শরীরে আগুন দিয়ে কলেজছাত্রীকে হত্যাচেষ্টার অভিযোগ


Dhaka | Published: 2020-08-18 13:11:54 BdST | Updated: 2024-05-12 01:19:48 BdST

মাগুরার মহম্মদপুর উপজেলায় কলেজছাত্রীর শরীরে কেরোসিন ঢেলে আগুন দিয়ে হত্যাচেষ্টা করা হয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে তাঁর সাবেক স্বামীর বিরুদ্ধে।

সোমবার এ অভিযোগে মহম্মদপুর থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে সাবেক স্বামীসহ সাতজনকে আসামি করে মামলা করেছেন অগ্নিদগ্ধ কলেজছাত্রীর দাদা।

অগ্নিদগ্ধ ওই ছাত্রী এখন ঢাকার শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউট হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। অভিযুক্ত ব্যক্তিদের পরিবারের সদস্যরা অবশ্য দাবি করেছেন, মেয়েটি আত্মহত্যার চেষ্টা করেছেন।

গত শনিবার অগ্নিদগ্ধের ঘটনাটি ঘটেছে উপজেলার বাবুখালী ইউনিয়নের কেড়িনগর গ্রামে। ওই কলেজছাত্রীর নাম আকলিমা খাতুন (১৮)। তিনি কেড়িনগর গ্রামের আকরাম মোল্লার মেয়ে ও মহম্মদপুর সালিমা হক মহিলা কলেজের একাদশ শ্রেণির ছাত্রী।

মামলার এজাহারে ওই ছাত্রীর দাদা রতন আলী উল্লেখ করেন, আকলিমার সঙ্গে একই গ্রামের মাসুদ মোল্যার ছেলে নাজমুল মোল্যার দুই বছর আগে বিয়ে হয়। প্রেমের সম্পর্ক করে বিয়ে হলেও স্বামী-স্ত্রীর বনিবনা হচ্ছিল না। তাই বিয়ের সাত মাস পর নাজমুলকে তালাক দেন আকলিমা। বিষয়টি নাজমুল মেনে নিতে পারেননি। কিছুদিন পর থেকে নাজমুল তাঁর সাবেক স্ত্রীকে উত্ত্যক্ত করতে থাকেন। তাঁর প্রস্তাবে আকলিমা রাজি না হওয়ায় নাজমুল ক্ষিপ্ত হন। এর জের ধরেই গত শনিবার সন্ধ্যা ছয়টার দিকে আকলিমা টয়লেটে যাওয়ার সময় ওত পেতে থাকা নাজমুলের লোকজন আকলিমার ব্যবহৃত ওড়না দিয়ে তাঁকে বেঁধে গায়ে ডিজেল ঢেলে আগুন ধরিয়ে দেন। এতে আকলিমার শরীরে বিভিন্ন অংশ পুড়ে যায়। এ সময় তাঁর চিৎকার শুনে পরিবারের লোকজন তাঁকে উদ্ধার করে প্রথমে মাগুরা ২৫০ শয্যাবিশিষ্ট সদর হাসপাতালে নেন। এরপর তাঁকে ঢাকার শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউট হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।

অভিযুক্ত নাজমুল মোল্যার চাচি রত্না বেগম বলেন, ‘নাজমুল তাঁর সাবেক স্ত্রী আকলিমাকে ফেরত আনতে চেয়েছিল। ওই মেয়েও তাঁর কাছে দুবছরের সময় চেয়েছিল। কিন্তু মেয়ের পরিবার নাজমুলের সঙ্গে বিয়ে দিতে রাজি হয়নি। মেয়েকে অন্য ছেলের সঙ্গে বিয়ে দেওয়ার জন্য ছেলে দেখছিল তারা। কিন্তু মেয়েটিও অন্য কোথাও বিয়ে করবে না বলেই আত্মহত্যার চেষ্টা চালিয়েছিল বলে ধারণা করা হচ্ছে।’

মহম্মদপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) তারক বিশ্বাস বলেন, ওই ঘটনায় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে মামলা হয়েছে। ইতিমধ্যে পাঁচজন আসামিকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তবে তদন্ত শেষ না হওয়া পর্যন্ত এ বিষয়ে উপসংহারে পৌঁছানো যাচ্ছে না।