কেমন থাকছে ইবির সেহেরি পরিকল্পনা!


Shakib Aslam | Published: 2024-03-11 22:59:56 BdST | Updated: 2024-04-29 03:45:38 BdST

ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ে (ইবি) পবিত্র রমজানের উপলক্ষে আরম্ভ হবে এক চিল্লা সমপরিমাণ ছুটি। তবে পরিক্ষা’সহ বহুমুখী কারণে বাড়ির পথে যাত্রা করতে পারছে না অনেক শিক্ষার্থী। ফলে আবাসিক হল ও পার্শ্ববর্তী মেস-সমূহে অবস্থান করতে হচ্ছে তাদের। এসব শিক্ষার্থীদের কথা বিবেচনায় করে হলগুলোতে সেহেরি নিয়ে কর্তৃপক্ষরা নিয়েছেন বিশেষ পরিকল্পনা।

খোঁজ নিয়ে জানা যায়, সেহরি নিয়ে বেশ তৎপর প্রভোস্ট কাউন্সিল। মানসম্মত খাবারের বিষয়ে বরাবরের মতো পর্যবেক্ষণ করবে হল কর্তৃপক্ষ। ডাইনিং ম্যানেজারদের কন্ঠেও মিলেছে ভালো খাবার পরিবেশনের আশ্বাস। তবে দাম কিছুটা বাড়তে পারে বলে জানিয়েছে একাধিক ডাইনিং ম্যানেজার।

সোমবার (১১ মার্চ) প্রভোস্ট কাউন্সিল সভাপতি, একাধিক হল প্রভোস্ট ও একাধিক ডাইনিং ম্যানেজার এর সাথে কথা বলে এসব তথ্য জানা যায়।

তবে সেহেরি নিয়ে দুশ্চিন্তার কথা জানিয়েছেন একাধিক শিক্ষার্থী। তারা বলেন প্রারম্ভিককালে খাবারের মান ভালো থাকলেও ধীরে ধীরে খাবারের মান স্থবির হয়ে পড়ে। অপরদিকে শুরুতে যে মূল্য নির্ধারণ করা হয় তা খাবারের মানের সাথে সমানুপাতিক থাকে না।

এবিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের লালন শাহ হলের প্রভোস্ট অধ্যাপক ড. মো: আকতার হোসেন বলেন, আমি আশাকরি রমজানে ডাইনিং এর খাবারের মান ভালো থাকবে। ছেলেরা যেনো ভালোমতো রোজা রাখতে পারে এবং কোনো ধরণের অভিযোগ যেনো না আসে সেদিকে আমরা সার্বক্ষনিক তদারকি করবো। কোনো সমস্যা হলে অবশ্যই প্রভোস্ট অফিসে এসে জানাতে হবে এবং আমাদের দৃষ্টি গোচর হলে সাথে সাথে ব্যবস্থা নিবো।

সেহরির বিষয়ে বোরহান কবির নামের বিশ্ববিদ্যালয়ের এক শিক্ষার্থী বলেন, বাঙালিদের কাছে রমজান মাস মানে ব্যবসার মাস। এই ধারাবাহিকতা হলের ডাইনিং রমজান মাসে খাবারের দাম বাড়ালেও খাবারের মান বাড়ে না। ছাত্ররা এক প্রকার বাধ্য হয়েই বেশি দাম দিয়ে এই খাবার খেয়ে থাকে। প্রশাসনের উচিত এই দিকে নজর দেওয়া, প্রয়োজনে ভর্তুকি বাড়ানো।

লালন শাহ্ হলের ডাইনিং ম্যানেজার সাবু জানান, রোজায় সেহেরিতে ভালো খাবার দেওয়ার সর্বোচ্চ চেষ্টা করবো। বড় মাছ’সহ বিভিন্ন আইটেম রাখা হবে। ভাতের চাল হিসেবে আমরা আটাশ চালের ভাত দিব।

বিশ্ববিদ্যালয়ের বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব হলের প্রভোস্ট অধ্যাপক ড. মিয়া মোঃ রাসিদুজ্জামান বলেন, আমাদের প্রভোস্ট কাউন্সিল থেকে গতবার যে সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছিলো সেটাই আপাতত দেয়া হয়েছে। জিনিসপত্রের দাম যেভাবে বেড়েছে আমরাই কনফিউজড হয়ে গেছি আসলে। চেষ্টা করে দেখছি গতবারের যে সিদ্ধান্ত হয়েছিলো সেভাবে দিয়ে মান নিয়ন্ত্রণ রাখা যায় কি না। আর আশাকরি খাবারের মান ভালো থাকবে। কোনোপ্রকার বাসি খাবার বা অপরিচ্ছন্ন খাবার পরিবেশন করা হবে না।

সার্বিক বিষয়ে জানতে চাইলে প্রভোস্ট কাউন্সিলের সভাপতি এবং সাদ্দাম হোসেন হল প্রভোস্ট অধ্যাপক ড. মোঃ আসাদুজ্জামান জানান, খাবারের ম্যানু আগে যা ছিলো তাই থাকবে। তবে সেহেরিতে এক্সট্রা এক গ্লাস দুধ ২০ টাকার বিনিময়ে পাওয়া যাবে।

খাবারের মান সম্পর্কে জানতে চাইলে বলেন, আমরা প্রভোস্টরা মিলে খাবারের মান যাচাই করার জন্য টিম করে ভিজিট করবো। আশাকরি খাবারের মান ভালো থাকবে।