ঢাবি ভর্তি পরীক্ষা : এক আসনের বিপরীতে ৪৭ জন


DU Correspondent | Published: 2024-01-09 19:56:33 BdST | Updated: 2024-05-02 06:29:56 BdST

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) ২০২৩-২৪ শিক্ষাবর্ষের আন্ডারগ্র্যাজুয়েট ভর্তি পরীক্ষার আবেদন শেষ হয়েছে গত ৫ জানুয়ারি। সময়সীমা শেষ হওয়া পর্যন্ত ৪টি ইউনিটের ৫ হাজার ৯৬৫ আসনের জন্য মোট আবেদন জমা পড়েছে ২ লাখ ৭৯ হাজার ২টি। সে অনুযায়ী, আসন প্রতি আবেদন পড়েছে প্রায় ৪৭টি।

মঙ্গলবার (৯ জানুয়ারি) বিকেলে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় অনলাইন ভর্তি পরীক্ষা কমিটির আহ্বায়ক অধ্যাপক ড. মো. মোস্তাফিজুর রহমান এসব তথ্য নিশ্চিত করেন। আগামী ৮ ফেব্রুয়ারি থেকে পরীক্ষা শুরুর এক ঘণ্টা আগ পর্যন্ত ভর্তি পরীক্ষার প্রবেশপত্র ডাউনলোড করা যাবে।

এ পর্যন্ত ‘'ক’ ইউনিট বা, বিজ্ঞান ইউনিটে ১ হাজার ৮৫১টি এবং আসনের জন্য মোট আবেদন জমা পড়েছে ১ লাখ ২২ হাজার ৮০টি। এই অনুষদে প্রতি লড়বেন ৬৯ জন শিক্ষার্থী।

‘খ’ ইউনিট বা কলা আইন ও সামাজিক বিজ্ঞান অনুষদে ২ হাজার ৯৩৪টি আসনের বিপরীতে আবেদন পড়েছে ১ লাখ ১২ হাজার ২২৫টি। যেখানে আসন প্রতি লড়বেন ৪১ জন শিক্ষার্থী।

‘গ’ ইউনিট বা ব্যবসায় শিক্ষা ইউনিট ১ হাজার ৪০টি আসনের বিপরীতে আবেদন পড়েছে ৩৭ হাজার ৬৬০ জন শিক্ষার্থী। এই ইউনিটে মোট আসন সংখ্যা ১ হাজার ৫০ জন এবং আসন প্রতি লড়বেন ৩৯ জন শিক্ষার্থী।

‘ চ’ ইউনিট বা, চারুকলা ইউনিটের ১৩০টি আসনের বিপরীতে মোট আবেদন সংখ্যা ৭ হাজার ৩৭টি এবং আসন প্রতি লড়বেন ৫৪ জন শিক্ষার্থী।

আইবিএতে ২ হাজার ৮২৯টি আবেদন জমা পড়েছে। এই ইউনিটে আবেদনের শেষ সময় ২২ জানুয়ারি।

এদিকে আগামী ২৩ ফেব্রুয়ারি (শুক্রবার) কলা, আইন ও সামাজিক বিজ্ঞান ইউনিটের মধ্য দিয়ে শুরু হবে ঢাবির ভর্তি পরীক্ষা। এরপর ২৪ ফেব্রুয়ারি (শনিবার) ব্যবসায় শিক্ষা ইউনিট, ১ মার্চ (শুক্রবার) বিজ্ঞান ইউনিট এবং ৯ মার্চ (শনিবার) অনুষ্ঠিত হবে চারুকলা ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষা (সাধারণ জ্ঞান ও অঙ্কন)৷

সব ইউনিটের পরীক্ষা বেলা ১১টা থেকে দুপুর সাড়ে ১২টা পর্যন্ত অনুষ্ঠিত হবে। চারুকলা ইউনিট ছাড়া অন্য তিনটি ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষা ঢাকাসহ আটটি বিভাগীয় শহরে অনুষ্ঠিত হবে। বিভাগীয় কেন্দ্রগুলো হচ্ছে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়, বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়, খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়, শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়, বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় ও বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়।

ভর্তি পরীক্ষা কমিটির সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, ভর্তি পরীক্ষায় মোট ১২০ নম্বরের ভিত্তিতে শিক্ষার্থীদের মূল্যায়ন করা হবে৷ এর মধ্যে ভর্তি পরীক্ষায় ১০০ এবং মাধ্যমিক বা সমমান এবং উচ্চ মাধ্যমিক বা সমমানের পরীক্ষার ফলাফলের ওপর থাকবে ২০ নম্বর৷ চারুকলা ইউনিট ছাড়া অন্য ইউনিটগুলোয় ৬০ নম্বরের বহুনির্বাচনী ও ৪০ নম্বরের লিখিত পরীক্ষা হবে।

শুধু চারুকলা ইউনিটের পরীক্ষায় ৪০ নম্বরের বহুনির্বাচনী ও ৬০ নম্বরের অঙ্কন পরীক্ষা নেওয়া হবে৷ এই ইউনিটের বহুনির্বাচনী পরীক্ষার জন্য ৩০ মিনিট এবং লিখিত পরীক্ষার জন্য ৬০ মিনিট সময় থাকবে৷ অন্য ইউনিটগুলোয় বহুনির্বাচনী পরীক্ষার জন্য ৪৫ মিনিট এবং লিখিত পরীক্ষার জন্য ৪৫ মিনিট সময় থাকবে৷