পণ্যের মত বিক্রি হচ্ছে প্রশ্নপত্র


টাইমস ডেস্ক | Published: 2018-02-05 17:04:02 BdST | Updated: 2024-05-21 00:07:16 BdST

সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে পণ্যের মত বিক্রি হচ্ছে বিভিন্ন পরীক্ষার ফাঁস করা প্রশ্ন। তবে এখনো ধরা-ছোঁয়ার বাইরে এর মূল হোতারা। এদিকে, প্রশ্নফাঁসকারীদের ধরিয়ে দিতে পুরস্কার ঘোষণার সিদ্ধান্ত স্থায়ী সমাধান নয় জানিয়ে শিক্ষাবিদরা বলছেন, ফাঁস রোধে প্রশ্নপত্র প্রণয়ন পদ্ধতির আধুনিকায়ন জরুরি। এছাড়া, বার বার প্রশ্ন ফাঁসের ঘটনা শিক্ষার্থীদের মানসিক চাপ বাড়াচ্ছে বলেও মত তাদের।

এ যেন পণ্য কেনাকাটার অনলাইন শপ। তবে একটিমাত্র পণ্য দিয়েই চলছে কেনাবেচা। পণ্যটি হলো এসএসসি ও সমমানের পরীক্ষার প্রশ্নপত্র। ফেইসবুক, হোয়াটস অ্যাপসহ ইন্টারনেটের বিভিন্ন মাধ্যম ব্যবহার করে দিনের পর দিন এভাবে প্রশ্ন বিক্রির হাট চললেও নির্বিকার প্রশাসন।

এবারের এসএসসি পরীক্ষা শুরুর পর থেকেই ফাঁসকৃত প্রশ্নের সঙ্গে একাধিক পরীক্ষার প্রশ্ন হুবুহু মিলে যাওয়ার পর সমালোচনার ঝড় ওঠে সচেতন মহলে। আর শিক্ষাবিদরা বলছেন, পরীক্ষা শুরুর কয়েকঘণ্টা আগে নয় বরং আরো আগেই ফাঁস হচ্ছে প্রশ্ন। আর তা রোধে প্রয়োজন পরীক্ষার প্রশ্ন প্রণয়ন পদ্ধতির সংস্কার ও আধুনিকায়ন।

অনলাইন মাধ্যম ব্যবহারকারী প্রশ্নফাঁস চক্র আটকের দায়িত্ব আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর ওপর চাপালেন ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্য প্রযুক্তি মন্ত্রণালয়।

এদিকে, একের পর এক প্রশ্ন ফাঁসের ঘটনার প্রভাব পড়েছে কোমলমতি পরীক্ষার্থীদের ওপর। অভিভাবকরা বলছেন, পুনরায় পরীক্ষার নেওয়ার সিদ্ধান্ত ক্ষতিকর প্রভাব পড়বে শিক্ষার্থীদের ওপর।

প্রশ্ন ফাঁসকারীদের কঠোর শাস্তি নিশ্চিতেরও দাবি তাদের। বিষয়টি নিয়ে কয়েকদিন নির্বিকার থাকার পর রোববার পরীক্ষা বাতিলের সিদ্ধান্ত নিতে কমিটি গঠন করে শিক্ষা মন্ত্রণালয়। সূত্র: সময় টিভি।

টিআই/ ০৫ ফেব্রুয়ারি ২০১৮