অ্যানি ফ্রাঙ্কের ‘দ্য ডায়েরি অব আ ইয়াং গার্ল’


Dhaka | Published: 2020-06-17 04:40:09 BdST | Updated: 2024-03-29 00:24:24 BdST

অ্যানি ফ্রাঙ্কের ‘দ্য ডায়েরি অব আ ইয়াং গার্ল’

দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময়। হিটলার তখন বিশ্বজয়ের নেশায় উন্মত্ত। ইউরোপের দেশগুলোতে একের পর এক অভিযান চালিয়ে তা দখল করে নিচ্ছিলেন।

অমানবিক নির্যাতনের ভয়ে দিশেহারা হয়ে ইহুদিরা তখন পালিয়ে বেড়াচ্ছিল। এ সময় নেদারল্যান্ডসের এক পরিবার নাজি সেনাদের ভয়ে টানা দুই বছর এক বাড়িতে লুকিয়ে ছিল। এ সময়টাতে অ্যানি ফ্রাঙ্ক নামে এই পরিবারের ছোট্ট এক মেয়ে সময় কাটানোর জন্য ডায়েরি লিখেছিল। যুদ্ধের পর সেই ডায়েরি বই আকারে প্রকাশিত হয়।

দ্য ডায়েরি অব অ ইয়াং গার্ল নামের বইটি বিশ্বে জনপ্রিয়তার শীর্ষে উঠে যায়। অথচ বইটি যুক্তরাষ্ট্রের কয়েকটি অঙ্গরাজ্যে একসময় নিষিদ্ধ করা হয়েছিল। তাদের অভিযোগ, এটিতে অ্যান্টি-সেমিজম এবং নাজি সেনাদের ধ্বংসযজ্ঞের বর্ণনা রয়েছে, যা শিশু-কিশোরদের জন্য উপযোগী নয়। এ বই তাদের কোমল অনুভূতিতে আঘাত হানতে পারে।

মার্ক টোয়েনের ‘দি অ্যাডভেঞ্চার অব টম সয়্যার’

দুষ্টের শিরোমণি টম সয়্যারের কথা হয়তো অনেকেরই জানা। সব সময় সমস্যা তৈরিতে ওস্তাদ টম। ইচ্ছে হলেই রাতবিরাতে বন্ধুর সঙ্গে বাড়ি ছেড়ে চলে যায়। ডাকাতের দল গড়তে গভীর রাতে মিটিং করে, ডাকাতিরও চেষ্টা করে সে। শাস্তির তোয়াক্কা না করে পাজি স্কুলশিক্ষককে শায়েস্তা করতে পিছপা হয় না।

পাশাপাশি বুদ্ধির ঝিলিকও দেখা যায় টমের মধ্যে। এসব কারণেই ১৮৭৬ সালে প্রকাশিত মার্ক টোয়েনের এ বইটি শিশু-কিশোরদের কাছে খুব জনপ্রিয়তা পায়। কিন্তু ঠিক একই কারণে যুক্তরাষ্ট্রের নিউইয়র্ক ও কলোরাডো অঙ্গরাজ্যের লাইব্রেরিগুলোতে বইটি নিষিদ্ধ হয়েছিল।

তাদের অভিযোগ, টম এক বিতর্কিত চরিত্র। এ বই পড়ে শিশু-কিশোরেরা অবাধ্যতা আর দুষ্টুমি ছাড়া আর কিছু শিখতে পারবে না।

//