হতাশার কালো মেঘে অন্ধকার দেখছেন জবি ছাত্রলীগের পদ প্রত্যাশীরা


Dhaka//kalerkantha | Published: 2020-10-03 23:36:37 BdST | Updated: 2024-05-13 20:04:25 BdST

দেড় বছরের বেশি সময় ধরে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় (জবি) শাখা ছাত্রলীগের কমিটি নেই। এদিকে সম্মেলনের পর এক বছর পার হলেও এখনো কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগ এখানে কমিটি দিতে পারেনি। মাঝেমধ্যে কমিটি হবে—এমন শোনা গেলেও শেষ পর্যন্ত তা আর হয়নি। ফলে গ্যাঁড়াকলে আটকে আছে ছাত্রলীগের গুরুত্বপূর্ণ এ ইউনিট।

করোনার কারণে চলতি বছরের ১৭ মার্চ দেশের সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ ঘোষণা করে সরকার। এর মধ্যেও জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগ করোনা প্রতিরোধে সচেতনতা বাড়াতে কাজ করে। মানুষের মধ্যে মাস্ক, হ্যান্ড স্যানিটাইজার বিতরণ করে। মুজিববর্ষ উপলক্ষে ক্যাম্পাসে বৃক্ষ রোপণ করে। ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় কমিটি ঘোষিত সব কর্মসূচিও পালন করা হচ্ছে। এর বাইরে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ে পাঠরত সাধারণ শিক্ষার্থীদের মেসভাড়া সমস্যা সমাধানে এগিয়ে এসেছে।

এদিকে বেশির ভাগ পদপ্রত্যাশীদের শিক্ষাজীবন প্রায় শেষের পথে। আবার সরকারি চাকরিতে প্রবেশের সময়ও পার হচ্ছে। এ পরিস্থিতিতে পদপ্রত্যাশীরা দোটানায় পড়েছেন। না পারছেন ছাত্ররাজনীতি ছাড়তে, আবার না পারছেন চাকরি করতে। তবুও অনেক পদপ্রত্যাশী শীর্ষ দুই পদের আশায় এখানো রাজনীতিতে সক্রিয় আছেন।

‘শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলার আগে নতুন কমিটি হবে না’

জবি শাখা ছাত্রলীগ সূত্রে জানা যায়, ২০১২ সালের ৩ অক্টোবর এফ এম শরীফুল ইসলামকে সভাপতি ও এস এম সিরাজুল ইসলামকে সাধারণ সম্পাদক করে জবি ছাত্রলীগ কমিটি করা হয়। ২০১৩ সালের ৩০ জুলাই শরীফ-সিরাজ ১৯৩ সদস্যের পূর্ণাঙ্গ কমিটি ঘোষণা করেন। ২০১৭ সালের ৩০ মার্চ প্রথম সম্মেলনের পর শরীফ-সিরাজ কমিটি বিলুপ্ত হয়। এরপর ২০১৭ সালের ১৭ অক্টোবর তরিকুল ইসলামকে সভাপতি ও শেখ জয়নুল আবেদিন রাসেলকে সাধারণ সম্পাদক করে ৩৯ সদস্যের কমিটি করে কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগ। তরিক-রাসেল কমিটি দেড় বছর পার করলেও পূর্ণাঙ্গ কমিটি করতে পারেনি। শৃঙ্খলা ভঙ্গের দায়ে দুইবার স্থগিতাদেশের পর ২০১৯ সালের ১৮ মার্চ আবার দুই পক্ষের সংঘর্ষে সাংবাদিকসহ অর্ধশতাধিক আহত হয়। একই বছরের ১৯ মার্চ তরিক-রাসেল কমিটি বিলুপ্ত করে কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগ। পরে ২০১৯ সালের ২০ জুলাই বিশ্ববিদ্যালয় বিজ্ঞান অনুষদ মাঠে শাখা ছাত্রলীগের দ্বিতীয় সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়। একই বছরের ১৫ সেপ্টেম্বর কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি রেজওয়ানুল হক চৌধুরী শোভন ও সাধারণ সম্পাদক গোলাম রাব্বানী কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগ থেকে পদত্যাগ করেন। পরে কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি আল-নাহিয়ান খান জয় ও ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক লেখক ভট্টাচার্য ছাত্রলীগের দায়িত্ব পান। তারপর চলতি বছরের ৪ জানুয়ারি ছাত্রলীগের শীর্ষ দুই নেতা ছাত্রলীগের পূর্ণাঙ্গ দায়িত্ব পান। এ দুজন কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের পূর্ণাঙ্গ দায়িত্ব নেওয়ার ৯ মাস পার হলেও জবি শাখা ছাত্রলীগের পদপ্রত্যাশীদের ভাগ্য ফেরেনি।

জবি শাখা ছাত্রলীগের কমিটির বিষয়ে কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক লেখক ভট্টাচার্যের কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলার আগে নতুন কমিটি হবে না।’

জবি শাখা ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি তরিকুল ইসলাম বলেন, ‘জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ে কমিটি দিতে না পারা কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের উদাসিনতা। এই উদাসিনতা কাটিয়ে ছাত্রলীগের ভেতরে শৃঙ্খলা ফিরিয়ে আনতে দ্রুত জবিতে কমিটি দেওয়া উচিত।