চবিতে বহিরাগতকে হলে আটকে রেখে মারধরের অভিযোগ


চবি টাইমস | Published: 2017-08-28 16:51:42 BdST | Updated: 2024-05-14 03:29:31 BdST

চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে (চবি) এ এফ রহমান হলে মোবাইল চুরির অভিযোগে তানভীর নামে এক বহিরাগত যুবককে আটকে রেখে মারধর ও চাঁদা দাবি করার অভিযোগ উঠেছে।

রোববার (২৭ আগস্ট) সন্ধ্যায় এ ঘটনায় বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন মারধরকারী সমাজতত্ত্ব বিভাগের কামরুল (২০১৬-১৭) ও ইতিহাস বিভাগের সাব্বির (২০১৬-১৭) এবং মারধরের শিকার ওই বহিরাগতকে হাটহাজারী থানায় পাঠিয়েছে। খবর জাগো নিউজ।

কামরুল ও সাব্বির বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের স্থগিত কমিটির সাধারণ সম্পাদক এইচ এম ফজলে রাব্বী সুজনের অনুসারী হিসেবে দাবি করেন বলে জানা গেছে।

পুলিশ ও বিশ্ববিদ্যালয় সূত্রে জানা যায়, তানভীর নামের ওই বহিরাগত যুবক ৪-৫ দিন আগে আরবি বিভাগের ইমরান নামে এক শিক্ষার্থীর কাছে আসে। কিন্তু ইমরান ক্যাম্পাসে না থাকায় সে কামরুলের কক্ষে উঠে। কিন্তু বিপত্তি বাধে শনিবার (২৬ আগস্ট) সকালে। ঘুম থেকে উঠার পর কামরুল তার মোবাইল খুঁজে না পেয়ে ওই বহিরাগত যুবক তানভীরকে সন্দেহ করে। একপর্যায়ে তাকে কক্ষে আটকে রেখে মারধর করে কামরুল ও তার বন্ধু সাব্বির। এসময় তারা ওই যুবকের কাছে চাঁদাও দাবি করে বলে জানা গেছে।

পরে ওই যুবককে পুলিশ ফাঁড়িতে নিয়ে যায় এবং মোবাইল চুরি করে বলে অভিযোগ করেন কামরুল। এসময় বহিরাগত তানভীর অভিযোগ অস্বীকার করে, তবে ক্ষতিপূরণের টাকা দিবে বলে পুলিশকে জানায়। কিন্তু এরপরেও তাকে আটকে রেখে মারধরের খবর পেয়ে রোববার সকালে বিষয়টি প্রক্টরিয়াল বডিকে অবহিত করে পুলিশ। পরে তাদের তিনজনকেই থানায় পাঠিয়ে দেয়ার নির্দেশ দেয় বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন।

এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর আলী আজগর চৌধুরী বলেন, মারধর ও মোবাইল চুরির অভিযোগ আসায় বহিরাগত তানভীর, বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থী কামরুল ও সাব্বিরসহ তিনজনকে থানায় পাঠিয়ে দেয়া হয়েছে। বিষয়টি পুলিশ খতিয়ে দেখছে।

এদিকে হাটহাজারী মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) বেলাল উদ্দিন জাহাঙ্গীর জানান, তিনজনই বর্তমানে থানায় রয়েছে। বিষয়টি দেখছি আমরা।

আরএম/ ২৮ আগস্ট ২০১৭