করোনা সংকটে নিরলসভাবে কাজ করছেন ছাত্রলীগ নেতা জুবায়ের


Mymensing | Published: 2020-05-17 22:32:42 BdST | Updated: 2024-05-17 08:36:53 BdST

করোনা ভাইরাসের প্রাদুর্ভাবে সৃষ্ট লকডাউন অবস্থায় বিশ্ববিদ্যালয় পড়ুয়া প্রায় সব শিক্ষার্থীরা অবস্থান করছে নিজ নিজ এলাকায়। লকডাউনের কারণে সৃষ্ট সাময়িক সংকট মোকাবিলা করতে তারা কাজ করছে স্ব স্ব অবস্থান থেকে।

ঠিক তেমনই ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের একজন শিক্ষার্থী জুবায়ের আহমেদ। তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের উপ-প্রচার সম্পাদক। এলাকায় যাবার পর থেকেই করোনা প্রতিরোধে কাজ করে চলেছেন নিরলসভাবে।

আক্রান্তের সংখ্যা অল্প ছিল যখন প্রাথমিক সময়ে তখন থেকেই তিনি নিজ এলাকায় জনসচেতনতা তৈরি করতে নিয়মিত মাইকিং করেন।এলাকাবাসীকে সচেতন করতে নানা উপদেশমূলক কথা জানান তাদের। স্থানীয় বাজারের দোকানগুলোতে সামাজিক দুরত্ব বজায় রেখে মালামাল বিক্রি করতে ব্যবস্থা গ্রহণ করেন।

এলাকায় করোনা আক্রান্ত রোগী শনাক্ত হবার পর পুরো এলাকার স্বার্থে এলাকাবাসীকে নিয়ে লকডাউন করেন।লকডাউনে যেন কোনো অসুস্থ রোগী,বয়স্ক পথিক কিংবা শারীরিকভাবে অক্ষমদের অসুবিধা মা হয়,সেজন্য করা হয় জরুরী ফোন সার্ভিস সেবা। করোনা ভাইরাস থেকে বাঁচতে নিয়মিত হাত ধোয়ার জন্য মোড়ে মোড়ে পানির কল এবং সাবানের ব্যবস্থা করে দেন। লকডাউনের শ্রমিক সংকটে স্থানীয় ছাত্রলীগের নেতাকর্মীদের সাথে নিয়ে কয়েকজন কৃষকের ধান কেটে পৌঁছে দেন কৃষকের উঠোনে।

এসব ছাড়াও নানান সময় গরীব অসহায় পরিবারকে সহায়তা করেন জুবায়ের আহমেদ। এলাকায় গরীবদেরকে তাৎক্ষণিকভাবে সহায়তা করার জন্য গড়ে তুলেন 'জরুরী ত্রাণ তহবিল'।তার এই জরুরী ত্রাণ তহবিল থেকে এ পর্যন্ত অসংখ্য পরিবারের জন্য খাদ্য সামগ্রী উপহার দেওয়া হয়েছে।

জরুরী ত্রাণ তহবিল সম্পর্কে জুবায়ের আহমেদ বলেন," আমার কিছু টিওশনির কিছু জমানো টাকা ছিল।ওটা দিয়েই শুরুটা করেছিলাম। পরবর্তীতে স্থানীয় অনেক ধনাঢ্য ব্যক্তিবর্গ,রাজনৈতিক নেতা,বিশিষ্ট ব্যবসায়ীসহ নানাপেশার পরিচিত মানুষজনের সহায়তায় গরীব-দুঃখীদের জন্য খাদ্য-সামগ্রী উপহার পাঠাতে পেরেছি এবং এটা চলমান রয়েছে। "

এছাড়াও রাতের আঁধারে নিজ এলাকায় গরীব মানুষের দোরগোড়ায় ঘুরে ঘুরে খোঁজ নেন এই ছাত্রনেতা।প্রয়োজন অনুযায়ী সাধ্যের মধ্যে কিছু নগদ অর্থ প্রদান করা হয় তার ফান্ড থেকে।এ পর্যন্ত অসংখ্য পরিবারের কাছে খাদ্য সামগ্রী পৌঁছে দেন এই ছাত্রনেতা।

এর পাশাপাশি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়েরও অসংখ্য শিক্ষার্থীকে সহায়তা পাওয়ার ব্যবস্থা করে দেন জুবায়ের আহমেদ। এসব কার্যক্রমের জন্য তিনি ইতোমধ্যে নিজ এলাকায় ব্যাপক প্রশংসিত হয়েছেন।

যতদিন এই করোনা মহামারী থাকবে ততদিন তাঁর কার্যক্রম অব্যাহত রাখবেন বলে জানান তিনি।