ভিকারুননিসা ও আইডিয়ালে অবৈধ ভর্তি ২শ’ শিক্ষার্থী


টাইমস অনলাইনঃ | Published: 2019-01-18 00:09:05 BdST | Updated: 2024-05-15 01:59:00 BdST

রাজধানীর ভিকারুননিসা নূন স্কুল ও কলেজ এবং মতিঝিল আইডিয়াল স্কুল ও কলেজে ঘোষিত আসনের বাইরেও শিক্ষার্থী ভর্তি করা হয়েছে। এর মধ্যে ভিকারুননিসায় মঙ্গল ও বুধবার দু’দিন প্রথম শ্রেণীতে ৯৬ ছাত্রী ভর্তি করা হয়েছে। আজও ওই ভর্তির কাজ চলতে পারে।

অপরদিকে আইডিয়ালে ৭ জানুয়ারি শতাধিক শিক্ষার্থী ভর্তি করা হয়। অথচ নিয়মিত ভর্তি কার্যক্রম ডিসেম্বরে শেষ হওয়ার পর উভয় প্রতিষ্ঠানে ১ জানুয়ারি ক্লাস শুরু হয়েছে।

শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের ২০১৯ সালের ভর্তি নীতিমালা অনুসারে শূন্য আসন সংখ্যা আগেই ঘোষণা দিয়ে তাতে লটারি করে একবারেই ভর্তি কার্যক্রম সম্পন্ন করতে হবে। এই নিয়ম অনুসারে উভয় প্রতিষ্ঠান গত ডিসেম্বরে প্রকাশ্য ভর্তি শেষ করেছে। কিন্তু এরপরও ‘গুপছি’ পদ্ধতিতে পরে আবারও ভর্তি করে। ভর্তিকৃতদের কোনো লটারি করা হয়নি। শূন্য আসন থেকে থাকলে সেটাও আগে প্রকাশ করা হয়নি। সেই হিসেবে এই ভর্তিকে অনেকেই ‘অবৈধ’ হিসেবে উল্লেখ করছেন।

জানা গেছে, প্রভাবশালীদের খুশি করার নামে এই ভর্তি করা হচ্ছে। তবে আড়ালে নানাভাবে সুবিধা নিয়ে এই ভর্তি করা হচ্ছে বলে অভিযোগ উঠেছে। বিধিবহির্ভূত এই ভর্তিতে প্রতিষ্ঠানগুলোর অধ্যক্ষ, গভর্নিং বডির কয়েক সদস্য, স্থানীয় মস্তান এমনকি শিক্ষা বিভাগের কোনো কোনো ব্যক্তি ভাগ পেয়েছেন বলেও অভিযোগ উঠেছে।


এই ভর্তিকে অবশ্য ‘অবৈধ’ বলতে নারাজ ভিকারুননিসার ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ হাসিনা বেগম। তিনি প্রশ্নের জবাবে সাংবাদিকদের বলেন, কারও অনুরোধে যদি আমরা বাড়তি ভর্তি করি তবে তা অবৈধ ভর্তি বলে গণ্য হবে না। ভিকারুননিসা একটি সুনামধারী প্রতিষ্ঠান। অনেকেরই ভর্তির আগ্রহ থাকে এই প্রতিষ্ঠানে। আমাদের সীমাবদ্ধতা থাকায় অতিরিক্ত ভর্তি করতে পারছি না।

তবে আমরা এখনও বাড়তি ভর্তি করানো হয়নি। আর আইডিয়াল স্কুল ও কলেজের অধ্যক্ষ শাহান আরা বেগম যুগান্তরকে বলেন, ‘গভর্নিং বডির নীতিমালা অনুসারেই শিক্ষার্থী ভর্তি করা হয়েছে। ভর্তি আমি করিনি। তাই কতজন ভর্তি করা হয়েছে সেটা বলতে পারব না।’

এদিকে বুধবার ভিকারুননিসায় বাড়তি শিক্ষার্থী ভর্তির খবর পেয়ে দুপুরের দিকে প্রতিষ্ঠানটিতে পরিদর্শনে যান দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) দুই কর্মকর্তা। তারা প্রায় ৩ ঘণ্টা প্রতিষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন। ভিকারুননিসা স্কুলের অভ্যন্তরীণ সূত্রে জানা গেছে, এই ভর্তি নিয়ে প্রশ্ন থাকায় গোপনে ভর্তির ফি গ্রহণের ব্যবস্থা করা হয়।

প্রতিষ্ঠানটির প্রভাতি শাখার এক সহকারী প্রধান শিক্ষকের কক্ষে সংশ্লিষ্ট ব্যাংক কর্মকর্তাদের বসিয়ে অর্থ জমা নেয়া হয়। ‘ম’ আদ্যক্ষরের ওই শিক্ষক গত মাসে পদে বসেছেন।