দেশের সেরা ১০ বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়


টাইমস ডেস্ক | Published: 2017-11-10 23:31:01 BdST | Updated: 2024-03-29 18:40:48 BdST

দেশের বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর র‍্যাংকিং করতে বাংলা ট্রিবিউন-ঢাকা ট্রিবিউন যৌথ উদ্যোগে একটি গবেষণা পরিচালনা করেছে। এই র‌্যাংকিংয়ের শীর্ষে রয়েছে ব্র্যাক ইউনিভার্সিটি। র‍্যাংকিং অনুযায়ী শীর্ষ দশ বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় হলো-

১. ব্র্যাক ইউনিভার্সিটি (স্কোর: ৭৮.৯৫)

বিশ্বের সবচেয়ে বড় এনজিও ব্র্যাক, তারাই এই ইউনিভার্সিটি প্রতিষ্ঠা করে ২০০১ সালে। অধ্যাপক ড. সৈয়দ সাদ আন্দালিব বর্তমান উপাচার্য। মহাখালীর বীর উত্তম এ কে খন্দকার সড়কে কয়েকটি ভবনে শিক্ষা কার্যক্রম চালায়। বিশ্ববিদ্যালয়টির স্থায়ী ক্যাম্পাস রাজধানীর বনশ্রীতে নির্মাণাধীন। ক্যাম্পাসটি চালুর সম্ভাব্য সাল ২০১৯। ১৬টি অনার্স ও ১৬টি মাস্টার্সসহ মোট ৩২টি অ্যাকাডেমিক প্রোগ্রাম রয়েছে এখানে। বিশ্ববিদ্যালয়টির মোট ছাত্র সংখ্যা ৬৫২৩ জন এবং শিক্ষক সংখ্যা ৮৬২জন।

২. নর্থ সাউথ ইউনিভার্সিটি (স্কোর: ৭১.১৩)

১৯৯২ সালে প্রতিষ্ঠিত নর্থ সাউথ ইউনিভার্সিটি বাংলাদেশের প্রথম প্রাইভেট ইউনিভার্সিটি। অধ্যাপক আতিকুল ইসলাম বর্তমান উপাচার্য। ২০০৯ সালে বিশ্ববিদ্যালয়টি তাদের বসুন্ধরা আবাসিক এলাকায় ১২ লাখ বর্গফুট আয়তনের স্থায়ী ক্যাম্পাসে স্থানান্তরিত হয়। বিশ্ববিদ্যালয়টির মোট ছাত্র সংখ্যা ১৩৯৯০ জন এবং শিক্ষক সংখ্যা ১২৫৬ জন।

৩. ইন্ডিপেনডেন্ট ইউনিভার্সিটি, বাংলাদেশ (স্কোর: ৬৮.০৮)

ইন্ডিপেনডেন্ট ইউনিভার্সিটি স্থাপিত হয় ১৯৯৩ সালে। অধ্যাপক এম ওমর রহমান বিশ্ববিদ্যালয়টির উপাচার্য। ১০টি বিভাগে ২৮টি অনার্স ও ১৫টি মাস্টার্স ডিগ্রি প্রদান করে আইইউবি। এই বিশ্ববিদ্যালয়ের স্থায়ী ক্যাম্পাসও বসুন্ধরা আবাসিক এলাকায়, তিন একর জায়গার ওপর। স্থায়ী ক্যাম্পাস চালু হয় ২০১১ সালে। বিশ্ববিদ্যালয়টির মোট ছাত্র সংখ্যা ৫৩৭৬ জন এবং শিক্ষক সংখ্যা ৩৮৫ জন।

৪. আহসানউল্লাহ ইউনিভার্সিটি অব সায়েন্স অ্যান্ড টেকনোলজি (স্কোর: ৬৫.৪৪)

অলাভজনক প্রতিষ্ঠান আহসানিয়া মিশন এই ইউনিভার্সিটি প্রতিষ্ঠা করে ১৯৯৫ সালে। ইউনিভার্সিটির শিক্ষা কার্যক্রম পরিচালিত হয় তেজগাঁওয়ের ১.৬ একরের স্থায়ী ক্যাম্পাসে। ড. এএমএম সাফিউল্লাহ বর্তমান উপাচার্য। আহসানউল্লাহ ইউনিভার্সিটি নয়টি অনার্স ও চারটি মাস্টার্স ডিগ্রি দিয়ে থাকে। ইউনিভার্সিটির একটি কারিগরি শিক্ষা ইন্সটিটিউটও আছে যেখানে ডিপ্লোমা ডিগ্রি দেওয়া হয়। তাদের ছাত্র সংখ্যা ৬৮৪৩ জন এবং শিক্ষক সংখ্যা ৩৬৩ জন।

৫. আমেরিকান ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি বাংলাদেশ (স্কোর: ৬৫.১৬)

স্থাপিত হয় ১৯৯৪ সালে। ড. কারমেন জেড লামাগনা বর্তমান উপাচার্য। প্রতিষ্ঠানটি ২৩টি বিষয়ে অনার্স ও ১৪টি মাস্টার্স ডিগ্রি দেয়। বনানীর কামাল আতাতুর্ক এভিনিউতে ছয়টি বাণিজ্যিক ভবনে শিক্ষা কার্যক্রম পরিচালনা করছে। কুড়িলের কুড়াতলি রোডে ৭.৩৩ একর জায়গার ওপর নির্মাণ করা হচ্ছে স্থায়ী ক্যাম্পাস। ছাত্র সংখ্যা ১০,৫৭১ জন এবং শিক্ষক সংখ্যা ৪২০ জন।

৬. ইউনিভার্সিটি অব লিবারেল আর্টস বাংলাদেশ (স্কোর: ৬৩.০০)

ইউল্যাবের যাত্রা শুরু ২০০৪ সালে। এই র‍্যাংকিংয়ের শীর্ষ দশে অবস্থানকারী ইউনিভার্সিটির মধ্যে এটির বয়স সবচেয়ে কম। ২০০৬ সালে ধানমণ্ডিতে নিজেদের ভবনে কার্যক্রম শুরু করে ইউল্যাব। ২০০৮ সালে একই এলাকায় আরেকটি নিজস্ব ভবন যুক্ত হয় দ্বিতীয় ক্যাম্পাস হিসেবে। মোহাম্মাদপুরের রামচন্দ্রপূরে কয়েক একর জায়গার ওপর একটি স্থায়ী ক্যাম্পাস নির্মাণাধীন আছে। ইউল্যাব ছয়টি অনার্স ও চারটি মাস্টার্স ডিগ্রি প্রদান করে। তাদের ছাত্র সংখ্যা ৪২০১ জন এবং শিক্ষক সংখ্যা ৩১১ জন।

৭. ইস্ট ওয়েস্ট ইউনিভার্সিটি (স্কোর: ৬২.৯৯)

১৯৯৬ সালে প্রতিষ্ঠিত এই বিশ্ববিদ্যালয়টি বাংলাদেশের সবচেয়ে পুরনো প্রাইভেট ইউনিভার্সিটিগুলোর মধ্যে অন্যতম। ড. এমএম শহীদুল হাসান ইস্ট ওয়েস্টের বর্তমান উপাচার্য। শুরুর দিকে ভাড়া করা ভবনে শিক্ষা কার্যক্রম চালু করে ইস্ট ওয়েস্ট। ২০১২ সালে ৪ লাখ ৬০ হাজার বর্গফুটের স্থায়ী ক্যাম্পাসে কার্যক্রম চালু হয়। ক্যাম্পাসটি আফতাবনগরে অবস্থিত। ১৪টি বিষয়ে অনার্স ও ১৩টি বিষয়ে মাস্টার্স ডিগ্রি দিচ্ছে ইস্ট ওয়েস্ট ইউনিভার্সিটি। এখানে ছাত্র সংখ্যা ১০,৪০০ জন এবং শিক্ষক সংখ্যা ৪৭৮ জন।

৮. দ্য ইউনিভার্সিটি অব এশিয়া প্যাসিফিক (স্কোর: ৬১.৩৬)

ইউনিভার্সিটি অব এশিয়া প্যাসিফিক প্রতিষ্ঠিত হয় ১৯৯৬ সালে। ফার্মগেটে নিজস্ব ক্যাম্পাসে এটি শিক্ষা কার্যক্রম পরিচালনা করছে। বিশ্ববিদ্যালয়টির উপাচার্য জামিলুর রেজা চৌধুরী। তারা আটটি অনার্স ও নয়টি বিষয়ে মাস্টার্স ডিগ্রি দিয়ে থাকে। এখানে মোট ছাত্র সংখ্যা ৪২৮৮ জন এবং শিক্ষক সংখ্যা ৪১৯ জন।

৯. ইউনাইটেড ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি (স্কোর: ৬১.২৫)

ইউআইইউ প্রতিষ্ঠিত হয় ২০০৩ সালে। বর্তমান উপাচার্য ড. মোহাম্মাদ রেজওয়ান খান। ১০টি বিষয়ের ওপর ১৩টি অ্যাকাডেমিক প্রোগ্রাম পরিচালনা করে থাকে ইউআইইউ। যার মধ্যে সাতটি অনার্স ও ছয়টি মাস্টার্স। ধানমণ্ডিতে তাদের দুটি ক্যাম্পাস রয়েছে। সাত মসজিদ রোডে এই বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান ক্যাম্পাস অবস্থিত। যার আয়তন ৮০ হাজার বর্গফুট। বাড্ডার সাতারকুলের ইউনাইটেড সিটিতে একটি স্থায়ী ক্যাম্পাস নির্মাণাধীন আছে। মোট ছাত্র সংখ্যা ৭১০৪ জন এবং শিক্ষক সংখ্যা ৩৩১ জন।

১০. ড্যাফোডিল ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি (স্কোর: ৫৬.৪৭)

ড্যাফোডিল ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি কার্যক্রম শুরু করে ২০০২ সালে। ইউনিভার্সিটি হিসেবে আত্মপ্রকাশের পূর্বে প্রতিষ্ঠাতাদের ড্যাফোডিল ইন্সটিটিউট অব ইনফরমেশন টেকনলজি নামে একটি প্রতিষ্ঠান ছিল। বিশ্ববিদ্যালয়টি তথ্য প্রযুক্তি ভিত্তিক শিক্ষা প্রদান করে। ধানমণ্ডির মিরপুর রোডে ড্যাফোডিল টাওয়ারে ক্লাস হয়। সাভারের আশুলিয়ায় ২৪.৫ একর জায়গার ওপর একটি স্থায়ী ক্যাম্পাস নির্মাণাধীন। ২০টি অনার্স ও আটটি বিষয়ে মাস্টার্স ডিগ্রি প্রদান করে ড্যাফোডিল। এখানে ছাত্র সংখ্যা ১৩৬৭৯ জন এবং শিক্ষক সংখ্যা ৭১৪ জন।

এসজে/ ১০ নভেম্বর ২০১৭

//