যুক্তরাষ্ট্রে প্রযুক্তি প্রতিষ্ঠানে ছাঁটাই, বেকায়দায় ভারতীয়রা


স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | Published: 2023-01-26 20:04:48 BdST | Updated: 2024-12-11 00:33:49 BdST

গুগল, মাইক্রোসফট ও অ্যামাজনের মতো বড় বড় প্রযুক্তি প্রতিষ্ঠান সম্প্রতি জনবল ছাঁটাই করেছে। এর মধ্য দিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের প্রযুক্তি খাতে কাজ করা হাজারো ভারতীয় নাগরিকও চাকরি হারিয়েছেন কিংবা বরখাস্ত হওয়ার নোটিশ পেয়েছেন। এখন যুক্তরাষ্ট্রে থাকতে হলে এসব মানুষকে ওয়ার্ক ভিসার মেয়াদ শেষ হওয়ার আগেই নতুন চাকরি খুঁজে পেতে হবে। এমন অবস্থায় নির্ধারিত সময়সীমার মধ্যে নতুন চাকরি খুঁজতে গিয়ে হিমশিম খাচ্ছেন তাঁরা।

ওয়াশিংটন পোস্টের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, গত বছরের নভেম্বর থেকে প্রায় দুই লাখ আইটি কর্মীকে (তথ্যপ্রযুক্তি খাতের কর্মী) ছাঁটাই করা হয়েছে। গুগল, মাইক্রোসফট, ফেসবুক ও অ্যামাজনের মতো কোম্পানিগুলোয় রেকর্ড সংখ্যায় ছাঁটাইয়ের ঘটনা ঘটেছে। কিছু কিছু প্রতিষ্ঠানে দেখা গেছে, ছাঁটাই হওয়া কর্মীর ৩০ থেকে ৪০ শতাংশই ভারতীয়। তাঁদের মধ্যে আবার উল্লেখযোগ্যসংখ্যক মানুষ এইচ-১বি এবং এল-১ ভিসার আওতায় কাজ করতেন।

এইচ-১বি হলো নন–ইমিগ্রেন্ট ভিসা। বিশেষ সক্ষমতাসম্পন্ন বিদেশি কর্মীদের এ ভিসা দেওয়া হয়। এ ক্ষেত্রে ওই কর্মীকে তাত্ত্বিক ও প্রযুক্তিগত দিক থেকে বিশেষজ্ঞ হতে হয়। প্রতিবছর ভারত ও চীন থেকে কর্মী নিয়োগের ক্ষেত্রে মার্কিন কোম্পানিগুলো এ ভিসা ব্যবহার করে থাকে।

আর কোম্পানির ব্যবস্থাপনাগত পদে নিযুক্ত ব্যক্তি কিংবা বিশেষ জ্ঞানসম্পন্ন ব্যক্তিরা এল-১এ এবং এল-১বি ভিসাগুলোর আওতায় অস্থায়ীভাবে এক কোম্পানি থেকে আরেক কোম্পানিতে স্থানান্তরিত হওয়ার সুযোগ পান।

সবচেয়ে বাজে পরিস্থিতিতে আছে এইচ-১বি ভিসাধারীরা। তাঁদের ৬০ দিনের মধ্যে নতুন চাকরি খুঁজে বের করতে হবে। তা না করতে পারলে তাঁদের ভারতে ফিরে যাওয়া ছাড়া কোনো উপায় থাকবে না। ভিসার মেয়াদ শেষ হওয়ার ১০ দিনের মধ্যে তাঁদের দেশে ফিরতে হবে।

তবে বর্তমানে সব প্রযুক্তি প্রতিষ্ঠানে ছাঁটাই চলার কারণে এত কম সময়ের মধ্যে চাকরি পাওয়াটাও কঠিন।

তথ্যপ্রযুক্তি খাতের কর্মী সীতা (ছদ্মনাম) ১৮ জানুয়ারি মাইক্রোসফটের চাকরি হারিয়েছেন। তিনি একজন একক মা (সিঙ্গেল মাদার)। তাঁর ছেলে মাধ্যমিকের পাট চুকিয়ে কলেজে যাওয়ার প্রস্তুতি নিচ্ছে। সীতা বলেন, ‘আমাদের জন্য পরিস্থিতি একেবারে কঠিন হয়ে পড়েছে।’

আমাজনের কর্মী গীতা (ছদ্মনাম) মাত্র তিন মাস আগে যুক্তরাষ্ট্রে পৌঁছান। চলতি সপ্তাহে তাঁকে বলা হয়েছে, আগামী ২০ মার্চ তাঁর শেষ কর্মদিবস।