বিনিয়োগ ও ব্যবসার পরিবেশের আধুনিকায়ন, কর্মীদের সুরক্ষা ও সক্ষমতা জোরদার করা এবং পিছিয়ে পড়া জনগোষ্ঠীর জন্য কাজের সুযোগ সৃষ্টির লক্ষ্যে বাংলাদেশকে আরও ২৫০ মিলিয়ন ডলার তথা ২ হাজার ১২২ কোটি ৬৮ লাখ ৯৭ হাজার ৫০০ টাকা (৮৪ টাকা ৯১ পয়সা করে) ঋণ দিচ্ছে বিশ্ব ব্যাংক।
সরকারের অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগের সচিব ফাতিমা ইয়াসমিন এবং বাংলাদেশে বিশ্ব ব্যাংকের কান্ট্রি ডিরেক্টর মার্সি টেমবন রোববার (২১ জুন) এ বিষয়ে একটি চুক্তি স্বাক্ষর করেন। অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগ থেকে পাঠানো এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এসব তথ্য জানানো হয়েছে।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, এই ঋণ শোধ করতে ৫ বছরের গ্রেস পিরিয়ডসহ ৩০ বছর সময় পাবে বাংলাদেশ। এ ঋণের অপরিশোধিত অর্থের ওপর বার্ষিক ০.৭৫ শতাংশ হারে সার্ভিস চার্জ এবং ১.২৫ শতাংশ হারে সুদ প্রদান করতে হবে।
দেশের কর্মক্ষম জনগোষ্ঠীর জন্য পর্যাপ্ত ও মানসম্পন্ন কর্মসংস্থানের সুযোগ ও পরিবেশ তৈরিসহ সরকারের বিভিন্ন মন্ত্রণালয়, বিভাগ ও সংস্থার সংশ্লিষ্টতায় সহায়ক কিছু নীতিকৌশল/বিধিবিধান সংস্কার ও আধুনিকায়নের উদ্যোগ গ্রহণ করেছে সরকার। সরকারের উক্ত উদ্যোগ এবং প্রস্তাবিত সংস্কার পরিকল্পনা বাস্তবায়নকল্পে বিশ্বব্যাংক ২০১৮-১৯ থেকে ৩ অর্থবছরে মোট ৭৫০ মিলিয়ন বা ৭৫ কোটি মার্কিন ডলারের ডেভেলপমেন্ট পলিসি ক্রেডিট (ডিপিসি) ঋণ সহায়তা প্রদানে সম্মত হয়েছে।
এই ডিপিসি’র অংশ হিসেবে বিশ্বব্যাংক ২০১৮-১৯ অর্থবছরে ২৫০ মিলিয়ন বা ২৫ কোটি মার্কিন ডলার ঋণ সহায়তা প্রদান করেছে। এরই ধারাবাহিকতায় ডেপিসি-২ এর আওতায় ২০১৯-২০২০ অর্থবছরে উক্ত ২৫০ মিলিয়ন মার্কিন ডলার বাজেট সহায়তা দিতে সম্মত হয়েছে।
বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়, জব ডেভেলপমেন্ট পলিসি ক্রেডিটের আওতায় বিদ্যমান কতিপয় আইন-বিধি সংশোধন ও হালনাগাদকরণসহ Business Process Reengineering করা হবে। এর মাধ্যমে ডুয়িং বিজনেস সূচকে বাংলাদেশের অবস্থার উন্নয়ন ঘটবে এবং নতুন বিনিয়োগ আকর্ষণ সহজতর হবে। যার ফলে নতুন কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টি করবে।
উল্লেখ্য, ডিপিসি-২ এর ২৫০ মিলিয়ন মার্কিন ডলার আগামী অর্থ বছরে ছাড়ের জন্য নির্ধারিত ছিল। কিন্তু কোভিড-১৯ এর প্রেক্ষিতে বাংলাদেশ সরকারের অনুরোধে বিশ্বব্যাংক চলতি অর্থবছরেই এ অর্থ দিতে সম্মত হয়েছে। এছাড়া প্রাপ্ত বাজেট সাপোর্টের অর্থ জরুরি স্বাস্থ্য সেবা এবং প্রধানমন্ত্রী ঘোষিত প্রণোদনা প্যাকেজসমূহ বাস্তবায়নে ব্যবহার করা হবে।