চীনের সিনোভ্যাককে বাংলাদেশে ট্রায়ালের অনুমতি


Dhaka | Published: 2020-08-27 22:10:30 BdST | Updated: 2024-05-18 16:47:27 BdST

অগ্রাধিকার ভিত্তিতে ভ্যাকসিন দেয়ার শর্তে চীনা কোম্পানি সিনোভ্যাককে বাংলাদেশে ট্রায়ালের অনুমতি দিলো সরকার।

বৃহস্পতিবার (২৭ আগস্ট) স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক এ কথা জানান।

তিনি বলেন, ‘আজকে আমরা ভ্যাকসিন নিয়ে চায়নার সঙ্গে আলোচনা করেছি। এর আগে আমরা অন্যান্য দেশের সঙ্গেও আলোচনা করেছি। চায়নার সঙ্গে আলোচনার পর সিদ্ধান্ত হয়েছিল তাদের সিনোভ্যাক কোম্পানি বাংলাদেশকে ভ্যাকসিন দেবে। বাংলাদেশে তারা কিছু পরীক্ষাও করতে চায়, ট্রায়াল করতে চায়। সেই বিষয়ে আমরা বিভিন্ন ভাবে বিভিন্ন পর্যায়ে আলোচনা করেছি। ভ্যাকসিনের সমস্ত বিষয়ে আমরা প্রধানমন্ত্রীকে অবহিত করেছি।’

স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক বলেন, যারা স্বেচ্ছায় করোনা ভ্যাকসিনের ট্রায়াল বাংলাদেশে করতে আগ্রহী হবে তাদেরকেই অনুমতি দেয়া হবে। তবে ডিসেম্বর জানুয়ারির আগে দেশে ভ্যাকসিন আসার সম্ভাবনা নেই। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার ভ্যাকসিন পাওয়া যেতে পারে জুন জুলাইতে।

ভ্যাকসিন ট্রায়ালের অনুমোদন প্রদান প্রসঙ্গে স্বাস্থ্যমন্ত্রী আরো বলেন,“চায়নার এই কোম্পানীটি গত কয়েক মাস থেকেই আইসিডিডিআর,বি এর মাধ্যমে ট্রায়ালের ব্যাপারে আমাদেরকে অনুরোধ করে আসছিল। সরকার তাদের ভ্যাকসিনের ব্যাপারে সব ধরণের যাচাই-বাছাই করেছে। কোম্পানীটি ইতোমধ্যে ইন্দোনেশিয়ায় ট্রায়াল শুরু করেছে। তুরস্কসহ বেশ কিছু দেশে ট্রায়াল শুরুর পর্যায়ে রয়েছে বলে জানিয়েছে। বাংলাদেশকে তারা (চায়না কোম্পানী) পছন্দের শীর্ষে রেখেছে শুরু থেকেই। বাংলাদেশ এই ট্রায়ালে অংশ নিলে এক লাখ পিস টিকা সামগ্রী ফ্রি লাভ করার পাশাপাশি আরো প্রয়োজনীয় সংখ্যক ভ্যাকসিন ক্রয় করতে অগ্রাধিকার পাবে বলে সরকার মনে করছে। তা ছাড়া চায়না সরকারের সাথে বাংলাদেশের বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক অনেক দৃঢ়। সবকিছু বিবেচনা করেই চায়না ভ্যাকসিন কোম্পানীটিকে ট্রায়ালে অংশ নেবার অনুমতি দেয়া হয়েছে।”

অন্য কোনো দেশের ট্রায়াল বাংলাদেশে হবে কি-না এমন প্রশ্নের উত্তরে স্বাস্থ্যমন্ত্রী জানান, বর্তমানে বিশ্বের ৮টি কোম্পানী ভ্যাকসিন ট্রায়ালের চূড়ান্ত পর্যায়ে রয়েছে। কোম্পানীগুলো বাংলাদেশে ট্রায়ালের আগ্রহ দেখালে বাংলাদেশ তা বিবেচনা করবে।

ভ্যাকসিন ক্রয়ের ক্ষেত্রে বাংলাদেশের আগ্রহ কতটুকু এমন প্রশ্নের উত্তরে জাহিদ মালেক বলেন, “বাংলাদেশে মাথাপিছু আয়ের অনুপাতে কিছু ভ্যাকসিন ফ্রি পাবে। তবে সরকার কেবল ফ্রি ভ্যাকসিন পেতেই বসে থাকবে না। সরকার ভ্যাকসিন ক্রয়ের ক্ষেত্রে কোনোভাবেই পিছিয়ে থাকবে না।”

স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেকের সভাপতিত্বে সভায় আরো উপস্থিত ছিলেন, স্বাস্থ্য সেবা বিভাগের সচিব মো. আবদুল মান্নান, স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. আবুল বাসার মোহাম্মদ খুরশীদ আলম, ঔষধ প্রশাসন অধিদপ্তরের মহাপরিচালক মেজর জেনারেল মো. মাহবুবুর রহমান, আইডিসিআর,বি এর পরিচালক, ইপিআই-এর প্রোগ্রাম ম্যানেজার, আইসিডিডিআর,বি এর সিনিয়র বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ড. ফিরদৌসি কাদেরী, ড. খালিকুজ্জামান, ড. তাজুল ইসলাম বারী প্রমূখ।

সভায় অনলাইন ‘জুম’ এর মাধ্যমে অংশ নেন চায়না রাষ্ট্রদূত লি ঝিমিং।