পাবনা ও মাদারিপুরে ছাত্রলীগের প্রতিষ্ঠা বার্ষিকীর অনুষ্ঠানে ‘হাতাহাতি’


Dhaka | Published: 2021-01-05 00:16:54 BdST | Updated: 2024-05-02 13:42:44 BdST

পাবনায় ছাত্রলীগের প্রতিষ্ঠা বার্ষিকীর কেক খাওয়া নিয়ে হাতাহাতি ও ধাওয়া পাল্টা ধাওয়ার ঘটনা ঘটেছে। ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শী সদর উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি ইমরান হোসেন জানান, জেলা আওয়ামী লীগ কার্যালয়ে সোমবার দুপুরে এ ঘটনায় অন্তত আটজন আহত হয়েছেন।

ইমরান বলেন, জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক গোলাম ফারুক প্রিন্স প্রতিষ্ঠা বার্ষিকীর কেক কেটে চলে যাওয়ার পর ছাত্রলীগ নেতা গাজী বাকি নেতাকর্মীদের মধ্যে কেক বিতরণ করছিলেন। এ সময় পিছন থেকে কয়েকজন উশৃঙ্খল যুবক কেকের ওপর হামলে পড়ার চেষ্টা করলে হাতাহাতির ঘটনা ঘটে।

“এ সময় জেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক তাজুল ইসলাম এবং আমি নেতাকর্মীদের শান্ত করে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করার চেষ্টা করি। পরে দলীয় কার্যালয়ের বাইরে আবারও ধাওয়া পাল্টা ধাওয়ার ঘটনা ঘটেছে বলে শুনেছি।”

প্রত্যক্ষদর্শী কয়েকজন ছাত্রলীগ নেতা জানান, কেক কাটার পর জেলা ছাত্রলীগ ভারপ্রাপ্ত সভাপতি ফিরোজ আলীর পক্ষের কয়েকজন কর্মী কেক জোর করে নিয়ে নেওয়ার চেষ্টা করে। এ সময় অন্যরা বাধা দেওয়ার চেষ্টা করলে শুরু হয় হাতাহাতি। পরে পুলিশ গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে আনে। এ সময় পথচারী ও ছাত্রলীগ কর্মীসহ অন্তত ৮/১০ জন আহত হয়।

এ বিষয়ে জেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক তাজুল ইসলাম বলেন, “কেক খাওয়া নিয়ে হালকা একটু উত্তেজনার সৃষ্টি হয়েছিল; তাৎক্ষনিক আমরা বিষয়টি নিয়ন্ত্রণে নিয়ে আসি।”

জেলা ছাত্রলীগের সহ-সভাপতি ওমর ফারুক সৈকত বলেন, জুনিয়র নেতাকর্মীরা ঝামেলার সৃষ্টি করলে আমরা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা করি।”
আর জেলা ছাত্রলীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি ফিরোজ আলী বলছেন, “জুনিয়র নেতাকর্মীদের মধ্যে সামান্য ভুল বুঝাবুঝির সৃষ্টি হয়েছিল, তেমন কিছু নয়।”

এ বিষয়ে জানতে চাইলে পাবনা সদর থানার ওসি নাসিম আহমেদ বলেন, কেক খাওয়া নিয়ে নিজেদের মধ্যে একটু ঝামেলার সৃষ্টি হয়েছিল।পরে পুলিশ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে আনে। এখন পরিস্থিতি স্বাভাবিক রয়েছে।

মাদারীপুরে প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীতে ছাত্রলীগের চেয়ার ছোড়াছুড়ি-ভাঙচুর

জুনিয়র ছাত্রলীগ নেতাদের নাম আগে মাইকে ঘোষণা দেয়ার জের ধরে মাদারীপুরের কালকিনিতে ছাত্রলীগের ৭৩তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী অনুষ্ঠানে চেয়ার ছোড়াছুড়ির ও ভাংচুরের ঘটনা ঘটেছে। এতে অনুষ্ঠানস্থলে উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে। পরে আওয়ামী লীগ নেতাদের হস্তক্ষেপে পরিস্তিতি নিয়ন্ত্রণে আনা হয়।

সোমবার (৪ জানুয়ারি) দুপুরে এ ঘটনা ঘটে।

পুলিশ ও দলীয় সূত্রে জানা গেছে, ছাত্রলীগের ৭৩তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে কালকিনি উপজেলা, পৌর ও কলেজ ছাত্রলীগের যৌথ উদ্যোগে সকালে উপজেলার প্রধান প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ করে বর্ণাঢ্য র‌্যালি বের হয়। র‌্যালি শেষে স্থানীয় সার্কিট হাউজ চত্বরে উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি বদিউজ্জামান বাকামিন খানের সভাপতিত্বে ও উপজেলা ছাত্রলীগের যুগ্ম-সম্পাদক বিএম জুবায়ে হোসেনের সঞ্চালনায় এক আলোচন সভার আয়োজন করা হয়। আলোচনা সভার শুরুতে নিয়ম ভঙ্গ করে সিনিয়র ছাত্রলীগ নেতাদের নাম আগে মাইকে ঘোষণা না দিয়ে জুনিয়র ছাত্রলীগ নেতাদের নাম ঘোষণা দেয়া হয়। এর জের ধরে ছাত্রলীগের একাংশ ক্ষিপ্ত হয়ে তাৎক্ষণিকভাবে চেয়ার ছোড়াছুড়ি করে এবং ভাংচুরের ঘটনা ঘটায়। মুহূর্তের মধ্যে পুরো অনুষ্ঠানে উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে। পরে অনুষ্ঠানের বিশেষ অতিথি উপজেলা চেয়ারম্যান মীর গোলাম ফারুক ও বিশেষ অতিথি উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক তৌফিকুজ্জামান শাহিনের হস্তক্ষেপে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনা হয়।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি বদিউজ্জামান বাকামিন খান ফোন রিসিভ করেননি।

উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক তৌফিকুজ্জামান শাহিন বলেন, ‘তুচ্ছ বিষয় নিয়ে হঠাৎ করে পৌরসভা ছাত্রলীগের সভাপতি সাকিবুল ইসলাম খলিল না বুঝে মাথা গরম করেছেন। পরে বিষয়টি নিয়ে আমরা ফয়সালা করে দিয়েছি। আর নতুন করে কোনো ঝামেলা সৃষ্টি হয়নি।’

এ ব্যাপারে কালকিনি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. নাসিরউদ্দিন মৃধা বলেন, অনুষ্ঠানে সিনিয়র-জুনিয়রের নাম আগে-পরে ঘোষণা নিয়ে ছাত্রলীগের নিজেরদের মধ্যে সামান্য একটি ঘটনা ঘটছে।