প্রশ্ন কেনাবেচায় যুক্ত হচ্ছে ছাত্ররা


টাইমস প্রতিবেদক | Published: 2018-02-17 16:20:46 BdST | Updated: 2024-05-21 01:09:11 BdST

প্রশ্নপত্র ফাঁসে যুক্ত গ্রেপ্তার হওয়া তরুণ ও ছাত্ররা ‘প্রশ্ন ফাঁসকে’ অপরাধ হিসেবে মনে করছেন না। তাঁদের কেউ যুক্ত হয়েছেন ‘মৌসুমি ব্যবসা’ হিসেবে শখের জিনিস কেনার জন্য, কেউবা ঝোঁকের বশে। সম্প্রতি ঢাকা মহানগর পুলিশ ও র‍্যাবের কর্মকর্তাদের সঙ্গে কথা বলে এমন তথ্যই জানা গেছে।

এসএসসি পরীক্ষায় ফাঁস হওয়া প্রশ্নপত্র বেচাবিক্রির সঙ্গে যুক্ত থাকার অভিযোগে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা (ডিবি) পুলিশের উত্তর বিভাগ ১৬ জনকে ও র‍্যাব-২ এ পর্যন্ত ৫ জনকে গ্রেপ্তার করেছে। গ্রেপ্তার হওয়া ২১ জনের মধ্যে ১৭ জন ছাত্র। এঁদের মধ্যে নবম শ্রেণির ছাত্র থেকে শুরু করে চিকিৎসাবিদ্যা, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ও কয়েকটি বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ুয়াও রয়েছেন।

ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের একজন কর্মকর্তা বলেন, ইন্টারনেটে প্রশ্ন এতটাই সহজলভ্য যে, যাঁরা ফেসবুক ব্যবহার করেন তাঁদের মধ্য থেকে কেউ দুই হাজার টাকা লগ্নি করে একটা প্রশ্ন কিনে নিজেই আবার প্রশ্ন বিক্রির গ্রুপ খুলে বসছেন। যে কারণে ফেসবুক, হোয়াটসঅ্যাপে হাজার হাজার গ্রুপ তৈরি হয়েছে। তাঁরা কেউ পেশাদার অপরাধী নন। নেহাতই লোভে পড়ে বা ঝোঁকের বশে এই পথে এসেছেন। কিন্তু তাঁদের কাছ থেকে সেই উৎসে পৌঁছানো যাচ্ছে না।

র‍্যাব-২-এর অধিনায়ক লে. কর্নেল আনোয়ার উজ জামান শুক্রবার বলেন, তাঁরা এ পর্যন্ত যে পাঁচজনকে গ্রেপ্তার করেছেন, তাঁরা সবাই বেসরকারি ড্যাফোডিল বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র। তাঁরা ‘দ্বিতীয় পর্যায়ের’ বিক্রেতা। যাঁরা নিজেরা ফেসবুককেন্দ্রিক একটি গ্রুপ থেকে প্রশ্ন কিনে এক থেকে দুই হাজার টাকায় বিক্রি করছিলেন। তিনি বলেন, ‘এঁরা সবাই ছাত্র।’ র‍্যাবের দায়িত্বশীল একজন কর্মকর্তা প্রথম আলোকে বলেন, গ্রেপ্তার পাঁচজনের সবারই আর্থিক অবস্থা ভালো। প্রশ্ন ফাঁসের টাকা দিয়ে একজন ভালো মুঠোফোন, আরেকজন মোটরবাইক কিনবেন বলে মনে আশা ছিল।

র‍্যাব-২–এর আরেকজন কর্মকর্তা বলেন, এমনও পাওয়া গেছে যে একজন এসএসসি পরীক্ষার্থী নিজের জন্য ইন্টারনেট থেকে প্রশ্ন কিনে আবার গ্রুপ খুলে বিক্রির চেষ্টা চালাচ্ছে। নানা দিক বিবেচনা করে ওই কিশোরকে গ্রেপ্তার করা হয়নি, তবে নজরদারিতে রাখা হয়েছে। র‍্যাব ও ডিবির কর্মকর্তারা বলছেন, ইন্টারনেটে ফাঁস হওয়া প্রশ্ন বেচাকেনার জন্য ফেসবুক, মেসেঞ্জার, হোয়াটসঅ্যাপ ও ইমো অ্যাপ্লিকেশন ব্যবহার করে কয়েক হাজার গ্রুপ খোলা হয়েছে। এ গ্রুপগুলো পরস্পর এমনভাবে সম্পর্কিত, যা ছড়িয়ে আছে জালের মতো। এসব ঘেঁটে ফাঁসের উৎসে যাওয়ার চেষ্টা চলছে।

এসএম/ ১৭ ফেব্রুয়ারি ২০১৮