সফলতা মিলেছে মেডিকেল কলেজে ভর্তি পরীক্ষায়

প্রশ্নপত্র ফাঁসরোধে তিন তরুণের নতুন প্রযুক্তি 'স্মার্টবক্স'


টাইমস ডেস্ক | Published: 2017-11-09 16:50:21 BdST | Updated: 2024-05-05 12:27:32 BdST

প্রশ্নপত্র ফাঁসরোধে এবার তিন তরুণ প্রকৌশলী নিয়ে এলো নতুন প্রযুক্তি স্মার্টবক্স। এ প্রযুক্তি ব্যবহারে সফলতা মিলেছে মেডিকেল কলেজে ভর্তি পরীক্ষায়। প্রযুক্তিটির মাধ্যমে ঘরে বসেই প্রশ্ন বহন করা বাক্সটি কোথায় যাচ্ছে কিংবা নির্দিষ্ট সময়ের আগে কেউ খুলছে কিনা তা মনিটরিং করা যায়।

শিক্ষাবিদরা বলছেন, প্রশ্নপত্র ফাঁসরোধে সরকারের সদিচ্ছা নেই বলেই এসব প্রযুক্তি তারা ব্যবহার করছে না।

প্রশ্নপত্র ফাঁসরোধে এভাবেই কখনও পরীক্ষা কেন্দ্রে আগে আসা কিংবা কালো গ্লাসের গাড়িতে প্রশ্ন বহন না করাসহ নানা ফর্মুলা দিয়ে আসছেন শিক্ষামন্ত্রী। কিন্তু কাজের কাজ হচ্ছে না কিছুই। বরং দিন দিন প্রশ্নপত্র ফাঁসের ব্যাপকতা বাড়ছে। যা থেকে বাদ যায় নি বিসিএস কিংবা মেডিকেল কলেজে ভর্তি পরীক্ষাও।

এই যখন পরিস্থিতি তখন ২০১৬ সাল থেকে মেডিকেল কলেজ ভর্তি পরীক্ষায় প্রশ্নপত্র ফাঁসরোধে নতুন একটি প্রযুক্তি নিয়ে কাজ শুরু করেন তিন তরুণ ইঞ্জিনিয়ার। তারা প্রথমত যেখানে প্রশ্নপত্র তৈরি হয় ও যে ২০ জন নিরক্ষর কর্মচারী তা ছাপানোর কাজে নিযুক্ত থাকেন তাদের নেটওয়ার্কের বাইরে রাখতে ব্যবহার করেন বিশেষ চারটি জ্যামার। এরপর সেই প্রশ্ন দেশের বিভিন্ন জেলার পরীক্ষা কেন্দ্রে পৌঁছানো এবং উত্তরপত্র ফের ঢাকার ডিজি অফিসে আসা পর্যন্ত পুরো প্রক্রিয়াই ট্র্যাকারের আওতায় নিয়ে আসেন।

সরকারী তথ্যমতে, ১৯৭৯ সালে এসএসসি পরীক্ষায় প্রথমবারের মতো প্রশ্নপত্র ফাঁস হয়। এরপর থেকে এ পর্যন্ত বিসিএসসহ বিভিন্ন চাকুরী, ভর্তি পরীক্ষা ও পাবলিক পরীক্ষার অন্তত ৮২ বার প্রশ্নপত্র ফাঁস হয়েছে। সূত্র: সময় সংবাদ।

এসজে/ ০৯ নভেম্বর ২০১৭