে বলেন, ‘উনি সাভার থেকে উঠে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের সামনে এসে নেমেছেন। উনার ভাড়া ১০ টাকা। উনি পাঁচ টাকার বেশি দেবেন না। পরে কন্ট্রাক্টর তাকে বললো ভাড়া হয় ১০ টাকা। কিন্তু উনি খুব রেগে গেলেন। স্টুডেন্ট ভাড়া হলে আমরা পাঁচ টাকা রাখি। উনি তো স্টুডেন্ট না। এজন্য তাকে সর্বনিম্ন ভাড়া ১০ টাকা দিতে বলা হয়। কিন্তু তিনি রেগে বাসের গ্লাস ভাঙচুর করছে। উনি পাঁচ টাকার জন্য আমার ২৫ হাজার টাকার ক্ষতি করল।’

এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের শারীরিক শিক্ষা অফিসের উপ-পরিচালক এস এম সাদাত হোসেন গণমাধ্যমকে বলেন, ‘আমি সাভার সিটি সেন্টারের সামনে থেকে বাসে উঠি। রেডিও কলোনিতে নামতে চেয়েছি। রেডিও কলোনি পর্যন্ত সরকার নির্ধারিত ভাড়া সাড়ে তিন টাকার একটু বেশি। কিন্তু সেখানে তারা ভাড়া ১০ টাকা রাখতে চায়। বাসে আরও অনেকে ছিলেন। তারাও ভাড়া বেশি দিতে অস্বীকার করে। পরে আমি ভাড়া বেশি দিতে অস্বীকার করলে তারা আমাকে অপদস্থ করে। পরে আমি জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান ফটকে বাসকে দাঁড়ানোর জন্য সিগন্যাল দিলেও তারা ওভারটেক করে যাওয়ার চেষ্টা করে। ফলে আমি একটি ঢিল ছুঁড়ি। তবে ভাঙচুরের কোনো ঘটনা ঘটেনি।

এ বিষযে বাসে থাকা জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের ৪৬তম ব্যাচের এক শিক্ষার্থী নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেন, আমরা কয়েকজন বাসে ছিলাম। উনি যেভাবে ভাঙচুর করলেন তা অমানবিক। আমাদের চোখে-মুখে কাচ লাগতে পারতো। পাঁচ টাকা নিয়ে উনার এমন আচরণ দুঃখজনক। তারপরও উনি যদি শিক্ষার্থী হতেন সেটা আলাদা কথা ছিল। এসব কারণেই বাসগুলোতে শিক্ষার্থীদের তুলতে চায় না।

বিশ্ববিদ্যালয়ের কর্মকর্তাকে অপদস্থ করার বিষয়ে জানতে চাইলে বিশ্ববিদ্যালয়ের ৪৬তম ব্যাচের ওই শিক্ষার্থী বলেন, সাভার থেকে উনি (এস এম সাদাত হোসেন) বাসে উঠেন। এর মধ্যে আমরা কোনো ধরনের তর্কাতর্কি শুনিনি।

এ বিষয়ে জানতে বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার রহিমা কানিজকে একাধিকবার কল করা হলেও তিনি রিসিভ করেননি। সূত্র ঢাকা পোস্ট