শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় এবং নোয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে ইফতার মাহফিলের ওপর নিষেধাজ্ঞার প্রতিবাদে মিছিল করেন জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের সাধারণ শিক্ষার্থীরা। তবে তাদের মিছিলে জবি প্রশাসন বাধা দিয়েছে বলে অভিযোগ শিক্ষার্থীদের। প্রশাসন বলছে, শিক্ষার্থীদের বোঝালে তারা নিজ থেকেই কর্মসূচি শেষ করেন।
এর আগে মঙ্গলবার (১২ মার্চ) দুপুর দেড়টায় জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় মসজিদের সামনে থেকে মিছিল শুরু হয়ে ক্যাফেটেরিয়ার সামনে আসে। তখন প্রক্টর অধ্যাপক ড. মো. জাহাঙ্গীর হোসেনের নেতৃত্বে প্রক্টোরিয়াল বডি মিছিলের গতিরোধ করে। ফলে আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা সেখানেই মিছিল শেষ করেন।
এ বিষয়ে ইসলামিক স্টাডিজ বিভাগের শিক্ষার্থী আরিফুল ইসলাম বলেন, মুসলিম উম্মাহর জন্য রমজান মাস একটি মহিমান্বিত মাস। রমজানে ইফতার অবিচ্ছেদ্য অংশ। সবাই একসঙ্গে ইফতার করলে ভ্রাতৃত্ববন্ধন দৃঢ় হয় এবং মহান আল্লাহর সন্তুষ্টি অর্জন হয়। কিন্তু বিশ্ববিদ্যালয়ের মতো একটি উর্বর স্থানে ধর্মীয় অনুভূতিতে এমন নগ্ন হস্তক্ষেপ কখনো কাম্য নয়।
তিনি আরও বলেন, ক্যাম্পাসে ছাত্রলীগ মিছিল মিটিং করলে কোনো অনুমতি লাগে না। অথচ আমরা সামান্য মিছিল করলেই পুরো প্রক্টরিয়াল বডি কঠোরভাবে বাধা দেয়। আমরা শান্তিপূর্ণ সমাবেশ করতে চেয়েছি তবুও প্রশাসন আমাদের তা করতে দেয়নি।
এ বিষয়ে প্রক্টর মো. জাহাঙ্গীর হোসেন বলেন, আমরা তাদের বাধা দেইনি। তাদের সঙ্গে শান্তিপূর্ণভাবে আলোচনা করেছি। ক্যাম্পাসে ক্লাস-পরীক্ষা চলাকালীন উচ্চস্বরে স্লোগান দিলে শিক্ষার্থীদের মনোযোগে বিঘ্ন ঘটে। আমরা তাদের সেন্টিমেট বুঝতে পেরে তাদের সঙ্গে সেভাবেই আলোচনা করেছি। তারা আমাদের কথাগুলো ইতিবাচকভাবে নিয়েছে এবং নিজ থেকেই তারা ব্যানার গুটিয়ে তাদের কর্মসূচি সেখানেই শেষ করেছে।
তিনি আরও বলেন, ক্যাম্পাসের শান্তিপূর্ণ পরিবেশ বজায় রাখতে সব সংগঠনকে তাদের কার্যক্রম পরিচালনার জন্য প্রক্টর অফিস থেকে অনুমতি নিতে হবে। যেহেতু তারা কোনো অনুমতি নেয়নি, তাই আমরা নিজ উদ্যোগে তাদের সঙ্গে কথা বলেছি।
এর আগে সোমবার (১১ মার্চ) সকালে শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-রেজিস্ট্রার সই করা এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে ক্যাম্পাসের অভ্যন্তরে ইফতার পার্টি আয়োজন না করার নির্দেশ দেওয়া হয়।
অপরদিকে একই দিন নোয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার ড. মুহাম্মদ আলমগীর সরকার সই করা আরেকটি বিজ্ঞপ্তিতে ক্যাম্পাসের অভ্যন্তরে ইফতার পার্টি আয়োজন না করার নির্দেশ দেওয়া হয়।
