গণ বিশ্ববিদ্যালয়ের ৪র্থ সমাবর্তনের নিবন্ধন শুরু


Desk report | Published: 2024-05-04 10:02:03 BdST | Updated: 2024-05-18 10:39:11 BdST

দীর্ঘ ১০ বছর পর চতুর্থ সমাবর্তনের আয়োজন করতে যাচ্ছে সাভারের গণ বিশ্ববিদ্যালয় (গবি)। সর্বশেষ ২০১৪ সালে তৃতীয় সমাবর্তনের পর চতুর্থ সমাবর্তনের মাঝখানে পেরিয়ে গেছে ১০ বছর। এর মধ্যে সমাবর্তনের অপেক্ষায় থাকা কয়েক হাজার গ্র্যাজুয়েটের অপেক্ষার প্রহর শেষ হচ্ছে। এদিকে এই সমাবর্তনের নিবন্ধন প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে আজ থেকে। যা চলবে আগামী ২ জুন পর্যন্ত।

সমাবর্তনে অংশগ্রহণ করতে নিবন্ধনের জন্য একক ডিগ্রিতে ৬ হাজার টাকা এবং উভয় ডিগ্রিতে ১০ হাজার টাকা ফি নির্ধারণ করা হয়েছে।

যারা নিবন্ধন করতে পারবেন

রেজিস্ট্রার দপ্তর বলছে, গণ বিশ্ববিদ্যালয়ের ৪র্থ সমাবর্তন তারিখ চূড়ান্ত না হলেও খুব শিগগিরই অনুষ্ঠিত হবে। এই সমাবর্তনে ২০১৪ সালের এপ্রিল থেকে ২০২৩ সালের অক্টোবর সেমিস্টার পর্যন্ত যারা স্নাতক/স্নাতকোত্তর ডিগ্রি অর্জন করেছেন তারা এ সমাবর্তনে অংশ নিতে পারবেন। এছাড়াও ২০১৪ সালের জানুয়ারি থেকে ২০২৪ জানুয়ারি সেশন পর্যন্ত পেশাগত এমবিবিএস অর্জন করেছেন তারাও এতে অংশ নিতে পারবেন। ২০১৭ সালের আগস্ট থেকে ২০২২ নভেম্বর সেশন পর্যন্ত পে বিডিএস ডিগ্রি অর্জনকারী শিক্ষার্থীরাও সমাবর্তনে অংশগ্রহণ করতে পারবেন।

যেসব শিক্ষার্থী গণ বিশ্ববিদ্যালয় থেকে স্নাতক/স্নাতকোত্তর/এমবিবিএস/বিডিএস অর্জন করেছেন তাদেরকে convocation.gonouniversity.edu.bd এই লিঙ্কে মাধ্যমে আগামী ২ জুনের মধ্যে রেজিস্ট্রেশন প্রক্রিয়া সম্পন্ন করতে বলা হয়েছে।

প্রশাসনিক সূত্রে জানা যায়, সমাবর্তনে এপ্রিল-২০১৪ থেকে অক্টোবর-২০২৩ সেমিস্টার পর্যন্ত স্নাতক/স্নাতকোত্তর, জানুয়ারি-২০১৪ থেকে জানুয়ারি-২০২৪ সেশন পর্যন্ত পেশাগত এমবিবিএস এবং আগষ্ট-২০১৭ থেকে নভেম্বর-২০২২ সেশন পর্যন্ত পেশাগত বিডিএস ডিগ্রিধারী প্রায় ৭ হাজার শিক্ষার্থী অংশগ্রহণ করতে পারবেন।

বিশ্ববিদ্যালয় সূত্রে জানা গেছে, বিশ্ববিদ্যালয়টি প্রতিষ্ঠার ২৪ বছর ইতোমধ্যে পার করলেও মাত্র ৩টি সমাবর্তন অনুষ্ঠান সম্পন্ন করা সম্ভব হয়েছে। ২০১১ সালের ১২ জানুয়ারি বিশ্ববিদ্যালয়ের তৎকালীন উপাচার্য প্রফেসর ড. মেসবাহউদ্দিন আহমেদের সময় অনুষ্ঠিত হয় গণ বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রথম সমাবর্তন। দুই বছর পরও প্রফেসর ড. মেসবাহউদ্দিন আহমেদের নেতৃত্বে দ্বিতীয় সমাবর্তন হয় ২০১৩ সালের ২৪ আগস্ট। এরপর আবারও ২০১৪ সালের ২৯ মে প্রফেসর ড. মেসবাহউদ্দিন আহমেদের সময়ই তৃতীয় সমাবর্তন হয়।