মা-বাবাহীন এতিম শিক্ষার্থীদের নিয়ে ঈদ উদযাপন করলো ছাত্রলীগ


Dhaka | Published: 2024-04-11 20:13:56 BdST | Updated: 2024-04-30 04:14:28 BdST

কারো মা নেই, কারো বাবা নেই আবার কারো বাবা-মা দুজনই বেঁচে নেই। এই ঈদে তারা বাড়ি যেতে পারে নি প্রিয়জনের সাথে ঈদ উদযাপন করতে। অন্যান্য শিশুদের মতো তাদের জন্য ছিলো না ঈদের উদযাপনের আনন্দ। এমন ২০ জন এতিম ও অসহায় মাদ্রাসা শিক্ষার্থীদের মাঝে ঈদ উপহার বিতরণ ও তাদের নিজ বাড়িতে এনে ঈদ উদযাপন করেন বাংলাদেশ ছাত্রলীগের মাদ্রাসা বিষয়ক সম্পাদক জহিরুল ইসলাম। এসময় তিনি এতিম ও অসহায় মাদ্রাসা শিক্ষার্থীদের জন্য মধ্যাহ্নভোজেরও আয়োজন করেন।

নাঙ্গলকোট উপজেলার হিয়াজোড়া দারুসসালাম মাদরাসা ও এতিমখানার বেশ কিছু শিক্ষার্থী ঈদ উদযাপন করার জন্য বাড়ি যেতে পারেনি। কারণ তাদের অধিকাংশেরই বাবা-মা বেঁচে নেই। তারা মাদ্রাসায় পড়াশোনা করছেন এবং সেখানেই থাকছেন। ঈদ উপলক্ষে আনন্দ-উল্লাসের কোন আয়োজন নেই, ছিলো না নতুন জামা-কাপড় এর ব্যবস্থা। বাংলাদেশ ছাত্রলীগের মাদ্রাসা শিক্ষা সম্পাদক জহিরুল ইসলাম ওই মাদরাসার দায়িত্বরত শিক্ষকের সাথে কথা বলে ঈদের দিন সকালে গাড়ি পাঠিয়ে শিক্ষার্থীদের নিজ বাড়িতে নিয়ে আসেন। তিনি তাদের সকলকে নতুন ঈদ পোশাক ও টুপি উপহার দেন এবং তাদের সামনে উনার মায়ের তৈরি করা খাবার পরিবেশন করেন। শিক্ষার্থীদের জন্য আইসক্রিম, চকলেট, সেমাই, দধিসহ ফলমূলের ব্যবস্থা ছিলো।

এবিষয়ে জানতে চাইলে বাংলাদেশ ছাত্রলীগের মাদ্রাসা শিক্ষা বিষয়ক সম্পাদক জহিরুল ইসলাম বলেন, মাননীয় প্রধানমন্ত্রী দেশরত্ন শেখ হাসিনার পক্ষ থেকে এতিম ও অসহায় মাদ্রাসা শিক্ষার্থীদের মাঝে ঈদ উপহার বিতরণ ও তাদের সাথে শুভেচ্ছা বিনিময় করি। মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনা ও মানবিক ছাত্রলীগের একজন কর্মী হিসেবে আমি এই কাজটি দায়িত্ব হিসেবে পালন করেছি।এই এতিম ও অসহায় শিক্ষার্থীদের ঈদের দিনে যাওয়ার মতো কোন জায়গা ছিলো না, তাদের জন্য ঈদ উদযাপনের কোন আয়োজন ছিলো না, ছিলো না নতুন পোশাকের ব্যবস্থা। যেখানে অন্য সব বাচ্চারা তাদের পরিবারের সাথে ঈদ উৎপাদন করবে, সেখানে এই এতিম ও অসহায় বাচ্চাগুলো কোন প্রকার আনন্দ ছাড়া কাটিয়ে দিবে তা আমার কাছে অনেক খারাপ লাগে। এই অনুভূতি থেকে বাচ্চা গুলো যাতে অন্তত ঈদের দিন তাদের বাবা- মা হারানলর কষ্টের কথা ভুলে থাকতে পারে, সেই প্রচেষ্টা থেকে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার পক্ষ থেকে আমার এই আয়েজন করি। আশা করি ভবিষ্যতে আমার এই কাজের ধারাবাহিকতা অব্যহত থাকবে। এবং আমি আশা করি সকলেই তাদের আশেপাশে এমন এতিম ও অসহায় শিশুদের পাশে গিয়ে দাঁড়াবে।