আসলেই কি আরেফিন সিদ্দিকের প্রতিপক্ষদের সঙ্গে গোপন বৈঠক করেছে বাম নেতারা


টাইমস অনলাইনঃ | Published: 2017-08-07 06:00:33 BdST | Updated: 2024-05-13 19:39:10 BdST

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় উপাচার্য প্যানেল নির্বাচনকে কেন্দ্র করে ডাকসু নির্বাচনের দাবিতে আন্দোলনরত বাম ছাত্র সংগঠনের নেতাকর্মীরা উপাচার্য অধ্যাপক আ আ ম স আরেফিন সিদ্দিকের প্রতিপক্ষদের সঙ্গে গোপন বৈঠক করেন এমন অভিযোগের বিষয়ে প্রশ্ন করায় সংবাদ সম্মেলনে ক্ষেপে গেলেন ছাত্র ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক লিটন নন্দী। ক্ষেপে গিয়ে তিনি এ ধরণের প্রশ্নকে হলুদ সাংবাদিকতা হিসেবে আখ্যায়িত করেন।

রবিবার ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের মধুর ক্যানটিনে কেন্দ্রীয় প্রগতিশীল ছাত্রজোটের ডাকা সংবাদ সম্মেলনে এ ঘটনা ঘটে। সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন জোটের সমন্বয়ক ইমরান হাবিব রুমন।

এ সময় উপস্থিত এক সাংবাদিক প্রশ্ন করেন, আপনাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ, আপনারা অধ্যাপক আরেফিন সিদ্দিকের প্রতিপক্ষ হিসেবে পরিচিতজনদের সাথে গোপন বৈঠক করেন। যেমন গত ১ আগস্টে লিটন নন্দীসহ কয়েকজন জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক মিজানুর রহমানের সাথে তার কার্যালয়ে বৈঠক করেছেন। এ প্রশ্নের জবাবে লিটন নন্দী উত্তেজিত হয়ে পড়েন এবং বলেন, এই ধরণের হলুদ সাংবাদিকতা করা ঠিক না। বৈঠককে আপনারা যদি গোপন বৈঠক বলেন তাহলে তা হলুদ সাংবাদিকতার শামিল। এই উত্তর পেয়ে সংবাদ সম্মেলন ত্যাগ করেন প্রশ্নকারী সাংবাদিক।

গত ১ আগস্ট লিটন নন্দীর নেতৃত্বে এক দল বাম নেতা জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক মিজানুর রহমানের সাথে বৈঠক করে এসে ঢাবি ক্যাম্পাসে বিক্ষোভ করেন। ঐদিন সংবাদ সম্মেলনের প্রশ্নকারী সাংবাদিক লিটন নন্দীর কাছে জানতে চান যে তিনি জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যের কাছে গিয়েছিলেন কিনা। জবাবে লিটন নন্দী প্রথমে সেখানে যাওয়ার কথা অস্বীকার করেন এবং কে বলেছে জানতে চান। এক পর্যায়ে প্রমাণ আছে জানালে লিটন নন্দী বলেন, হ্যাঁ গিয়েছিলাম তবে উপাচার্যের সাথে দেখা হয়নি।

এর আগে মাতাল অবস্থায় ছাত্র ইউনিয়নেরই এক নারী কর্মীকে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে অশ্লীল ছবি পাঠানোর অভিযোগ ওঠে লিটন নন্দীর বিরুদ্ধে। নারী কর্মীকে পাঠানো সেই ছবিসহ কয়েকটি সংবাদমাধ্যমে সংবাদও প্রচারিত হয়। এ ঘটনায় ঢাবি শিক্ষার্থীদের কাছে ব্যাপক সমালোচনার মুখে পড়েন লিটন নন্দী।

এমএসেওল