সহযোগীদের নিয়ে বানভাসি মানুষের পাশে ঢাবির সৈকত


Sunamganj | Published: 2020-07-25 20:52:35 BdST | Updated: 2024-04-29 20:37:40 BdST

করোনাকালীন ঢাকার অর্থ সম্বলহীন নিম্নবিত্ত ও নিম্ন মধ্যবিত্ত মানুষের মাঝে টানা ১২১ দিনের খাবার বিতরণের পর এবার বন্যাকবলিত জনগোষ্ঠীর পাশে দাঁড়াতে সুনামগঞ্জ গিয়েছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদের (ডাকসু) সদ্য সাবেক সদস্য তানভীর হাসান সৈকত।

বন্যার এ কঠিন সময়ে বন্যা কবলিত জনগোষ্ঠীর মাঝে ত্রাণ ও খাদ্য সামগ্রী পৌঁছে দিতে সদলবলে সেখানে পৌঁছান সৈকত। সৈকত মনে করছেন, করোনাকালীন অর্থনৈতিক যে সঙ্কট তৈরি হয়েছিল তা ইতোমধ্যে স্বাভাবিক অবস্থায় ফিরে এসেছে। মানুষের কাজ করার সুযোগ তৈরি হয়েছে। এখন বন্যা কবলিত মানুষজন সবচেয়ে বেশি সঙ্কটে রয়েছে। তাদের জন্য কিছু করার চেষ্টা থেকেই এমন উদ্যোগ।

বন্যার্তদের মাঝে খাবার তুলে দিতে বুধবার ২০ সদস্যের একটি টিম নিয়ে সুনামগঞ্জ পৌঁছান। সৈকতের সাথে থাকা স্বেচ্ছাসেবকদের মধ্যে আছেন কবি জসিম উদ্দিন হল ছাত্র সংসদের সদ্য সাবেক সাধারণ সম্পাদক (জিএস) ইমাম হাসান। বন্যা কবলিত মানুষদের দুর্ভোগ লাগবের চিন্তা থেকেই তারা কাজ করতে যাচ্ছেন। তিনি জানান, করোনা পরিস্থিতির মধ্যে দেশের পূর্বাঞ্চলের সিলেট ও সুনামগঞ্জ এলাকা সবচাইতে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। বন্যা কবলিতদের কাছে খাবারের সঙ্কট এখন বড় হয়ে উঠেছে। আমরা তাদের নিকট খাবার পৌঁছে দেয়ার চেষ্টা করছি। শুধু খাবারের চাহিদা নয়, অন্যান্য চাহিদা মেটানোর চেষ্টা করবো। তবে এর জন্য শুভাকাঙ্খীদের নিকট থেকে আর্থিক সহায়তা প্রয়োজন। আমরা আমাদের সর্বোচ্চ সামর্থ্যে দিয়ে কাজ করে যাবো।

সারাদেশে লকডাউন শুরুর পর ২৩ মার্চ থেকে ব্যক্তিগত উদ্যোগে ঢাকার অসহায়, ছিন্নমূল ও প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর মাঝে খাবার বিতরণ শুরু করেন সৈকত। সেখানে স্বেচ্ছাসেবক হিসেবে কাজ করে আসছেন এ টিম। সৈকতের এ কার্যক্রমে আর্থিক সহায়তা দিয়েছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের সংশ্লিষ্ট বর্তমান ও সাবেক শিক্ষার্থী, শুভাকাঙ্খী ও বিত্তবানরা। টানা ১২১ দিনের এ খাদ্য সহায়তায় একশ’ দিন দুবেলা এবং পরবর্তী ২১ দিন একবেলা আহারের ব্যবস্থা করেন সৈকত।

সহায়তার বিষয়ে সৈকত বলেন, করোনা ভাইরাস সৃষ্ট পরিস্থিতির মধ্যে কর্মহীন হয়ে পড়ে ঢাকার নিম্নবিত্ত ও নিম্ন মধ্যবিত্ত জনগোষ্ঠী। এসব অসহায় জনগোষ্ঠীকে সহায়তা করতে ২৩ মার্চ থেকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের টিএসসিতে খাদ্য সহায়তা শুরু করি। কিন্তু চলমান সময়ে করোনা পরিস্থিতির চাইতে বন্যা পরিস্থিতি দেশের এক তৃতীয়াংশ মানুষ দুর্ভোগ পোহাতে শুরু করেছে। তাদেরকে দুর্ভোগ লাগব করতে আমাদের এ উদ্যোগ।

কার্যক্রমের বিষয়ে তিনি বলেন, আমরা প্রতিদিন এখানে এক হাজার মানুষকে খাওয়ানোর পরিকল্পনা করেছি। তবে পুরো বিষয়টি শুভাকাঙ্খীদের দেয়া আর্থিক সহায়তার উপর নির্ভর করছে। আর্থিক সহায়তা আসলে আমরা কার্যক্রম চালিয়ে যেতে পারবো। না হলে এ কার্যক্রম ধরে রাখা আমাদের জন্য কঠিন হয়ে যাবে।

  • সহায়তা করা যাবে সৈকতের ০১৬৮৪০২৩৬১১ নম্বরে। বিকাশ, রকেট ও নগদে এ সহায়তা দেয়া যাবে।