প্রথম ধাপে একাদশে ভর্তির সুযোগ পায়নি ১২ হাজার জিপিএ-৫ ধারী


Desk report | Published: 2022-01-30 08:27:34 BdST | Updated: 2024-05-05 23:18:25 BdST

এসএসসি ও সমমানের পরীক্ষায় জিপিএ-৫ পেয়েও একাদশ শ্রেণিতে ভর্তির জন্য প্রকাশিত প্রথম ধাপের ফলে নাম আসেনি ১২ হাজারের বেশি শিক্ষার্থীর। একই সঙ্গে এক লাখ ১৯ হাজার আবেদনকারী প্রথম ধাপে ভর্তি থেকে বঞ্চিত হয়েছে। আসন সীমিত থাকায় ও ভালো মানের কলেজগুলোতে বেশি আবেদন হওয়ায় এ অবস্থার সৃষ্টি হয়েছে। আন্তঃশিক্ষা সমন্বয় বোর্ড থেকে এ তথ্য জানা গেছে।

শনিবার (২৯ জানুয়ারি) সন্ধ্যায় একাদশ শ্রেণির ভর্তি বিষয়ক ওয়েবসাইটে এ ফল প্রকাশ করা হয়।

বিষয়টি নিশ্চিত করে আন্তঃশিক্ষা সমন্বয় বোর্ডের কলেজ পরিদর্শক অধ্যাপক আবু তালেব মো. মোয়াজ্জেম হোসেন বলেন, একাদশ শ্রেণিতে ভর্তির জন্য সারাদেশে ১৫ লাখ ৭৬ হাজার ১৩৩ জন আবেদন করে। সেখান থেকে প্রথম ধাপে ১৪ লাখ ৫৭ হাজার ২২৬ জন শিক্ষার্থী একাদশ শ্রেণিতে ভর্তির জন্য মনোনীত হয়েছে। আবেদনের মধ্যে শিক্ষার্থীরা যেসব কলেজ নির্বাচন করেছে, তার মধ্য থেকেই ফলাফলের ভিত্তিতে তারা ভর্তির সুযোগ পেয়েছে।

তিনি বলেন, আসন সীমিত থাকায় ও ভালো মানের কলেজগুলোতে বেশি আবেদন হওয়ায় এক লাখ ১৯ হাজার আবেদনকারী প্রথম ধাপে ভর্তি থেকে বঞ্চিত হয়েছে। তার মধ্যে জিপিএ-৫ ধারী ১২ হাজার ১৬০ জন ভর্তির সুযোগ পায়নি।

মোয়াজ্জেম হোসেন বলেন, ঢাকা মহানগরের মধ্যে মিশনারি কলেজে পাঁচ হাজারের মতো আসন রয়েছে। সেখানে অনেক জিপিএ-৫ পাওয়া শিক্ষার্থী ভর্তি হচ্ছে। যারা প্রথম ধাপে কলেজ পায়নি তারা দ্বিতীয় ও তৃতীয় ধাপে আবেদন করবে। প্রথম ধাপের মতো বাকি দুই ধাপে ভর্তির জন্য নির্বাচিতদের তালিকা প্রকাশ করা হবে বলেও জানান তিনি।

গত ৮ জানুয়ারি উচ্চ মাধ্যমিক বা একাদশ শ্রেণিতে শিক্ষার্থীদের অনলাইন ভর্তির আবেদন শুরু হয়। আবেদন শেষ হয় ২৩ জানুয়ারি রাত ১২টায়।

আগে এসএমএসের মাধ্যমে ভর্তির আবেদনের সুযোগ থাকলেও এবার শুধু অনলাইনেই আবেদন করার সুযোগ রাখা হয়। ভর্তি কার্যক্রম শেষে আগামী ২ মার্চ থেকে একাদশ শ্রেণির ক্লাস শুরু হওয়ার কথা।

ভর্তি বিজ্ঞপ্তি অনুযায়ী, ২০১৯ থেকে ২০২১ সালের মধ্যে যারা এসএসসি পাস করেছে তারা আবেদন করতে পেরেছে। তবে উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের
এসএসসি পাস করা শিক্ষার্থীরা ২২ বছর বয়সেও আবেদন করতে পেরেছে।

যেসব শিক্ষার্থী এসএসসি ও দাখিলের ফল পুনর্নিরীক্ষার আবেদন করেছে তারা ১৫ জানুয়ারির মধ্যে আবেদন করলেও ফল পরিবর্তনকারীরা ২২ ও ২৩ জানুয়ারি পর্যন্ত আবেদন করার সুযোগ পায়। ২৪ জানুয়ারি ছিল পছন্দক্রম পরিবর্তনের সুযোগ।