সিলেট এমসি কলেজ ছাত্রবাসে স্বামীকে বেধে রেখে এক গৃহবধূকে গণধর্ষণের ঘটনা ঘটেছে। ধর্ষকদের ধরতে ছাত্রাবাসে অভিযান চালিয়েছে পুলিশ। এসময় অভিযুক্ত ছাত্রলীগ নেতা সাইফুর রহমানের কক্ষ থেকে একটি বন্দুকসহ বিপুল সংখ্যক অস্ত্র উদ্ধার হয়েছে।
গতরাতে কলেজের ছাত্রাবাসে এ অভিযান চালায় পুলিশ। তবে, এখন পর্যন্ত কাউকে গ্রেফতার করা যায়নি। অভিযুক্ত এ কর্মীরা সিলেট জেলা আওয়ামী লীগের সাবেক যুব ও ক্রীড়াবিষয়ক সম্পাদক রণজিৎ সরকারের অনুসারী বলে জানা গেছে।
জাতীয় দৈনিক ইত্তেফাক পত্রিকার সংবাদে লেখা হয়েছে, স্বামীকে নিয়ে ঘুরতে শুক্রবার সন্ধ্যায় এমসি কলেজ এলাকায় গিয়েছিলেন ধর্ষণের শিকার হওয়া ঐ (১৯) নারী। এসময় কলেজ ক্যাম্পাস থেকে ছাত্রলীগের কয়েকজন নেতাকর্মী তাদেরকে জোরপূর্বক কলেজের ছাত্রবাসে নিয়ে যায়। সেখানে একটি কক্ষে স্বামীকে আটকে রেখে স্ত্রীকে ধর্ষণ করে তারা। ঐ তরুণী সিলেট ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ওসিসিতে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।
খবর পেয়ে গৃহবধূকে উদ্ধার করে সিলেট ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করে শাহপরাণ থানা পুলিশ।
যমুনা টেলিভিশনের সংবাদে বলা হয়েছে, এ ঘটনায় ৬ ছাত্রলীগ নেতার বিরুদ্ধে জড়িত থাকার অভিযোগ পাওয়া গেছে।
এ বিষয়ে এমসি কলেজের হোস্টেল সুপার জামাল উদ্দিন বলেন, শুনেছি কারা স্বামী-স্ত্রীকে আটক রাখে হোস্টেলে। পরে পুলিশ গিয়ে তাদের উদ্ধার করে। এর বাইরে তিনি আর কোনো মন্তব্য করতে রাজি হননি।