ভাস্কর্য ভাঙচুর: মাদ্রাসার ২ ছাত্র ও ২ শিক্ষক রিমান্ডে


Dhaka | Published: 2020-12-08 19:05:13 BdST | Updated: 2024-04-29 19:19:53 BdST

কুষ্টিয়ায় ভাস্কর্য ভাঙচুরের ঘটনায় পুলিশের দায়ের করা মামলায় গ্রেফতারকৃত মাদ্রাসার দুই ছাত্রের পাঁচদিন করে এবং দুই শিক্ষকের চারদিন করে রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত।

মঙ্গলবার (৮ ডিসেম্বর) বেলা সাড়ে ১১টায় কুষ্টিয়ার চিফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট এনামুল হকের আদালত শুনানি শেষে এ রিমান্ড মঞ্জুর করেন।

এর আগে আটক চারজনকে সোমবার (০৭ ডিসেম্বর) আদালতে সোপর্দ করে ছাত্রদ্বয়ের ১০ দিন এবং শিক্ষকদ্বয়ের সাতদিন করে রিমান্ড আবেদন করে কুষ্টিয়া মডেল থানা পুলিশ। দুপুর দেড়টায় কুষ্টিয়ার অতিরিক্ত চিফ জুডিসিয়াল আমলি আদালতের বিচারক রেজাউল করীমের আদালতে আসামিদের উপস্থিত করে পুলিশ রিমান্ড আবেদন করলে আদালত তাদের রিমান্ড শুনানির দিন মঙ্গলবার (০৮ ডিসেম্বর) ধার্য করে আসামিদের জেল হাজতে পাঠানোর আদেশ দেন।

পাঁচদিনের রিমান্ডপ্রাপ্তরা হলেন-কুষ্টিয়ার জুগিয়া এলাকার “মাদ্রাসা ইবনে মাসউদ (রা.)” এর হেফজ বিভাগের ছাত্র ও মিরপুর উপজেলার শিংপুর গ্রামের সমশের মৃধার ছেলে আবু বক্কর ওরফে মিঠুন (১৯) এবং দৌলতপুর উপজেলার ফিলিফনগর গ্রামের সামছুল আলমের ছেলে সবুজ ইসলাম ওরফে নাহিদ (২০)।

চারদিনের রিমান্ডপ্রাপ্তরা হলেন-একই মাদ্রাসার শিক্ষক ও মিরপুর উপজেলার ধুবইল গ্রামের আব্দুর রহমানের ছেলে মো. আল আমীন (২৭) এবং পাবনা জেলার দিয়াড় বামুন্দি গ্রামের আজিজুল মণ্ডলের ছেলে মো. ইউসুফ আলী (২৭)।

মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা কুষ্টিয়ার সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি, তদন্ত) নিশিকান্ত সরকার জানান, শহরে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নির্মাণাধীন ভাস্কর্য ভাঙচুরের ঘটনায় গ্রেফতারকৃত চারজনকে ১৯৭৪ সালের বিশেষ ক্ষমতা আইনের ১৫(৩) তৎসহ ৪২৭/৩৪ ধারার মামলায় আদালতে সোপর্দ করে রিমান্ড আবেদন করা হয়। আদালত মঙ্গলবার রিমান্ড শুনানি শেষে দুই মাদ্রাসা ছাত্রের পাঁচদিন এবং দুই শিক্ষকের চারদিন করে রিমান্ড মঞ্জুর করেন।

শুক্রবার (৪ ডিসেম্বর) দিনগত রাত ২টার দিকে দুর্বৃত্তরা বঙ্গবন্ধুর ভাস্কর্য ভাঙচুর করেন। পরে ঘটনাস্থলে থাকা সিসিটিভির ফুটেজ সংগ্রহ করে পুলিশ। ফুটেজ দেখে ভাঙচুরকারীদের শনাক্ত করা হয়। পরদিন শনিবার (০৫ ডিসেম্বর) রাতে কুষ্টিয়ার জুগিয়া এলাকার ওই মাদ্রাসার দুই ছাত্র এবং তাদের সহযোগিতা করার অভিযোগে দুই শিক্ষককে গ্রেফতার করে পুলিশ।