বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ে (বাকৃবি) নিজস্ব ডিজাইনকৃত ‘বিএইউ-এডিআই হরটিকুল কোল্ড স্টোরেজ’ এর উদ্বোধন অনুষ্ঠিত হয়েছে।
শুক্রবার (১৭ মে) বিকাল সাড়ে ৪ টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের কৃষি প্রকৌশল ও প্রযুক্তি অনুষদের ওয়ার্কশপে বাকৃবির ওই কোল্ড স্টোরেজ এর উদ্বোধন করেন উপাচার্য অধ্যাপক ড. এমদাদুল হক চৌধুরী। ‘কোল্ড স্টোরেজ সলিউশন ফর রিডিউসিং পোস্ট হারভেস্ট লসেস অব ফ্রুটস এন্ড ভেজিটেবলস ইন বাংলাদেশ’ প্রকল্পের আওতায় ডাচ বাংলা ব্যাংকের অর্থায়নে প্রাথমিকভাবে ওই স্টোরেজ ডিজাইন করা হয়। পরবর্তীতে গবেষণা করে এটি আরও উন্নত করা হবে।
উদ্বোধনের আগে ডিন অফিসের সম্মেলন কক্ষে দিনব্যাপী ‘বিএইউ-এডিআই হরটিকুল কোল্ড স্টোরেজ’ পরিচিতি ও প্রশিক্ষণ কর্মশালা অনুষ্ঠিত হয়। ময়মনসিংহ বিভিন্ন উপজেলার কৃষি উদ্যোক্তাদের নিয়ে ওই প্রশিক্ষণ কর্মশালার আয়োজন করা হয়।
‘বিএইউ-এডিআই হরটিকুল কোল্ড স্টোরেজ’ বাংলাদেশে ফল ও শাকসবজির কার্যকরী জীবনকাল এবং গুণমান উন্নত করে। এই কোল্ডস্টোরেজ পরিবেশবান্ধব ডিজাইন যা ফলনোত্তর কৃষি পণ্য সংরক্ষণ নিশ্চিত করে। এটি সৌর ও গ্রিড বিদ্যুৎ শক্তির মাধ্যমে পরিচালনা করা যায়। এই কোল্ড স্টোরেজ বাসাবাড়ির বিদ্যুৎ লাইনে চলতে পারে।
এ সময় ‘বিএইউ-এডিআই হরটিকুল প্রজেক্টের প্রধান গবেষক অধ্যাপক ড. চয়ন কুমার সাহার সভাপতিত্বে এবং এগ্রোমেক ডেভেলপমেন্ট ইনিশিয়েটিভসের (এডিআই) কো-অর্ডিনেটর ড. সুরজিৎ সরকারের স ালনায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বাকৃবি উপাচার্য অধ্যাপক ড. এমদাদুল হক চৌধুরী। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন কৃষি প্রকৌশল ও প্রযুক্তি অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. জয়নাল আবেদীন। এছাড়াও ফারহান আহমেদ খানসহ ডাচ বাংলা ব্যাংকের প্রতিনিধিবৃন্দ ও কৃষি কর্মকর্তারা এ সময় উপস্থিত ছিলেন।
এ সময় প্রধান গবেষক অধ্যাপক ড. চয়ন কুমার সাহা বলেন, সরকার এখন নবায়নযোগ্য শক্তি ব্যবহারের উপর জোর দিয়েছেন। আমরা এ বিষয়টিকে গুরুত্ব দিয়ে এই হাইব্রিড সিস্টেমটি তৈরি করেছি। এটি সোলার, ব্যাটারি এবং বৈদ্যুতিক সংযোগে স্বয়ংক্রিয় প্রক্রিয়ায় স্বতন্ত্রভাবে চলতে সক্ষম হবে। এর একটি বিশেষ সুবিধা হলো এটি ২২০ ভোল্টেজের একক লাইনে চলবে। আরেকটি সুবিধা হলো এটি সহজেই এক জায়গা থেকে অন্য জায়গায় স্থানান্তর করা যায়। এছাড়াও বিভিন্ন সেন্সর সংযুক্ত করে এটি সহজে ব্যবহারযোগ্য করা হয়েছে। মোবাইলের মাধ্যমে এটি পর্যবেক্ষণ করা সম্ভব হবে। প্রাথমিক খরচ বেশি হলেও পরবর্তীতে তেমন আর খরচ নেই।
এ সময় বাকৃবি উপাচার্য অধ্যাপক ড. এমদাদুল হক চৌধুরী বলেন, বাংলাদেশে সবচেয়ে বড় সমস্যা সিজনের সময় ফল, শাকসবজি সবচেয়ে বেশি উৎপাদিত হয়। পরবর্তীতে সংরক্ষণের অভাবে সেগুলো পাওয়া যায় না। খামারিরা বেশি পণ্য উৎপাদনের ফলে অনেক সময় ন্যায্য মূল্য পায় না। এই যন্ত্র পণ্য সংরক্ষণে ভূমিকা রাখবে যাতে কৃষকরা তাদের পণ্যগুলো সংরক্ষণ করতে পারবে। ভবিষতে বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান এসব যন্ত্র ডিজাইনে অর্থায়ন করবে বলে আমি আশাবাদী।