ভাস্কর্য ভাঙচুর ও অবমাননার ঘটনায় ঢাবিতে ছাত্রলীগের বিক্ষোভ


Dhaka | Published: 2020-12-06 23:23:03 BdST | Updated: 2024-05-12 10:17:59 BdST

ভাস্কর্য ভাঙচুর ও অবমাননার ঘটনায় এখন থেকে আর প্রতিবাদ নয় বরং প্রতিরোধ গড়ে তোলার ঘোষণা দিয়েছে ক্ষমতাসীন দলের সহযোগী সংগঠন বাংলাদেশ ছাত্রলীগ।

রোববার (৬ ডিসেম্বর) দুপুরে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সন্ত্রাসবিরোধী রাজু ভাস্কর্যের পাদদেশে বিক্ষোভ মিছিল পরবর্তী সমাবেশে এ ঘোষণা দেন ছাত্রলীগের নেতারা।

বক্তব্যে ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় সভাপতি আল নাহিয়ান খান জয় বলেন, ‘যারা বাংলাদেশকে স্বীকার করেনি, রাতের অন্ধকারে ওই পাকিস্তানের প্রেতাত্মারা যেমন করে বাংলাদেশে হানা দিয়েছিল, সেই পাকিস্তানি বাবাদের কথা শুনে যারা জাতির পিতার ভাস্কর্যকে অবমাননা করেছে, সেই কুলাঙ্গারদের যেখানে পাবেন তাদেরকে আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর হাতে দেয়ার আগে এদের গণপিটুনি দিয়ে হাত-পা ভেঙে দেবেন। তারপর পাকিস্তান পাঠিয়ে দেবেন।’

তিনি ভাঙচুরকারীদের হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেন, ‘তোরা রাতের অন্ধকারে আসিস না, বাবুরা। তোরা দিনে আয়। সামনে এসে কথা বল। আমি একা তোদের মোকাবিলা করবো। আমি আল নাহিয়ান খান জয় একাই একশো।’

সমাবেশে ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক লেখক ভট্টাচার্য বলেন, ‘আপনারা কথায় কথায় হুঁমকি দেন। আপনারা বলেন, এদেশে নব্বই ভাগ মুসলমানদের দেশ। কিন্তু নব্বই ভাগ মুসলমানের নিরানব্বই ভাগই আপনাদের বিরোধিতা করে। আপনাদের এই ধরনের কর্মকাণ্ডের অবজ্ঞা করে। তাহলে এই মুসলিম সংখ্যাগরিষ্ঠ দেশের মুসলমানদের প্রতিনিধিত্ব করার অধিকার আপনাদের কে দিয়েছে?’

তিনি বলেন, ‘বাংলাদেশের মানুষের ইমোশন (আবেগ), সংবিধান, রাষ্ট্রীয় স্বার্থ নিয়ে কথা বলার অধিকার আপনাদের কে দিয়েছে? একথা আপনাদের স্পষ্ট করতে হবে। ওহি নাজিলের মতো সকাল বেলা হঠাৎ করে বলা শুরু করলেন ভাস্কর্য থাকবে না। আজব ব্যাপার! আপনাদের বারবার সাবধান করে দেয়া হয়েছিল। কিন্তু গতকাল আপনারা আপনাদের সীমা লঙ্ঘন করেছেন। বাংলাদেশ ছাত্রলীগ অনেক ধৈর্য ধরেছে। অনেক প্রতিবাদ করেছে। কিন্তু এখন আর বাংলাদেশ ছাত্রলীগ প্রতিবাদে বিশ্বাস করবে না। আপনাদের বিরুদ্ধে প্রতিরোধ গড়ে তুলবে।’

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি সঞ্জিত চন্দ্র দাস বলেন, ‘পিটুনি দেন সব ঠিক হয়ে যাবে। ২০১৩ সালের ৫-৬ মে হুজুরদের ট্যাবলেট খাওয়ানো হয়েছিল, তখন মাথা ঠিক হয়েছিল। এখন মাথা আবার নষ্ট হয়ে গেছে। এখন আবারও ট্যাবলেট খাওয়ানোর সময় হয়ে গেছে।’

প্রতিবাদ সমাবেশে আরও বক্তব্য দেন- ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক সাদ্দাম হোসেন, ঢাকা মহানগর উত্তরের সভাপতি ইব্রাহিম হোসেন, সাধারণ সম্পাদক সাইদুর রহমান হৃদয়, ঢাকা মহানগর দক্ষিণের সভাপতি মেহেদী হাসান, সাধারণ সম্পাদক জুবায়ের আহমেদ।