মুজিববর্ষে চালু হচ্ছে জার্মান ইউনিভার্সিটির ফেলোশিপ


টাইমস ডেস্ক | Published: 2020-08-26 21:54:01 BdST | Updated: 2024-05-17 18:18:01 BdST

মুজিববর্ষ উপলক্ষে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর প্রফেসরিয়াল ফেলোশিপ চালু হতে যাচ্ছে জার্মানির হেইডেলবার্গ ইউনিভার্সিটিতে। বাংলাদেশের প্রফেসরদের কাছ থেকে এ বিষয়ে আবেদন গ্রহণ করবে বিশ্ববিদ্যালয়টি। তাদের থেকে একজনকে ফেলোশিপের জন্য নির্বাচিত করা হবে বলে বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশন (ইউজিসি) থেকে জানা গেছে।

জানতে চাইলে ইউজিসির রিসার্চ সাপোর্ট অ্যান্ড পাবলিকেশন ডিভিশনের পরিচালক মো. ওমর ফারুক বলেন, প্রতিবছরের এপ্রিল থেকে সেপ্টেম্বরের মধ্যে এটা নিয়ে কার্যক্রম পরিচালনা করা হবে। এ বছরেরটি খুব শিগগিরই প্রসেসিং শুরু হবে। হাইডেলবার্গ তাদের মধ্যে তিন থেকে পাঁচজনকে বাছাই করে ইউজিসিতে দেবে। পরে ইউজিসি প্রয়োজনীয় ডকুমেন্ট যাচাই-বাছাই শেষে একজনকে সিলেক্ট করবে।

ইউজিসি জানায়, এ ফেলোশিপের আওতায় বাংলাদেশ থেকে প্রতিবছর একজন প্রফেসরিয়াল ফেলো হাইডেলবার্গ বিশ্ববিদ্যালয়ের দক্ষিণ এশিয়া ইনস্টিটিউটের সেন্টার ফর এশিয়ান অ্যান্ড ট্রান্সকালচারাল স্টাডিজে যোগ দেবেন এবং বিশ্বের বিভিন্ন দেশ থেকে সেখানে পড়তে আসা ছাত্র-ছাত্রীদের মাঝে বাংলাদেশের ইতিহাস, রাজনীতি, সংস্কৃতি, অর্থনীতিসহ বিভিন্ন বিষয়ে জ্ঞান ছড়িয়ে দেবেন। একই সঙ্গে গবেষণা কার্যক্রমে অংশ নেবেন।

তথ্যমতে, ওই ফেলো বঙ্গবন্ধুর অসামান্য নেতৃত্ব, কর্ম ও আদর্শকে শিক্ষার্থীদের সামনে উপস্থাপন করবেন। প্রত্যেক ফেলোশিপ প্রোগ্রামের শেষে সংশ্লিষ্ট প্রফেসরিয়াল ফেলো বাংলাদেশ সরকার ও হাইডেলবার্গ বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের নিকট একটি একাডেমিক প্রতিবেদনও জমা দেবেন। বাংলাদেশ সরকার সংশ্লিষ্ট ফেলোর সম্মানি ভাতা, আবাসন ও স্বাস্থ্য বীমার ব্যয়ভার বহন করবে। হাইডেলবার্গ বিশ্ববিদ্যালয়ের দক্ষিণ এশিয়া ইনস্টিটিউট প্রয়োজনীয় অফিস স্পেস, শিক্ষা উপকরণ, টেলিফোন সুবিধাসহ অন্যান্য দাফতরিক সুবিধা নিশ্চিত করবে।

জানা যায়, ১৯৯৯ সালে হাইডেলবার্গ বিশ্ববিদ্যালয়ের একই ইনস্টিটিউটে ‘বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান প্রফেসরিয়াল ফেলোশিপ’ শীর্ষক বঙ্গবন্ধু চেয়ার স্থাপন করা হয়। পরবর্তী দু'বছর বাংলাদেশ থেকে দু'জন প্রফেসরিয়াল ফেলো উক্ত প্রোগ্রামে অংশগ্রহণ করেন। তারপর এর কার্যক্রম বন্ধ হয়ে যায়। আর এ সময়ে প্রফেসরিয়াল ফেলো নির্বাচন প্রক্রিয়ায় বাংলাদেশ সরকারের পক্ষে বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরী কমিশন দায়িত্বপ্রাপ্ত ছিল।

এদিকে অবসরপ্রাপ্ত অধ্যাপকদের জন্য শিগগিরই চালু হচ্ছে ‘বঙ্গবন্ধু ফেলোশিপ’। জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশত বার্ষিকী উপলক্ষে বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের (ইউজিসি) মাধ্যুমে এই প্রকল্প বাস্তবায়ন করবে সরকার। ইতোমধ্যে এই সংক্রান্ত নীতিমালা তৈরির কাজ শুরু হয়েছে। চলতি মাসে প্রত্যাশীদের কাছ থেকে আবেদন চেয়ে বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হবে।

অন্যদিকে বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি ফেলোশিপ ট্রাস্টের আওতায় প্রতিবছর বিজ্ঞানের বিভিন্ন ক্ষেত্রে দেশে-বিদেশে এমএস, পিএইচডি ও পিএইচডি-উত্তর গবেষণার জন্য ফেলোশিপ দেওয়া হচ্ছে।

ইউজিসির গবেষণা সহায়তা ও প্রকাশনা বিভাগের সদস্য অধ্যাপক ড. মো. সাজ্জাদ হোসেন বলেন, করোনা পরিস্থিতির কারণে যেহেতু বিদেশ পাড়ি দেওয়া জটিল হয়ে দাঁড়িয়েছে। সে কারণে মানসম্মত উচ্চশিক্ষা নিশ্চিত করতে দেশের অভ্যন্তরে বৃত্তির সংখ্যা কিভাবে বাড়ানো যায়, সেই চিন্তাভাবনা করা হচ্ছে। সূত্র: জাগো নিউজ।