৩৮তম বিসিএস লিখিত প্রস্তুতি শুরু করবেন যেভাবে


টাইমস অনলাইনঃ | Published: 2018-01-04 22:20:34 BdST | Updated: 2024-11-09 03:48:06 BdST

৩৮তম বিসিএসের প্রিলিমারি পরীক্ষার শেষ হয়েছে ২৯ ডিসেম্বর। প্রিলিমারি পরীক্ষা নিয়ে টেনশন করেছেন। কিন্তু পরীক্ষা নিয়ে চিন্তা এবং প্রশ্ন নিয়ে সমালোচনা কোন কাজেই আসবে না।

বরং লক্ষ্য যখন ক্যাডার হওয়ার। তখন সময় নষ্ট না করাটাই ভালো। এতে প্রিলিমারির ইয়েস কার্ড পেলে দ্বিগুন উৎসাহ পাবেন। একইসাথে একমাস এগিয়ে থাকবেন লিখিত প্রস্তুতিতে। আর প্রিলিমারিতে ইয়েস কার্ড না পেলেও লিখিত পরীক্ষার প্রস্তুতি আপনার ক্ষতি করবে না। বরং আগামী বিসিএস বা অন্য এক্সামে কাজে আসবেই।

মনে রাখতে হবে, বিসিএস লিখিত পরীক্ষা শুধু পাস-ফেলের পরীক্ষা নয়। ভালো নম্বর পেয়ে পাস করার পরীক্ষা।

ক্যাডার হওয়ার স্বপ্ন আপনার এবং এটিকে বাস্তবায়ন করতে হবে আপনাকেই। চেষ্টা চালিয়ে যেতে হবে, সফলতা অবশ্যই আসবে।

কীভাবে প্রস্তুতি নেবেন এসব বিষয় নিয়ে থাকছে বিশেষ আয়োজন। পরামর্শ দিয়েছেন ৩৩তম বিসিএসে সম্মিলিত মেধাতালিকায় প্রথম রিদওয়ান ইসলাম।

বিসিএস পরীক্ষার প্রতিটা ধাপই সমান গুরুত্বপূর্ণ। নিজেকে আরো একবার সেরা প্রমাণ করার সুযোগই হলো লিখিত পরীক্ষা। এ পরীক্ষায় যে যত ভালো করবে প্রত্যাশিত চাকরি পাওয়ার দৌড়ে সে ততটাই এগিয়ে যাবে। পরীক্ষার্থীরা লিখিত পরীক্ষায় ভালো নম্বর অর্জন করার জন্য বিভিন্ন রকমের কৌশল অবলম্বন করে থাকেন। বিষয়ভিত্তিক প্রস্তুতি নেয়ার জন্য আপনি নিচের কৌশলগুলো অনুসরণ করতে পারেন:

১। উত্তর হতে হবে তথ্যবহুল

উত্তর তথ্যবহুল লেখায় সমৃদ্ধ হতে হবে। লিখিত পরীক্ষায় সব প্রশ্নের উত্তর যেন দিয়ে আসতে পারেন সেভাবে সময় বিন্যাস করতে হবে। প্রশ্নের উত্তরে অবান্তর লেখা পরিহার করবেন। লিখিত পরীক্ষায় তথ্যবহুল লেখার গুরুত্ব অনেক বেশি। বিভিন্ন রকমের তথ্য-উপাত্ত দিয়ে প্রশ্নের উত্তর লিখবেন। পরীক্ষক যখন আপনার তথ্যসমৃদ্ধ উত্তরপত্র মূল্যায়ন করবেন তখন স্বাভাবিকভাবে বেশি নম্বর দেবেন।

২। বিষয়ভিত্তিক প্রস্তুতি

বাংলা ব্যাকরণ, ইংরেজি গ্রামার, বাংলা অনুবাদ ও ইংরেজি অনুবাদ, গণিত, সাধারণ বিজ্ঞানের সংক্ষিপ্ত প্রশ্ন, বাংলাদেশ ও আন্তর্জাতিক বিষয়াবলির সংক্ষিপ্ত টীকাগুলোয় পূর্ণ নম্বর পাওয়া যায়। এ বিষয়গুলোতে বেশি নম্বর পেলে তা আপনার সাথে অন্যান্য পরীক্ষার্থীর নম্বরের ব্যবধান বাড়িয়ে দেবে।

৩। নিজের ওপর আত্মবিশ্বাস রাখুন

কঠিন কিছু হাতছাড়া হওয়ার কষ্টের চেয়ে জানা বিষয় হাতছাড়া হওয়ার কষ্টটাই বেশি। শেষ সময়ে এসে নতুন কোনো বিষয়ে সময় ব্যয় করার চেয়ে পুরনো বিষয়গুলো গুরুত্ব দিয়ে পড়ুন।। আপনার মতো অনেকেরই পরীক্ষার আগে ভাবনার শেষ নেই। নিজে যা যা পড়েছেন তার ওপর আস্থা আর বিশ্বাস রাখুন, আপনার অন্যান্য বন্ধু-বান্ধবের প্রস্তুতি দেখে শঙ্কিত হবেন না, আপনার প্রস্তুতিতে কোনো কমতি যেন না থাকে সে দিকে খেয়াল রাখুন। শেষ সময়ে এসে হাল ছেড়ে দেবেন না।

৪। বাংলা প্রবন্ধ ও ইংরেজি রচনা লেখা

বাংলা প্রবন্ধ ও ইংরেজি রচনা লেখায় অনেক বেশি পৃষ্ঠা লিখতে হয়। কাজেই সেভাবে প্রস্তুতি নেবেন। রচনা প্যারা করে লিখবেন। এতে আপনার উত্তর লেখার মান ভালো হবে এবং সবকিছু সুন্দরভাবে উপস্থাপন করবেন। রচনায় যত বেশি তথ্য দেবেন তত বেশি নম্বর পাওয়া যাবে। বাংলা বা ইংরেজি রচনায় বিভিন্ন কবিতার পঙ্ক্তি, লেখক বা কবির উক্তি দিয়ে লিখলে বেশি নম্বর পাবেন। জাতীয় বাজেট, উন্নয়ন, অর্থনীতি, সংবিধান, বিভিন্ন পত্রিকার তথ্য ছক করে ও ম্যাপ অঙ্কন করে লিখলে বেশি নম্বর পাবেন।

বিডিবিএস