শেরপুরে ২৩৬টি বিদ্যালয়ে নেই প্রধান শিক্ষক


শেরপুর টাইমস | Published: 2017-09-03 17:45:09 BdST | Updated: 2024-05-01 00:46:33 BdST

দীর্ঘদিন ধরে নিয়োগ ও পদোন্নতি না হওয়ায় শেরপুরে ২৩৬টি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে প্রধান শিক্ষকের পদ শূণ্য রয়েছে। সহকারী শিক্ষকরা ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক হিসেবে দায়িত্ব পালন করায় শিক্ষা কার্যক্রম ব্যাহত হচ্ছে বলে অভিযোগ করেন অভিভাবক ও সহকারী শিক্ষকরা। এ অবস্থায়, জেলা প্রশাসনের শীর্ষ কর্মকর্তা বলছেন, প্রশাসনিক জটিলতার কারণে শূণ্য পদগুলো পূরণ করা সম্ভব হচ্ছেনা।

দীর্ঘ ৮ বছর ধরে পলাশিয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে নেই প্রধান শিক্ষক। ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক দিয়ে খুঁড়িয়ে খুঁড়িয়ে চলছে বিদ্যালয়টি। শুধু পলাশিয়া নয়, শেরপুরের ৫ উপজেলার ৭শ' ২৮টি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের মধ্যে ২শ' ৩৬টি বিদ্যালয়ে নেই প্রধান শিক্ষক।

সহকারী শিক্ষকরা ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক হিসেবে দায়িত্ব পালন করায় শিক্ষা কার্যক্রম ব্যাহত হচ্ছে বলে অভিযোগ করেন সহকারী শিক্ষক ও অভিভাবকরা। আর শূন্য পদে নিয়োগ না দেয়ায় ক্ষুদ্ধ পদন্নোতি প্রত্যাশী শিক্ষকরা।

তারা বলেন, মূলত প্রধান শিক্ষকের ক্লাস থাকে। আমাদের ক্লাস করে প্রধান শিক্ষকের ক্লাস করা কষ্টকর। আমরা চাই আমাদের দ্রুত পদন্নোতির ব্যবস্থা করা হোক। প্রধান শিক্ষকের শূন্যপদ দ্রুত পূরণ করার দাবি জানাচ্ছি।

শূন্য পদগুলো পূরণের জন্য সংশ্লিষ্ট দফতরকে অবহিত করা হয়েছে বলে জানালেন জেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা।

জেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা বলেন, চলতি দায়িত্ব পালনের জন্যে আমরা শূন্যপদের তালিকা পাঠিয়েছি। প্রাথমিক শিক্ষা মন্ত্রণালয় শূন্যপদের ব্যবস্থা করবেন।

তবে, জেলা প্রশাসনের শীর্ষ কর্মকর্তা বলছেন, প্রধান শিক্ষক পদে নিয়োগ পিএসসি'র তত্ত্বাবধায়নে থাকায় এবং প্রশাসনিক জটিলতার কারণে পদগুলো পূরণ করা সম্ভব হচ্ছে না।

জেলা প্রশাসক বলেন, এই শূন্য থাকার কারণ কিছু প্রশাসনিক। এটি পিএসসি'র মাধ্যমে পরীক্ষা দিয়ে আসতে হয়। সেখানে সফলতা সাপেক্ষে দ্বিতীয় শ্রেণীতে উন্নয়ন করা হবে।

শেরপুর সদরে ৬৬, নালিতাবাড়িতে ৪৭, ঝিনাইগাতীতে ৩৪, নকলায় ৪১ এবং শ্রীবরদী উপজেলায় ৪৮টি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে প্রধান শিক্ষকের পদ শূন্য রয়েছে। খবর সময় সংবাদ।

এসএম/ ০৩ সেপ্টেম্বর ২০১৭