ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের সদ্য সাবেক গ্রন্থনা ও প্রকাশনা সম্পাদক নাবিল হায়দারের মৃত্যুতে শোকের সাগরে ভাসছে ছাত্রলীগের বিভিন্ন স্তরের নেতা-কর্মীরা। দিনভর তাকে শোকার্ত হৃদয়ে স্মরণ করেছে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ও বাংলাদেশ ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা।
শোক বার্তা দিয়েছে বাংলাদেশ ছাত্রলীগ এবং ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগ। কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের শোক বার্তায় তাকে 'কেন্দ্রীয় নেতা' সম্বোধন করা হয়েছে। নাবিল কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের সভাপতি সাদ্দাম হোসেনের অনুসারী ছিলেন। সকালে তার জানাজায় কান্না ভেঙে পড়েন সাদ্দাম হোসেন। সাদ্দাম এক স্ট্যাটাসে লিখছেন, 'আমার অপার সীমানাতে তোমার চিহ্ন তবু রবে বেঁচে!'। কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক শেখ ইনান লিখেছেন, 'ওপারে ভালো থেকো ছাত্রলীগের নাবিল......'।
দিনভর তাকে নিয়ে শোকের বার্তা ও তার সাথে অন্যান্য নেতা-কর্মীদের স্মৃতিতে ভরপুর ছিল সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেইসবুক।
শুক্রবার (০৭ এপ্রিল) ভোর ৬টায় ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্রলীগের গ্রন্থনা ও প্রকাশনা সম্পাদক নাবিল হায়দারের মৃত্যু হয়েছে। ‘হৃদযন্ত্রের ক্রিয়া বন্ধ হয়ে’ নাবিলের মৃত্যু হয়েছে বলে পরিবার পক্ষ থেকে দাবি করা হয়েছে।
নাবিল বিশ্ববিদ্যালয়ের সামাজিক বিজ্ঞান অনুষদের রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের ২০১৭-১৮ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী ছিলেন। তার নিজ জেলা ভোলা। তিনি বিশ্ববিদ্যালয়ের সলিমুল্লাহ মুসলিম (এসএম) হলে থাকতেন।
মৃত্যুর পর শেষবারের মত ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে নিয়ে আসা হয় নাবিল হায়দারের মরদেহ। পরে বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় জামে মসজিদে তার প্রথম নামাজে জানাজা অনুষ্ঠিত হয়। এতে বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগে সভাপতি মাজহারুল কবির শয়ন, সাধারণ সম্পাদক তানভীর হাসান সৈকত ও কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক।
নাবিলের মৃত্যুতে সংগঠনটিতে শোকের ছায়া নেমে এসেছে। সাবেক ছাত্রনেতা থেকে শুরু করে একাধিক কেন্দ্রীয় নেতা তার মৃত্যুতে শোক জানিয়ে ফেসবুকে স্ট্যাটাস দিয়েছেন। বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি সনজজিত চন্দ্র দাস ফেসবুকে লিখেছেন, ‘পরপারে ভালো থাকিস অনুজ নাবিল হায়দার। মেনে নিতে পারছি না। আত্মার শান্তি কামনা করছি।
নাবিল একজন ভদ্র, শান্ত ও মেধাবী ছাত্রলীগনেতা ছিল বলে মন্তব্য নেতাকর্মীদের। তাঁর গ্রামের বাড়ি ভোলায়। তাঁর বাবা জসীমউদ্দিন হায়দার। তিনি ভোলার বোরহানউদ্দিন উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি। এ ছাড়া তিনি স্থানীয় একটি ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান।