শাবিতে পরীক্ষার ৪ মাসেও ১৯ বিভাগের ফল প্রকাশ হয়নি


SUST Correspondent | Published: 2023-05-11 02:01:50 BdST | Updated: 2024-11-12 08:56:12 BdST

শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের অধিকাংশ বিভাগের পরীক্ষা শেষ হয়েছিল গত বছরের ডিসেম্বরে। সেশনজট দূর করতে চলতি বছর জানুয়ারি থেকে ক্লাসও শুরু করেছিল বিভাগগুলো। তবে পরীক্ষার চার মাসের অধিক সময় পার হলেও এখনো বিশ্ববিদ্যালয়ের দুই-তৃতীয়াংশ বিভাগের অফিসিয়ালি ফল প্রকাশিত হয়নি।

মূলত বিভাগের শিক্ষকদের মধ্যে পারস্পরিক সম্পর্ক না থাকা, রেষারেষি, অন্তর্কোন্দলসহ ফল জমাদানে অনীহা ও উদাসীনতার কারণকেই দায়ী করছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের একাধিক বিভাগীয় প্রধান।

তারা বলছেন, বিভাগের শিক্ষকদের সমন্বয়হীনতার কারণে ফল প্রকাশে বিলম্ব হচ্ছে। বিভিন্ন রাজনৈতিক মতাদর্শের কারণে শিক্ষকদের বিভক্তি, বিভাগের প্রাপ্য সুবিধাদি ও বিশ্ববিদ্যালয়ের পাঠদান বহির্ভূত কাজে বেশি সময় দেওয়ায় এমনটা হচ্ছে। এছাড়া খাতা মূল্যায়ন করে প্রথম ও দ্বিতীয় পরীক্ষকের কাছ থেকে সঠিক সময় জমা না পাওয়া এবং রেজাল্টে পার্থক্য হওয়ায় তৃতীয় পরীক্ষকের মাধ্যমে খাতা মূল্যায়ন করতে দেরি হওয়ায় ফল তৈরি করতে বিলম্ব হয়।

বিশ্ববিদ্যালয় পরীক্ষা দপ্তর সূত্রে জানা যায়, ৩৫তম একাডেমিক কাউন্সিলের সংশোধিত আইন অনুযায়ী পরীক্ষা শেষ হওয়ার পরবর্তী আট সপ্তাহের (দুই মাস) ভেতর পরীক্ষার ফল প্রকাশ করতে হবে। তবে বিশেষ কিছু বিষয়ে ফল প্রকাশের সময়সীমা সামান্য কমবেশি হতে পারে। তবে বিশ্ববিদ্যালয়ের এ আইন লঙ্ঘন করে নানা অজুহাতে ফল প্রকাশে বিলম্ব করছে অধিকাংশ বিভাগ।

খোঁজ নিয়ে জানা যায়, বিশ্ববিদ্যালয়ের ছয়টি অনুষদের ২৭টি বিভাগের মধ্যে এখনো ১৯টি বিভাগের অফিসিয়ালি ফল প্রকাশ হয়নি। ফল প্রকাশ না হওয়ায় বিশেষ করে স্নাতক শেষ বর্ষের শিক্ষার্থীরা বিপাকে পড়েছেন। অনেক শিক্ষার্থী স্নাতক শেষে চাকরির আবেদন কিংবা উচ্চশিক্ষার জন্য বিদেশ যেতে আগ্রহী। ফল প্রকাশ না হওয়ায় তারা এসব কিছু করতে পারছেন না। ফলে হতাশ হয়ে পড়ছেন শিক্ষার্থীরা। অনেকে আবার স্নাতকোত্তরের জন্য অন্যত্র ভর্তি হতে ইচ্ছুক হলেও ফল প্রকাশ না হওয়ায় তাও পারছেন না।

স্নাতক চতুর্থ বর্ষের ফল প্রত্যাশী শিক্ষার্থী আফজালুর রহমান বলেন, ‘পরীক্ষা শেষ হয়েছে চার মাস পেরিয়েছে। এর মধ্যে অনেক চাকরির আবেদনের সময় চলে গেছে। কিন্তু ফল প্রকাশ না হওয়ায় আবেদন করতে পারছি না। ফল দেওয়ার ব্যাপারে প্রশাসন বেখেয়ালি হয়ে আছে।’

বিশ্ববিদ্যালয়ের পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক মো. মুজিবুর রহমান বলেন, অনেক সময় দ্বিতীয় বা তৃতীয় পরীক্ষকের কাছে খাতা গেলে তারা দেরি করেন। এছাড়া পরীক্ষা কমিটির প্রধান গুরুত্ব দিলে ফল তাড়াতাড়ি প্রকাশ সম্ভব।

এ বিষয়ে রেজিস্ট্রার (ভারপ্রাপ্ত) মো. ফজলুর রহমান বলেন, ছুটিতে ক্যাম্পাস বন্ধ ছিল। ফলাফলের বিষয়টি অবগত হয়ে আমরা বিভাগগুলোতে মৌখিকভাবে দ্রুত ফল প্রকাশের জন্য বলেছি। আগামী সপ্তাহের মধ্যে ফল প্রকাশ সম্ভব হবে।