![](https://campustimes.press/uploads/shares/PublicUniversity/cu-stu-20230116180659_(1)-01-2023-01-16-21-39-50.jpeg)
চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে (চবি) প্রক্টরসহ ১৬ শিক্ষক পদত্যাগ করেছেন। এ ঘটনার একদিন না পেরোতেই ফের ৪টি পদ থেকে ৩ জন শিক্ষক পদত্যাগ করেছেন। সোমবার (১৩ মার্চ) ভারপ্রাপ্ত রেজিস্ট্রার কেএম নূর আহমেদ বরাবর পদত্যাগপত্র জমা দেন তারা।
পদত্যাগকারীরা হলেন-দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়া হলের প্রাধ্যক্ষ ও পরিবহন দফতরের প্রশাসক অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ সাইদুল ইসলাম, অতীশ দীপঙ্কর শ্রীজ্ঞান হলের প্রাধ্যক্ষ ড. সুমন বড়ুয়া এবং সহকারী প্রক্টর মুহাম্মদ ইয়াকুব। সবাই ব্যক্তিগত কারণ দেখিয়ে পদত্যাগ করেছেন।
তবে সবাই পদত্যাগের জন্য ব্যক্তিগত কারণ দর্শালেও সদ্য পদত্যাগকারী সহকারী প্রক্টর মুহাম্মদ ইয়াকুব নতুন প্রক্টরের সঙ্গে রাজনৈতিক আদর্শের অমিলকে দায়ী করেছেন।
এ বিষয়ে সহকারী প্রক্টর মুহাম্মদ ইয়াকুব বলেন, অন্যরা কেন পদত্যাগ করেছে আমি জানি না। তবে আমার জানা মতে নতুন প্রক্টর বিএনপিপন্থী মানুষ। বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্রজীবনে উনার ছাত্রদলের রাজনীতির সঙ্গে জড়িত থাকার গুঞ্জন রয়েছে। এমন একটি গুরুত্বপূর্ণ পদে এরকম কাউকে মনোনীত করা আমার পক্ষে মেনে নেওয়া সম্ভব নয়। তাই আদর্শগত কারণে আমি পদত্যাগ করেছি।
এর আগে গত রোববার দুপুর দেড়টার দিকে চবির প্রক্টরসহ প্রশাসনিক বিভিন্ন দফতরের ১৬ জন শিক্ষক পদত্যাগ করেন। ড. রবিউল হাসান ভূঁইয়ার পদত্যাগের আধা ঘণ্টার মধ্যে ইন্সটিটিউট অব মেরিন সায়েন্সের সহযোগী অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ নূরুল আজিম সিকদারকে প্রক্টর পদে নিয়োগ দেওয়া হয়। একইসঙ্গে ওশানোগ্রাফি বিভাগের প্রভাষক মোহাম্মদ রোকন উদ্দিন ও মেরিন সায়েন্সেস ইনস্টিটিউটের প্রভাষক সৌরভ সাহা জয়কে সহকারী প্রক্টর পদে নিয়োগ দেওয়া হয়েছে।