একগুচ্ছ কর্মসূচি ও আয়োজনের মধ্যদিয়ে কবিগুরু রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের ১৬৩তম জন্মজয়ন্তী জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম বিশ্ববিদ্যালয়ে পালন করা হয়েছে। জন্মজয়ন্তী উপলক্ষ্যে শুক্রবার (২৪ মে) বিকেল তিনটায় বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনিক ভবনের কনফারেন্স কক্ষে আয়োজিত হয় আলোচনা সভা।
সভায় সভাপতিত্ব করেন ট্রেজারার ও উপাচার্য (রুটিন দায়িত্ব) প্রফেসর ড. আতাউর রহমান। অনলাইনে যুক্ত হয়ে সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্য দেন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য প্রফেসর ড. সৌমিত্র শেখর।
উপাচার্য তাঁর বক্তব্যে বলেন, রবীন্দ্রনাথ তাঁর সময়ের মার্কিন সাম্রাজ্যবাদের বিরূপতার উত্তর দিতে পেরেছিলেন। মূলত বাঙালির যে অহংবোধ, সেখানে যদি কেউ আঘাত করে তার কিন্তু প্রত্যাঘাত হয়। অতএব আঘাত করার মানসিকতা থেকে দূরে সরে যেতে হবে।
বিশ্বে অশান্তি ও অমানবিকতার দৃষ্টান্ত দিয়ে তিনি বলেন, রবীন্দ্র দর্শনের মূলকথা বিশ্বশান্তি এবং তা প্রতিষ্ঠা। ‘দেবে আর নেবে, মিলাবে মিলিবে, যাবে না ফিরে’--এটাই রবীন্দ্রনাথের বাণী। আসুন, আজকে সবাই রবীন্দ্রনাথের এই বাণী দিয়ে দুহাত সম্প্রসারিত করি। বিশ্বে শান্তি প্রতিষ্ঠিত হোক।
সভায় বিশেষ অতিথির বক্তব্য দেন কলা অনুষদের ডিন প্রফেসর ড. মুশাররাত শবনম। গানের সুরের মধ্য দিয়ে ‘রবীন্দ্রনাথের গান: কথা ও সুর’ শীর্ষক প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন বিশিষ্ট রবীন্দ্র সঙ্গীতশিল্পী সাজেদ আকবর। গানের সুরে ও কথায় বক্তব্য দেন বিশিষ্ট রবীন্দ্র সঙ্গীতশিল্পী সালমা আকবর। শুভেচ্ছা বক্তব্য দেন রেজিস্ট্রার কৃষিবিদ ড. মো. হুমায়ুন কবীর। স্বাগত বক্তব্য দেন সেমিনার উপ-কমিটির আহ্বায়ক প্রফেসর ড. মো. মাহবুব হোসেন। সঞ্চালনা করেন ইংরেজি ভাষা ও সাহিত্য বিভাগের বিভাগীয় প্রধান রায়হানা আক্তার প্রমুখ