শিশু ও কিশোরদের অধিকার সংরক্ষণ নিয়ে কাজ করা তরুণদের সংগঠন ‘ফিউচার ফ্লেয়ার ফাউন্ডেশন’ এর পক্ষ থেকে পথশিশুদের ‘প্রজন্মের প্রতিফল’ অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। এতে পথশিশুদের চিত্রাংকন, হাতে তৈরি বিভিন্ন ক্রাফট বানানো, শিশুদের খেলাসহ বিভিন্ন বিষয়ে প্রতিযোগিতার আয়োজন করা হয়।
শুক্রবার (২৯ মার্চ) ঢাকার ধানমন্ডিতে রবীন্দ্র সরোবরে সকাল ১১ টা থেকে দিনব্যাপী এ প্রতিযোগীতাটি আয়োজিত হয়। অনুষ্ঠানে ঢাকার রবীন্দ্র সরোবর এলাকার প্রায় ২০জন পথশিশু নিয়ে এ অনুষ্ঠানটি আয়োজিত হয়।
দিনের শুরুতে অনুষ্ঠানে প্রথমেই শিশুদের হাতের তৈরি বিভিন্ন জিনিস তৈরির প্রতিযোগিতা হয়। এতে শিশুরা কাগজ, প্লাস্টিসহ অন্যান্য উপাদান দিয়ে বিভিন্ন আকৃতির বস্তু তৈরি করে। পরবর্তীতে জুম্মার নামাজের আগ পর্যন্ত চলে চিত্রাংকন প্রতিযোগীতা। এতে প্রতিযোগীরা বিভিন্ন বিষয়ের উপর চিত্র অংকন করে। পরে শিশুদের নিয়ে নির্ধারিত কিছু খেলার আয়োজন করা হয়। খেলা শেষে শিশুদের নিয়ে সংগঠনের কর্মীদের ফটোসেশন ও প্রতিযোগীতার পুরষ্কার বিতরণী চলে। শেষে সবাইকে নিয়ে একত্রে ইফতারের আয়োজন করে ফিউচার ফ্লেয়ার ফাউন্ডেশনের সদস্যরা।
অনুষ্ঠানে ফিউচার ফ্লেয়ার ফাউন্ডেশন এর আজকের অনুষ্ঠানের আহবায়ক জয়ীতা বিশ্বাস ত্রয়ীর সভাপতিত্বে সংগঠনের অনুষ্ঠান সমন্বয়ক নাফিসা তাবাসসুম জান্নাত ও তৃষ্ণা বিশ্বাস শ্রাবণী উপস্থিত ছিলেন। এছাড়া সংগঠনের সেচ্ছাসেবক হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ফাহিমুল ইসলাম বিজয়, সাকিব বিন কবির ও সাকিব খান।
জয়ীতা বিশ্বাস ত্রয়ী বলেন, আমাদের আজকের অনুষ্ঠানের প্রধান মটো হলো দেখে দেখে শিখবো। এখানে আমরা অনেক পথশিশুদের সাথে বিভিন্ন বিষয় নিয়ে সময় অতিবাহিত করেছি। এতো অপ্রাপ্তির মাঝেও তাদের মেধা ও তাদের বিভিন্ন প্রতিযোগীতায় অংশগহণ আমদের সত্যিই মুগ্ধ করেছে। তাদের সুপ্ত প্রতিভা বিকাশের জন্য এই সংগঠনের সামান্য এই আয়োজন। ঈদ কার্ড বানানো, ফুল বিক্রি করা, চিত্র অংকন করাসহ বিভিন্ন বিষয়ে তাদের মেধার বিকাশ আমরা দেখেছি। পরিবেশের পরিচ্ছন্নতা নিয়েও তাদের ব্যাপক আগ্রহ বেড়েছে। যদি আমরা এভাবে চালিয়ে যেতে পারি তবে তাদের মানসিক বিকাশটা খুব ভালোভাবেই উন্নত হবে। তাদের মেধার উন্নতি সাধন করে একটি উজ্জ্বল ভবিষ্যৎ প্রদানই আমাদের লক্ষ্য।
উল্লেখ্য, “ফিউচার ফ্লেয়ার ফাউন্ডেশন” তরুণদের নেতৃত্বে একটি সংগঠন যারা শিশু ও কিশোরদের অধিকার সংরক্ষন, ভবিষ্যতের সম্ভাবনা এবং সফলতা অর্জনে সক্রিয়ভাবে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। শিশু ও কিশোরদের অধিকার আদায় এবং পূর্ণাঙ্গ ও উন্নতিশীল জীবনের সফলতা নিশ্চিত করতে কাজ করে যাচ্ছে সংগঠনটি।
