নজরকাড়া লুকে আসছে ভিভো ওয়াই৩৬


Dhaka | Published: 2023-06-10 22:43:30 BdST | Updated: 2024-04-27 15:27:10 BdST

যদি স্মার্টফোনেও মেলে ক্রিস্টাল গ্লাসের নান্দনিক বাহার, তবে কেমন হয়? গ্লোবাল স্মার্টফোন নির্মাতা প্রতিষ্ঠান ভিভো দেশে নিয়ে আসছে ওয়াই৩৬। ওয়াই সিরিজের এই নতুন স্মার্টফোনে মিলবে ক্রিস্টাল গ্লাসের নান্দনিকতা যা ওজনেও বেশ হালকা।
ফ্যাশনপ্রেমিদের জন্য বিষয়টা সুখবরই বটে। ওয়াই৩৬ এর ব্যাক সাইডের কভারে আছে সোনালি ও সবুজের মিশ্রণ। দেখলেই মনে হবে আলো খেলা করছে। গোল্ডেন রিপল প্রসেসের এই নান্দনিকতা মুগ্ধ করবে সবাইকে।

ভাইব্রেন্ট গোল্ড এবং মিটিওর ব্ল্যাক এই রঙে পাওয়া যাবে ওয়াই৩৬। ব্যাকসাইড যেন দাগ ও হাতের ছাপ থেকে সুরক্ষিত থাকে, এজন্য এতে ব্যবহৃত হয়েছে ফ্লোরাইড এজি গ্লাস প্রযুক্তি।

ভিভো ওয়াই৩৬ এ থাকবে ৫ হাজার মিলিঅ্যাম্পিয়ারের শক্তিশালী ব্যাটারি, যা দেবে নিরবিচ্ছিন্ন ব্যবহারের অভিজ্ঞতা। এতে রয়েছে ওয়াই সিরিজের নতুন আকর্ষণ ৪৪ ওয়াটের ফ্লাশ চার্জার। ওয়াই সিরিজের স্মার্টফোনগুলোর মধ্যে এটাই সর্বোচ্চ ক্ষমতাসম্পন্ন চার্জার।

কোয়ালকম স্ন্যাপড্রাগন ৬৮০ প্রসেসর ও ৮জিবি র‍্যাম স্টোরেজের কারণে ওয়াই৩৬ এর কার্যক্ষমতা বেশ ভালো। চাইলে এর স্টোরেজ সক্ষমতা বাড়ানো যাবে আরো ৮ জিবি পর্যন্ত। এতে কোনো বাধা ছাড়াই চলবে ২৭টিরও বেশি অ্যাপ। একসাথে একাধিক অ্যাপ খুব সহজেই ব্যবহার করা যাবে।
দুর্দান্ত স্মার্টফোনটির ক্যামেরার মুডে আসছে নতুন সংযোজন ডাবল এক্সপোজার। দুইটি ছবিকে এক করে কাজ করাটা সহজ করে দিবে। এতে আছে ৫০ এমপি রিয়ার ক্যামেরা+২ এমপি মাইক্রোক্যামেরা, ১৬ এমপি ফ্রন্ট ক্যামেরা।
গরমে, বৃষ্টিতে বা ঠান্ডায় যেখানেই থাকুন ফ্যাশন আর কাজে ভিভো ওয়াই৩৬ হতে পারে ‘কুল’ সহযোগী।

ভিভো প্রসঙ্গে
ভিভো একটি প্রযুক্তিভিত্তিক প্রতিষ্ঠান যা মানুষের চাহিদাকে প্রাধান্য দিয়ে স্মার্ট ডিভাইস ও ইন্টেলিজেন্ট সার্ভিসের মাধ্যমে পণ্য উৎপাদন করে। মানুষ আর ডিজিটাল ওইয়ার্ল্ডের মধ্যে সেতুবন্ধন তৈরি করাই প্রতিষ্ঠানটির উদ্দেশ্য। অনন্য সৃজনশীলতার মাধ্যমে ভিভো ব্যবহারকারীদের হাতে যথোপযুক্ত স্মার্টফোন ও ডিজিটাল আনুষাঙ্গিক তুলে দিচ্ছে। প্রতিষ্ঠানের মূল্যবোধকে অনুসরণ করে ভিভো টেকসই উন্নয়ন কৌশল বাস্তবায়ন করেছে; সমৃদ্ধ ও দীর্ঘস্থায়ী বিশ্বমানের প্রতিষ্ঠান হওয়াই যার ভিশন।

স্থানীয় মেধাবী কর্মীদের নিয়োগ ও উন্নয়নের মাধ্যমে শেনজেন, ডনগান, নানজিং, বেজিং, হংঝু, সাংহাই, জিয়ান, তাইপে, টোকিও এবং সান ডিয়াগো এই ১০টি গবেষণা ও উন্নয়ন কেন্দ্রে (আরএন্ডডি) কাজ করছে ভিভো। যা স্টেট-অফ-দ্য-আর্ট কনজ্যুমার টেকনোলজির উন্নয়ন, ফাইভজি, আর্টিফিসিয়াল ইন্টেলিজেন্স, ইন্ডাস্ট্রিয়াল ডিজাইন, ফটোগ্রাফি এবং আসন্ন প্রযুক্তির ওপর কাজ করে যাচ্ছে। চীন, দক্ষিণ ও দক্ষিণপূর্ব এশিয়ায় ভিভোর পাঁচটি প্রোডাকশন হাব আছে (ব্র্যান্ড অথোরাইজড ম্যানুফ্যাকচারিং সেন্টারসহ) যেখানে বছরে প্রায় ২০০ মিলিয়ন স্মার্টফোন বানানোর সামর্থ্য আছে। এখন পর্যন্ত ৬০টিরও বেশি দেশে বিক্রয়ের নেটওয়ার্ক আছে ভিভোর এবং বিশ্বজুড়ে ৪০০ মিলিয়নের বেশি ভিভো স্মার্টফোন ব্যবহারকারী রয়েছে।