ফের লকডাউনের কথা ভাবছে না সরকার


টাইমস ডেস্ক | Published: 2020-09-23 01:55:07 BdST | Updated: 2024-05-04 12:02:08 BdST

করোনাভাইরাসের অর্থনীতি সচল রাখতে আর লকডাউনের কথা ভাবছে না সরকার। এ তথ্য জানিয়ে মন্ত্রিপরিষদ সচিব খন্দকার আনোয়ারুল ইসলাম বলেছেন, অর্থনীতি সচল রাখতে পুনরায় লকডাউনের কথা সরকার ভাবছে না।

এ ছাড়া করোনার দ্বিতীয় ঢেউ ঠেকাতে মন্ত্রণালয়গুলোকে নিজস্ব পরিকল্পনা সাতদিনের মধ্যে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগে জমা দিতে বলা হয়েছে।

মঙ্গলবার (২২ সেপ্টেম্বর) আন্তঃমন্ত্রণালয় সভা শেষে সাংবাদিকদের তিনি এ কথা বলেন।

সচিব বলেন, করোনার সেকেন্ড ওয়েভ নিয়ে ব্যাপক সচেতনতা চালানো হবে। স্বাস্থ্য নির্দেশিকা মেনে চলতে হবে। বিমানবন্দরে মানুষের প্রবেশ ও বের হওয়ার বিষয়ে মনিটরিং বাড়ানো হবে। বিমানবন্দরগুলোতে আগমন ও বহির্গমনে নজরদারির দায়িত্বে সেনাবাহিনী থাকবে।

মন্ত্রিপরিষদ সচিব বলেন, ‘যদি (করোনার দ্বিতীয় পর্যায়) আসে আমরা টোটাল প্রোগ্রামকে ভাগ করে নিলাম। ওয়ার্ক প্ল্যান রেডি করে নিতে হবে। ক্লিনিক্যাল সাইডটা আমাদের এক্সপার্টরা রেডি করবেন, যদি রোগটা বিস্তার করে, কীভাবে তার ট্রিটমেন্ট প্ল্যান হবে। সাপ্লিমেন্টারি ক্লিনিক্যাল সাইট, যেহেতু শীতের সময় অ্যাজমা, নিউমোনিয়া, ইনফ্লুয়েঞ্জা বেশি থাকবে, সেটাও ইমিডিয়েটলি সবাইকে সচেতন করে দেয়া এবং তারও একটা ট্রিটমেন্ট প্ল্যান রেডি করা।’

তিনি আরও বলেন, ‘ব্যাপক প্রমোশনাল ক্যাম্পেইন চালাতে হবে, সবাই যাতে মাস্ক পরে। সবাই যাতে দূরত্বটা বজায় রাখে। স্বাস্থ্য নির্দেশিকা সবাই যাতে মেনে চলে। এনফোর্সমেন্ট সাইড, মাঠ প্রশাসন, স্থানীয় সরকার, পুলিশ, সেনাবাহিনী- এটা (নিজেদের কাজ) কীভাবে করবে, সেই ওয়ার্ক প্ল্যান করা হবে। বাইরে থেকে অনেক লোকজন দেশে আসছে ও বাইরে যাচ্ছে জানিয়ে মন্ত্রিপরিষদ সচিব বলেন, ‘এ ব্যাপারে সতর্কতামূলক ব্যবস্থা করা হবে, যাতে বাইরে থেকে আর ভাইরাস না আসে। বিমানবন্দরে সশস্ত্র বাহিনীর বড় টিম আছে, উনারা দেখাশোনা করছেন।’

তিনি বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী নির্দেশনা দিয়েছেন। আমরা বসে সভা করে ওয়ার্ক প্ল্যান (কর্মপরিকল্পনা) করে ওপেন করে দেব।’

বিদেশফেরত যাত্রীদের প্রবেশের বিষয়ে সশস্ত্র বাহিনী বিভাগের প্রিন্সিপাল স্টাফ অফিসার (পিএসও) লেফটেন্যান্ট জেনারেল মো. মাহফুজুর রহমান বলেন, ‘আমরা এখন যেটা করছি কোলাবরেশন উইথ সিভিল অ্যাডমিনিস্ট্রেশন এবং ফরেন মিনিস্ট্রির সাথে। এয়ারপোর্টে এবং বিভিন্ন এন্ট্রিতে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের লোকজন থাকে। বিদেশফেরত অনেকে সার্টিফিকেট নিয়ে আসেন যে, তারা কোভিড ফ্রি। যারা নিয়ে আসেননি তারা কতদিন সেখানে হোম কোয়ারেন্টাইনে ছিলেন, সেই একটা সার্টিফিকেট নিয়ে আসেন। যাদের এ রকম কোনো সার্টিফিকেট নেই, কোনো কিছু নেই এবং যাদের সন্দেহ হয়, তাদের আমরা প্রাতিষ্ঠানিক কোয়ারেন্টাইনে নিয়ে যাই। ঢাকায় দিয়াবাড়ি ও হাজী ক্যাম্পে (কোয়ারেন্টাইনের ব্যবস্থা) আছে।’