উপাচার্যের পদত্যাগ দাবিতে শিক্ষার্থীদের আন্দোলনে টানা ১২ দিন উত্তাল থাকার পর ধীরে ধীরে চিরচেনা রূপে ফিরতে শুরু করেছে সিলেটের শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (শাবিপ্রবি) ক্যাম্পাস। তবে অনশন ভাঙলেও আন্দোলন থেকে সরে আসেননি শিক্ষার্থীরা। শুধু আন্দোলনের ধরন পরিবর্তন করেছেন তারা।
এরই অংশ হিসেবে বৃহস্পতিবার (২৭ জানুয়ারি) উপাচার্যবিরোধী প্রীতি ফুটবল টুর্নামেন্টের আয়োজন করেছিলেন শিক্ষার্থীরা। ফুটবলের গায়ে উপাচার্যের নাম লিখে ম্যাচ খেলেন তারা। এ ঘটনায় সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে চরম সমালোচনা শুরু হয়েছে। অনেকেই এ ধরনের আয়োজনকে শিক্ষার্থীদের ‘অতিরিক্ত বাড়াবাড়ি’ বলে মন্তব্য করেছেন।
শিক্ষার্থীদের এই আয়োজনকে ‘হঠকারী’ হিসেবে মন্তব্য করেছেন বাংলাদেশ পরিবেশ আন্দোলন (বাপা) সিলেটের সাধারণ সম্পাদক আব্দুল করিম কিম।
তিনি ফেসবুকে লেখেন, ‘ফুটবলে ফরিদ লিখে লাথি দেওয়াটা মানা গেলো না। সীমা অতিক্রম করার একটা সীমাও আছে। এটা বস্তির কোনো ঝগড়া নয়। একটি স্বনামধন্য বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক ও শিক্ষার্থী দ্বন্দ্ব। সারাদেশের মানুষ যে অহিংস আন্দোলনে সহমর্মিতা দেখিয়েছে, এই একটি হঠকারী কাজ সবাইকে এই সিদ্ধান্তে নিয়ে যেতে পারে যে, ছেলেমেয়েগুলোতো আসলেই বেয়াদব।’
বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক শিক্ষার্থী ইমরান আহমেদের মতে, এটা প্রতিবাদের কোনো ভাষা হতে পারে না। ফেসবুকে তিনি লিখেছেন, ‘এটা একটা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের আন্দোলনের একটি কর্মসূচি, তা ভাবতেও নিজের প্রতি ঘৃণা লাগছে ওই বিশ্ববিদ্যালয়ের একজন সাবেক শিক্ষার্থী হিসেবে। আশা করবো এমন কিছু আর দেখতে পাবো না ভবিষ্যতে।’
সাধারণ জনগণ যারা শিক্ষার্থীদের আন্দোলনে সমর্থন করেছিলেন বিষয়টি তাদের মনেও নেতিবাচকভাবে উপস্থাপিত হয়েছে বলে মনে করছেন বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের সাবেক সহ-সভাপতি মনিরুজ্জামান মনির।
তিনি লিখেছেন, ‘আন্দোলনে পূর্ণ সমর্থন ছিল। সেজন্য অনেক জায়গা থেকে চাপ আসছে কিন্তু পিছিয়ে যাইনি। ফরিদ উদ্দিনের (উপাচার্য অধ্যাপক ফরিদ উদ্দিন আহমেদ) হীন কার্যকলাপের জন্য আমরাও ক্ষুব্ধ ছিলাম। তাই এইভাবে!! সাধারণ পাবলিক যারা এই আন্দোলনে সমর্থন ছিল তাদের মনেও এই বিষয়টি নেগেটিভভাবে উপস্থাপিত হয়েছে। আপনাদের কাছে অনুরোধ সাধারণ পাবলিকের মনে দাগ কাটে এ ধরনের হীন কাজ থেকে বিরত থাকুন।