মালয়েশিয়ার কুয়ালালামপুরে কোরআন শিক্ষার একটি স্কুলে আগুনে পুড়ে ২১ শিক্ষার্থীসহ ২৩ জন নিহত হওয়ার ঘটনায় সম্পৃক্ততার অভিযোগে সাত কিশোর ও যুবককে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
স্থানীয় সময় শনিবার কুয়ালালামপুর পুলিশের প্রধান অমর সিং এ তথ্য জানিয়েছেন।
অমর সিং জানান, আগুন লাগার আগে ১১ থেকে ১৮ বছর বয়সী ওই সাতজন স্কুলের কাছে জড়ো হয়েছিল বলে পাশের একটি ভবনের ক্লোজড সার্কিট টেলিভিশনের (সিসিটিভি) ফুটেজে দেখা গেছে।
গত বৃহস্পতিবার ভোররাতে তিনতলাবিশিষ্ট তাহফিজ বোর্ডিং স্কুল দারুল কোরআন ইত্তিফাকিয়াহতে আগুন ধরে। আগুনে ভবনটির সর্বোচ্চ তলা থেকে ছাত্রাবাসে যাওয়ার একমাত্র পথটি বন্ধ হয়ে যায়। এতে আটকা পড়ে প্রাপ্তবয়স্ক দুজন ও ৬ থেকে ১৭ বছর বয়সী ২১ শিক্ষার্থী নিহত হয়।
শনিবার টেলিভিশনে সম্প্রচারিত একটি সংবাদ সম্মেলনে অমর সিং বলেন, ‘অগ্নিকাণ্ডের কয়েক দিন আগে ভুল বোঝাবুঝির জেরে সন্দেহভাজন ও তাহফিজ শিক্ষার্থীরা পরস্পরকে ব্যঙ্গ করেছিল বলে অনুসন্ধানে জানতে পেরেছি।’
কুয়ালালামপুর পুলিশের প্রধান জানান, গ্রেপ্তার হওয়া সাতজনের মধ্যে ছয়জনের মাদক নেওয়ার রেকর্ড আছে। এ ছাড়া দুজন এর আগে যানবাহন চুরি ও দাঙ্গার কারণে পুলিশ আটক করে।
পুলিশের এই কর্মকর্তা জানান, ধারণা করা হচ্ছে, স্কুল ভবনের সর্বোচ্চ তলায় রান্নার কাজে ব্যবহৃত দুটি গ্যাস ট্যাঙ্ক আনা হয়েছিল। এর মাধ্যমে আগুন ধরিয়ে দেওয়া হয়, যা দ্রুত ছড়িয়ে পড়ে।
জেএস/ ১৭ সেপ্টেম্বর ২০১৭