'ডাকসুর নতুন নির্বাচনের সময় নির্দিষ্ট করে এ কমিটি ভাঙতে হবে'


ঢাবি টাইমস | Published: 2020-06-23 18:34:05 BdST | Updated: 2024-05-15 19:04:22 BdST

ফেসবুকে স্ট্যাটাস দিয়ে নয় বরং অফিসিয়ালভাবে নতুন নির্বাচনের তারিখ ঘোষণার মাধ্যমে বর্তমান কমিটি ভেঙে দেয়ার দাবি জনিয়েছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ’র (ডাকসু) সদস্য তানভীর হাসান সৈকত।

বর্তমান কমিটির মেয়াদ শেষ এবং নতুন নির্বাচনের বিষয়ে  এ মন্তব্য করেন ডাকসু সদস্য সৈকত। এর ব্যতয় হলে ডাকসু নির্বাচন আবারও থেমে যাবে বলে শঙ্কা প্রকাশ করেন তিনি।

ছাত্রলীগের নেতা তানভীর হাসান সৈকত বলেন, নিয়মানুযায়ী ডাকসুর মেয়াদ শেষ। এ ব্যাপারে কোনো দ্বিমত নেই। কিন্তু শেষটা নিয়ম মেনে হয়নি এবং পুরো মেয়াদের মতোই সমন্বয়হীন ছিল! নিয়মানুযায়ী এ সময়ের মধ্যেই একটি সভা ডেকে নতুন নির্বাচনের তারিখ নির্ধারণের পর আনুষ্ঠানিকভাবে ডাকসু ভেঙে দেয়ার কথা।

পরবর্তী ডাকসু নির্বাচনে বর্তমান ডাকসু নেতাদের সবচেয়ে বেশি ভূমিকা রাখতে হবে উল্লেখ করে এ ডাকসু সদস্য বলেন, ২৮ বছর পর যে ডাকসু আমরা পেয়েছি তাতে শিক্ষার্থীদের অনেক চাওয়া-পাওয়া আমরা পূরণ করতে পারিনি। কিন্তু পরবর্তী ডাকসু নির্বাচনের জন্য বর্তমান ডাকসু নেতারাই প্রধান ভূমিকা পালন করতে হবে। আমরা যদি এভাবে ছেড়ে দেয় তাহলে নির্বাচন হওয়া নিয়ে সংশয় সৃষ্টি হবে কেননা বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনও নতুন নির্বাচনের ব্যাপারে আন্তরিক নয়। আমাদের বর্তমান ডাকসু নেতাদের দাবি হওয়া উচিত- অফিসিয়াল অকার্যকর ঘোষণা এবং নতুন নির্বাচনের তারিখ ঘোষণার আওয়াজ তোলা।

ফেসবুকের মাধ্যমে দায়িত্বের সমাপ্তি ঘোষণা স্টান্টবাজি উল্লেখ করে সৈকত বলেন, ফেসবুক ঘোষণা কোনো অফিসিয়াল দায়িত্ব গ্রহণ/ত্যাগের গ্রহণযোগ্য মাধ্যম নয়। এসব স্টান্টবাজির ঘোষণা আদতে তারিখ নির্ধারণী শেষ মিটিং এড়ানোর কূটচাল কিনা সেটা নিয়েও সন্দেহ হয়। আমার দাবী স্পষ্ট করে দিতে চাই। ডাকসুর মেয়াদ শেষ, নতুন নির্বাচন পর্যন্ত এই কমিটির দায়িত্ব পালনের দরকারও নেই, কোনো ফান্ড খরচ করা যাবে না, কোনো সুবিধা ডাকসু থেকে চাই না। আবার ফেসবুক স্ট্যাটাসের নাটকও চাই না। শুধু একটি সমাপনী মিটিং বা অফিসিয়াল ঘোষণা চাই যেখানে ডাকসু ভেঙে দেওয়া হবে এবং নতুন নির্বাচনের তারিখ ঘোষণা হবে।

এর ব্যতয় হলে ডাকসু নির্বাচন আবারও থেমে যাবে বলে শঙ্কা প্রকাশ করেন এ ডাকসু সদস্য।