কমনওয়েলথভুক্ত দেশগুলোর নেতাদের মাঝে বঙ্গবন্ধু ছিলেন শ্রেষ্ঠ: অধ্যাপক জেমস ম্যানর


Dhaka | Published: 2020-08-26 21:01:14 BdST | Updated: 2024-05-18 17:15:30 BdST

কমনওয়েলথভুক্ত দেশগুলোর নেতাদের মাঝে বঙ্গবন্ধু ছিলেন শ্রেষ্ঠ বলে  মন্তব্য করেছেন লন্ডন ইউনিভার্সিটিতে কমনওয়েলথ স্টাডিজের ইমেরিটাস অধ্যাপক জেমস ম্যানর।

অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয় ভিত্তিক অক্সফোর্ড পলিটিকাল রিভিউ (ও. পি. আর.) এবং ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ল’ এন্ড পলিটিক্স রিভিউ (ডি. ইউ.এল. পি. আর) এর যৌথ প্রযোজনায় আয়োজিত হল বঙ্গবন্ধুর রাজনৈতিক জীবন নিয়ে এক বিশেষ অনলাইন সেমিনার। গত ২৫ শে আগস্ট, ২০২০ বাংলাদেশ সময় রাত ৯ টায় অনুষ্ঠানটি সরাসরি সম্প্রচারিত হয় ও.পি. আর এবং ডি.ইউ.এল.পি.আর এর ফেসবুক পেজ থেকে।

অনুষ্ঠানে আলোচক হিসাবে ছিলেন বাংলাদেশ সরকারের শিক্ষা বিষয়ক মন্ত্রী ও বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের যুগ্ম সচিব ডক্টর দীপু মনি, লন্ডন ইউনিভার্সিটিতে কমনওয়েলথ স্টাডিজের ইমেরিটাস অধ্যাপক জেমস ম্যানর ও বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের তথ্য ও গবেষণা বিষয়ক সম্পাদক ডক্টর সেলিম মাহমুদ। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ল এন্ড পলিটিক্স রিভিউ এর এডিটর ইন চিফ মোঃ আজহার উদ্দিন ভূইয়া এবং অক্সফোর্ড পলিটিকাল রিভিউ এর নিকোলাস লিয়াহ যৌথভাবে এই আয়োজনটি সঞ্চালনা করেন।

সেমিনারের সূচনা বক্তব্যে, ড. দীপু মনি বঙ্গবন্ধুর “সোনার বাংলা” গড়ার প্রস্তাবনাটি তুলে ধরার পাশাপাশি যুদ্ধবিধ্বস্ত নতুন রাষ্ট্রে মাত্র ১০ মাসের মধ্যে যে সংবিধান জাতির পিতা উপহার দিয়েছিলেন, সেই বিষয়টি তুলে ধরেন। এছাড়াও বাংলাদেশের অভ্যন্তরীণ এবং পররাষ্ট্রনীতিতে জাতির পিতার ভূমিকা তার আলোচনার মাধ্যমে উঠে আসে। তিনি আরো বলেন, বঙ্গবন্ধু তাঁর সংগ্রামের মূল অংশ জুড়েই মাটির মানুষের সাথে সংযুক্ত ছিলেন যা তাকে জাতির পিতা হিসেবে বাঙালির নিকট পৌঁছে দিয়েছে।

ড. সেলিম মাহমুদ ঐতিহাসিকভাবে বাংলাদেশকে প্রতিষ্ঠা করতে বঙ্গবন্ধুর নীতি এবং পথচলার সার্বিক চিত্র তুলে ধরেন। সেখানে বাংলাদেশকে স্বীকৃতি দেয়া, ভারতীয় সৈন্যদের ব্যারাকে ফিরিয়ে নেয়া এবং ন্যায় ভিত্তিক সংবিধান উপহার দেয়ার বিষয়গুলো ফুটে ওঠে।

বঙ্গবন্ধুকে নিয়ে আলোচনায় ড. জেমস ম্যানর বলেন, পৃথিবীর অন্য যেকোনো দেশের জাতির পিতার থেকে শেখ মুজিবুর রহমানকে আলাদা করেছে তার অক্লান্ত সংগ্রাম এবং নেতৃত্ব দানের ক্ষমতা। আজকের বাংলাদেশের উন্নয়নের পেছনে বঙ্গবন্ধুর ভূমিকা অবর্ণনীয়।

এছাড়াও সেমিনারের সর্বশেষে বঙ্গবন্ধু ও তাঁর পরিবারের হত্যাকান্ডের বিভিন্ন বিষয় আলোকপাত করা হয়। ড. জেমস ম্যানরের মতে, বঙ্গবন্ধুকে সপরিবারে হত্যার ষড়যন্ত্রে আমেরিকার রাজনৈতিক এবং পররাষ্ট্রীয় প্রভাব রয়েছে যা ১৯৭৫ সালের “বাকশাল” গঠনের ফলে সংঘটিত হয়। পরবর্তীতে ড. দীপু মনি এবং ড. সেলিম মাহমুদ এ বিষয়ে আরো যোগ করেন যে, বাংলাদেশের রাজনৈতিক উন্নয়ন বঙ্গবন্ধুর হত্যার মাধ্যমে ধ্বংস করে দেয়ার প্ররোচনা করা হয় ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্টের এই হত্যাকাণ্ডের মাধ্যমে। ১৯৭৫ সালের পরবর্তী সময়ে তারই প্রতিফলন হিসেবে আমরা দেখি বঙ্গবন্ধুর এবং ৪ নেতার হত্যাকারীদের পরিপূর্ণ শাস্তি না হওয়া।

দেড় ঘণ্টার এই সেমিনার ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ল এন্ড পলিটিক্স রিভিউ এবং অক্সফোর্ড পলিটিকাল রিভিউ এর ফেইসবুক পেইজ থেকে সরাসরি সম্প্রচার করা হয় এবং দেশ-বিদেশের প্রায় ৪০ হাজার দর্শক এই আয়োজনে যুক্ত ছিলেন।