এখনো টিকা পায়নি রাবির বিদেশি শিক্ষার্থীরা


RU Correspondent | Published: 2022-04-19 06:26:00 BdST | Updated: 2024-04-26 23:39:27 BdST

অন্তত ১ ডোজ টিকা নেয়ার শর্তে আরও ৬ মাস আগে বিশ্ববিদ্যালয় খুললেও, এখনো টিকা পাননি রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়তে আসা বিদেশি শিক্ষার্থীরা। এজন্য বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের দিক থেকে তাদের ভিসা ক্যাটাগরিকে দায়ী করেও স্বাস্থ্যঝুঁকি এড়ানো যাচ্ছে না বাকি শিক্ষার্থীদের।

সংশ্লিষ্ট সূত্রগুলোর সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, বিভিন্ন দেশ থেকে রাবিতে পড়তে আসা এসব শিক্ষার্থীদের বাংলাদেশ দূতাবাস থেকে যে স্টুডেন্ট ভিসা দেয়া হয় সেখানে সব ধরনের সুযোগ সুবিধার কথা উল্লেখ থাকে না। ফলে দেশীয় টিকা নিবন্ধন ডাটাবেজ সুরক্ষা অ্যাপসে রেজিস্ট্রেশন করার সুযোগ পাচ্ছে না তারা। আর বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের বক্তব্য হলো, সুরক্ষায় নিবন্ধন ছাড়াও তাদের টিকা দেয়া সম্ভব। কিন্তু এভাবে টিকা দিলেও দেশ-বিদেশে বিদ্যমান টিকা বাধ্যবাধকতায় সেটা কোনো কাজে আসবে না তাদের।

সোমালিয়ার কয়েকজন শিক্ষার্থীর সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, টিকা নিয়ে কোনো আগ্রহ নেই তাদের। আবার একাধিক শিক্ষার্থী জানিয়েছেন, দেহে সূঁচ ফোটানোর ভয় থেকে এটা নিয়ে গণমাধ্যমে কথা বলতে অনিচ্ছা প্রকাশ করেন তারা। তবে তাদের মধ্যে কয়েকজন নেপালি ও একমাত্র মার্কিন শিক্ষার্থী টিকা নিয়েছেন।

টিকা জটিলতার বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র উপদেষ্টা অধ্যাপক তারেক নুর বলেন, তাদেরকে আমরা টিকা দিতে পারি। কিন্তু তারা এই টিকা নিয়ে দেশে যেতে পারবে না বা কোথাও দেখাতেও পারবে না। দূতাবাস এবং তাদের দেশের জটিলতার কারণে আমরা টিকা দিতে পারছি না।

তাহলে কি তারা টিকা থেকে বঞ্চিত, এমন প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন, এটা তাদের দূতাবাসের সঙ্গে যোগাযোগ করে সমাধান করতে হবে। বিষয়টা আমাদের হাতে নেই। বাংলাদেশ পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় ও সংশ্লিষ্ট দেশের দূতাবাস এ বিষয়টি দেখবে।

বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য অধ্যাপক সুলতান-উল-ইসলাম বলেন, আমি কালই টিকা দিতে পারি। কিন্তু সেটা নিয়ে তারা কোথাও কাজে লাগাতে পারবে না। তবে এজন্য তিনি সংশ্লিষ্ট দূতাবাসগুলোকে দায়ী করেছেন।

তিনি বলছেন, অন্যান্য ক্ষেত্রে যেসব বিদেশি বাংলাদেশে কাজ করছেন তাদেরকে দূতাবাসের মাধ্যমে টিকা নিশ্চিত করা হয়। এক্ষেত্রেও বিদেশি শিক্ষার্থীদের তাদের দূতাবাসে যোগাযোগ করতে পরামর্শ দিয়েছেন তিনি।

কাগজে কলমে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে বর্তমানে ৭৭ জন বিদেশি শিক্ষার্থী থাকার কথা থাকলেও সেই সংখ্যাটা অনেকটাই কম। কারিকুলাম জটিলতা, বাংলায় পাঠদান, পাস করতে না পারা এমন নানান জটিলতায় পড়াশোনা শেষ না করেই দেশ ছাড়ে বিদেশি শিক্ষার্থীরা। মূলত সোমালিয়া, নেপাল, জর্ডান, আমেরিকা থেকে স্নাতকোত্তর ও এমফিল-পিএইচডিতে ভর্তি হয়েছেন তারা। বিশ্ববিদ্যালয়ের কৃষি অনুষদ, বিজ্ঞান অনুষদের বিভাগগুলোতে আধিক্য দেখা যায় তাদের। সূত্র: ঢাকা পোস্ট