আতঙ্কে ক্যাম্পাস ছাড়ছেন জাবি শিক্ষার্থীরা


টাইমস ডেস্ক | Published: 2019-11-06 07:50:22 BdST | Updated: 2024-04-29 11:26:01 BdST

জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় (জাবি) প্রশাসনের নির্দেশনা অনুযায়ী হল ছাড়তে শুরু করেছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের আবাসিক শিক্ষার্থীরা।

মঙ্গলবার (৫ নভেম্বর) বিকাল ৪টা থেকে হল ছেড়ে যেতে শুরু করেন তারা। এর আগে দুপুর আড়াইটার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য ফারজানা ইসলামের নেতৃত্বে সিন্ডেকেটের জরুরি এক সভায় শিক্ষার্থীদের হল ছাড়ার নির্দেশনা দেওয়া হয়।

সরেজমিনে দেখা যায়, জাবির ১৬টি হলের শিক্ষার্থীরা যেন দ্রুত হল ত্যাগ করে সে বিষয়ে বারবার হল প্রশাসনের পক্ষ থেকে নির্দেশ দেওয়া হচ্ছে। এছাড়া বিশেষ করে মেয়েদের ৮টি হলের শিক্ষার্থীরা যেন দ্রুত হলে ত্যাগ করে বাড়ি চলে যায় এমন নির্দেশনাও দিচ্ছে প্রশাসন।

আরও দেখা যায়, প্রশাসনের এমন নির্দেশনা ও আন্দোলনকারীদের ওপর হামলা ঘটনায় ক্যাম্পাসে আতঙ্ক বিরাজ করছে। আর এই আতঙ্কিত পরিবেশ থেকে নিজেদের নিরাপদ রাখতে জাবির অধিকাংশ সাধারণ শিক্ষার্থীরা বাড়ির উদ্দেশে রওনা হচ্ছেন।

এর আগে দুপুরের দিকে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে আন্দোলনকারীদের ওপর হামলার ঘটনায় বিশ্ববিদ্যালয় অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ ঘোষণা করেছে কর্তৃপক্ষ। এছাড়া শিক্ষার্থীদের হল ছাড়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

মঙ্গলবার দুপুর আড়াইটার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য ফারজানা ইসলামের নেতৃত্বে সিন্ডেকেটের জরুরি এক সভায় এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।

দুর্নীতির অভিযোগে জাবি উপাচার্য অধ্যাপক ফারজানা ইসলামের বিরুদ্ধে বেশ কিছুদিন ধরেই আন্দোলন চলছে। মঙ্গলবার দুপুর ১২টার দিকে আন্দোলকারীর শিক্ষক ও শিক্ষার্থীদের ওপর হামলা চালায় বিশ্ববিদ্যালিয় শাখা ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা। হামলায় আট জন শিক্ষকসহ অন্তত ২৫ জন আহত হওয়ার খবর পাওয়া যায়।

শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি মো. জুয়েল রানার নেতৃত্বে বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিবহন চত্বর থেকে একটি বিক্ষোভ মিছিল নিয়ে এসে আন্দোলনরতদের ওপর হামলা চালায় ছাত্রলীগ। হামলা চলাকালে উপাচার্যের বাসভবনের নিরাপত্তায় নিয়োজিত পুলিশকে নীরব ভূমিকা পালন করতে দেখা যায়। এছাড়া উপাচার্যপন্থী শিক্ষক-কর্মকর্তাদের 'ধর ধর', 'জবাই কর' স্লোগান দিয়ে হামলায় উসকানি দিতে দেখা গেছে।

‘দুর্নীতির বিরুদ্ধে জাহাঙ্গীরনগর’ মঞ্চের মুখপাত্র অধ্যাপক রায়হান রাইন বলেন, ‘প্রথমে উপাচার্যপন্থী শিক্ষকদের একটি দল আন্দোলনরতদের ওপর হামলার চেষ্টা চালায়। এতে তারা ব্যর্থ হয়ে ছাত্রলীগ পাঠায়। ছাত্রলীগ এসে ন্যাক্কারজনকভাবে শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের হামলা করে। এতে অনেকেই আহত হয়। আমরা এই হামলার নিন্দা জানাই। বলপ্রয়োগ করে কোনও প্রশাসন টিকে থাকতে পারে না। হামলাবাজ উপাচার্যকে দ্রুত সরিয়ে নিতে সরকারের কাছে দাবি জানাই।'

এসএম/ ০৫ নভেম্বর ২০১৯