যৌন নিপীড়নের অভিযোগ: বঙ্গবন্ধু বিশ্ববিদ্যালয়ের সহকারী প্রক্টরের পদ স্থগিত


টাইমস ডেস্ক | Published: 2019-11-19 07:41:26 BdST | Updated: 2024-04-29 01:14:56 BdST

গোপালগঞ্জ বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের সহকারী প্রক্টরের পদ স্থগিত করা হয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাজবিজ্ঞান বিভাগের প্রভাষক ও সহকারী প্রক্টর মো. হুময়ূন কবিরের বিরুদ্ধে এক বিদেশি শিক্ষার্থী যৌন নিপীড়নের অভিযোগ দায়েরের পরিপ্রেক্ষিতে পদটি স্থগিত করা হয়।

রোববার সন্ধ্যায় বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার অধ্যাপক ড. মো. নূরউদ্দিন আহমেদ স্বাক্ষরিত এক চিঠিতে এ আদেশ দেওয়া হয়েছে। আদেশে প্রভাষক মো. হুময়ূন কবিরকে অভিযোগের ব্যাপারে আগামী ৭ কর্ম দিবসের মধ্যে রেজিস্ট্রার কার্যালয়ে লিখিত বক্তব্য প্রদানের অনুরোধ করা হয়েছে।

চিঠিতে বলা হয়, গত ১৩ নভেম্বর সমাজবিজ্ঞান বিভাগের প্রভাষক ও সহাকারী প্রক্টর মো. হুমায়ূন কবিরের বিরুদ্ধে কৃষি বিজ্ঞান বিভাগের এক নেপালি ছাত্রী

যৌন নিপীড়নের অভিযোগ দায়ের করেন। বিষয়টি নিয়ে বিভিন্ন গণমাধ্যমে সংবাদ প্রকাশিত হওয়ায় বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন বিব্রত বোধ করছে। বর্তমানে বিষয়টি বিশ্ববিদ্যালয়ের যৌন নিপীড়ন প্রতিরোধ সেল তদন্ত করছে। এটির সুরাহা না হওয়া পর্যন্ত ন্যায় বিচারের স্বার্থে তার সহকারী প্রক্টর পদটি পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত স্থগিত করা হয়েছে।

রেজিস্ট্রার অধ্যাপক ড. মো. নূরউদ্দিন আহমেদ বলেন, ভারপ্রাপ্ত উপাচার্যের অনুমোদনক্রমে সহকারী প্রক্টরের পদ স্থগিত করা হয়েছে।

অভিযুক্ত প্রভাষক মো. হুময়ূন কবির বলেন, ওই ছাত্রী আমার বিরদ্ধে মিথ্যা ও ষড়যন্ত্রমূলকভাবে যৌন নিপীড়নের অভিযোগ করেছে। গত ২১ সেপ্টেম্বর বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক ভিসি অধ্যাপক ড. খোন্দকার নাসির উদ্দিনের অনৈতিক কর্মকাণ্ডের প্রতিবাদে ও শিক্ষার্থীদের ন্যায্য দাবির প্রতি সমর্থন জানিয়ে আমি সহকারী প্রক্টরের পদ থেকে পদত্যাগ করি। এছাড়া আমরা ভর্তি পরীক্ষায় অনিয়ম পাওয়ার পর ১২ ভর্তি পরীক্ষার্থী ও বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থীকে আটক করে পুলিশে সোপর্দ করি। এতে সাবেক ভিসিপন্থী কিছু শিক্ষক ক্ষিপ্ত হয়ে ওই শিক্ষার্থীকে দিয়ে ফেক আইডির মাধ্যমে আমার বিরুদ্ধে যৌন নিপীড়নের অভিযোগ এনে ফেসবুকে স্ট্যাটাস দেওয়ায়। এরপর আমি গোপালগঞ্জ সদর থানায় একটি জিডি দায়ের করি। ভিসি অধ্যাপক ড. খোন্দকার নাসির উদ্দিনের পদত্যাগের পর ভারপ্রাপ্ত ভিসি হন অধ্যাপক ড. শাহজাহান। পরে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন আমাকে ফের সহকারী প্রক্টরের দায়িত্ব দেয়। ওই শিক্ষার্থীর মিথ্যা অভিযোগের ঘটনায় আমার সম্মান ক্ষুন্ন করেছে। আমার বিরুদ্ধে নানা ষড়যন্ত্রের কারণে আমি নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছি। তাই আমি এ ঘটনায় ন্যায়বিচার প্রত্যাশা করছি।

টিআর/ ১৮ নভেম্বর ২০১৯