এডিসি হারুনকে স্থায়ী বরখাস্তের দাবি


DU Correspondent | Published: 2023-09-12 02:25:25 BdST | Updated: 2024-05-18 15:16:58 BdST

ছাত্রলীগের দুই নেতাকে মারধরের ঘটনায় জড়িত এসিডি হারুনকে স্থায়ী বরখাস্তের দাবি জানিয়েছে ছাত্র অধিকার পরিষদ।

সোমবার (১১ সেপ্টেম্বর) বিকেলে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) সন্ত্রাসবিরোধী রাজু ভাস্কর্যের পাদদেশে আয়োজিত এক বিক্ষোভ সমাবেশে এমন দাবি জানান তারা।

পুলিশি নির্যাতন বন্ধের পাশাপাশি ছাত্র অধিকার পরিষদের সভাপতি বিন ইয়ামিন মোল্লাসহ ডিজিটাল সিকিউরিটি আইনে আটক খাদিজাতুল কোবরার মুক্তির দাবিতে ওই বিক্ষোভ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়। এ সময় ছেলের মুক্তির দাবিতে বিন ইয়ামিন মোল্লার বাবা মাওলানা রফিকুল ইসলাম মোল্লা স্ত্রীসহ মানববন্ধনে উপস্থিত ছিলেন।

বিক্ষোভ সমাবেশে বিন ইয়ামিন মোল্লার বাবা বলেন, দেশের আইনশৃঙ্খলার অবনতির কারণে আমার ছেলের জন্য আজকে আমাকে রাজু ভাস্কর্যের সামনে দাঁড়াতে হয়েছে। আমার ছেলেকে অন্যায়ভাবে পুলিশ গ্রেফতার করে কারাগারের অন্ধকার সেলে ২৪ ঘণ্টা তালাবদ্ধ করে রেখেছে। আমার ছেলে তার সহযোদ্ধাদের নিয়ে সাধারণ মানুষের অধিকারের কথা বলে, দেশে আইনের শাসনের কথা বলে, অন্যায়ের বিরুদ্ধে কথা বলে। আমি আমার ছেলের মুক্তির দাবি জানাচ্ছি।

অন্যদের মধ্যে ছাত্র অধিকার পরিষদের কেন্দ্রীয় সংসদের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি তরিকুল ইসলাম বলেন, পুলিশি নির্যাতন এই প্রথম নয়। পুলিশ এর আগেও অনেকবার বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রদের উপর নির্মম হামলা চালায়। নিরাপদ সড়ক আন্দোলনে পুলিশ ছাত্রদের উপর নারকীয় তাণ্ডব চালিয়েছিল। মোদিবিরোধী আন্দোলনে এই ‘ফ্যাসিবাদী’ সরকারের নির্দেশে পুলিশ কীভাবে সাধারণ শিক্ষার্থীদের উপর হামলা করেছিল। সর্বশেষ চাকরির আবেদনের বয়স ৩৫ করার দাবিতে যারা মানববন্ধন করেছিল তাদের উপরও কীভাবে এডিসি হারুন হামলে পড়েছে। গত সাড়ে ১৪ বছর ধরে এই সরকার সকল ছাত্র সংগঠনকে স্তব্ধ করার জন্য সবচেয়ে বেশি যে বাহিনী ব্যবহার করেছে, তা হলো পুলিশ।

ছাত্র অধিকার পরিষদের এই নেতা আরও অভিযোগ করেন, এই এডিসি হারুন ছাত্র অধিকার পরিষদের নেতাদের উপর বর্বর হামলা চালিয়েছিল। মোদিবিরোধী আন্দোলনে ছাত্র অধিকারের পাঁচ নেতাকে রিমান্ডের জন্য শাহবাগ থানায় আনা হয়েছিল। তখন এই এডিসি হারুন তাদের চোখে মরিচ দিয়ে নির্মম নির্যাতন চালায়।

ছাত্রলীগ নেতাদের উপর পুলিশের হামলার নিন্দা জানিয়ে তিনি বলেন, পুলিশের এমন পাশবিক আচরণের তীব্র নিন্দা জানাই। এই ঘটনাটি প্রথম নয়। থানায় নিয়ে গিয়ে টর্চার করে করে হত্যার এমন নজির পুলিশ অনেক দেখিয়েছে। গত ১৪ বছরের যে পরিমাণ বেপরোয়া হয়েছে, অন্য কোনো সরকারের আমলে আমরা তা হতে দেখেনি। পুলিশকে এতবেশি বেপরোয়া আর আগ্রাসী বানালো কে?

এ সময় আওয়ামী লীগ সরকার তাদের মসনদ টিকিয়ে রাখার জন্য পুলিশকে এমন বেপরোয়া এবং আগ্রাসী করেছে বলেও অভিযোগ করেন তিনি।