তিনজন ধরে আবরারের দেহ সিড়িতে রেখে যায়


টাইমস ডেস্ক | Published: 2019-10-08 10:21:51 BdST | Updated: 2024-05-15 11:33:57 BdST

সামাজিকমাধ্যম ফেসবুকে স্ট্যাটাসের জের ধরে বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) শিক্ষার্থী আবরার ফাহাদকে হত্যা করা হয়েছে। পুলিশের বরাত দিয়ে একাধিক গণমাধ্যমে এ খবর প্রকাশিত হয়েছে।

রোববার (৬ অক্টোবর) রাত তিনটার দিকে শেরেবাংলা হলের দ্বিতীয় তলা থেকে আবরারের মরদেহ উদ্ধার হয়। লাশ ময়না তদন্ত শেষে চিকিৎসকরাও নিশ্চিত করেছেন, শারীরিক নির্যাতনের কারণে আবরারের মৃত্যু হয়েছে।

রোববার সন্ধ্যায় ডিএমপির অতিরিক্ত কমিশনার কৃষ্ণপদ রায় সাংবাদিকদের বলেন, ‘বুয়েট শিক্ষার্থী ফাহাদ হত্যার ঘটনায় শনাক্ত ৯ জনকে আটক করেছি। তাদের জিজ্ঞাসাবাদ চলছে। আমরা সিসিটিভি ফুটেজ পেয়েছি। সেটা পর্যালোচনা করছি।’

আটকরা হলেন -বুয়েট শাখা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক মেহেদি হাসান রাসেল, সহসভাপতি মুস্তাকিম ফুয়াদ, সহসম্পাদক আশিকুল ইসলাম বিটু, উপ দফতর সম্পাদক মুজতবা রাফিদ, উপ সমাজকল্যাণ সম্পাদক ইফতি মোশাররফ সকাল, উপ আইন সম্পাদক অমিত সাহা, ক্রিড়া সম্পাদক সেফায়েতুল ইসলাম জিওন, তথ্য ও গবেষণা সম্পাদক অনিক সরকার, গ্রন্থ ও গবেষণা সম্পাদক ইশতিয়াক মুন্সি।

গত ৫ অক্টোবর ফেসবুকে একটি স্ট্যাটাস দেন আবরার। যেখানে ভারতের সঙ্গে বাংলাদেশের পানি ও গ্যাস চুক্তির বিষয়ে লিখেন। সেই স্ট্যাটাস নজরে আসার পর ছাত্রলীগের বুয়েট শাখার কয়েকজন নেতাকর্মী আবরারকে ডেকে আনে। রোববার সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার দিকে আবরারকে শের-ই-বাংলা হলের ২০১১ নম্বর কক্ষে নিয়ে যায় তারা। মারধরের এক পর্যায়ে মুমূর্ষ হয়ে পড়লে উপায়ান্তর না দেখে আবরারকে তিন-চার জনে ধরে দোতলা ও নিচতলার সিঁড়ির মধ্যবর্তী জায়গায় নিয়ে ফেলে রাখে যায়। সোমবার সন্ধ্যায় প্রকাশ হয়ে পড়া সিসিটিভির ফুটেজেও বিষয়টি ধরা পড়ে।

সিড়িতে রেখে হল প্রভোস্ট ও চিকিৎসককে খবর দেয় ছাত্রলীগের কর্মীরাই। কিন্তু এরইমধ্যে প্রাণ হারান আবরার। চিকিৎসক এসে আবরারকে মৃত ঘোষণা করেন। তখন কর্তৃপক্ষ পুলিশে খবর দেয়।

এসকে/ ৮ অক্টোবর ২০১৯