প্রয়াত ছাত্রলীগ কর্মীর পরিবারের পাশে ছাত্রলীগের ইসতিয়াক


Dhaka | Published: 2020-05-21 04:15:30 BdST | Updated: 2024-05-17 10:09:58 BdST

ঢাকা কলেজের শিক্ষার্থী ছিলেন শাহপরান। পড়াশোনার পাশাপাশি যুক্ত ছিলেন রাজনৈতিক সংগঠন ছাত্রলীগেও। জয় বাংলা-জয় বঙ্গবন্ধু স্লোগানে এক সময় দাপিয়ে বেড়িয়েছিলেন ঢাকা কলেজ চত্বর। একমাত্র সন্তান ছিলেন শাহপরান। বাবাকে হারিয়েছিলেন প্রায় ৬-৭ বছর আগেই। তারপর ২০১৮ সালের ২৪ নভেম্বর খুব অল্প বয়সেই টগবগে তরুণ শাহপরানকে বিদায় নিতে হয়েছিল পৃথিবী থেকে পরপারে। একমাত্র সন্তান শাহপরান এর মা এখনো পুত্রশোকে মূর্ছা যাওয়ার মত অবস্থা। করোনা মহামারিতে স্বামীহারা, ছেলেহারা শাহপরান এর মা কষ্টে দিনাতিপাত করে যাচ্ছিল।

তাদের পাশে আর্থিক সহায়তা এবং প্রায় ২০-২৫ দিনের খাবারের ব্যবস্থা করে পাশে দাঁড়ান ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের অর্থ বিষয়ক উপসম্পাদক ইসতিয়াক আহমেদ হৃদয়। চাল, ডাল, চিনি, লবণ, তেল, সাবান, আলু, পেয়াজ, আটা, ডিম, বিস্কুট, মুড়ি, সেমাই, মসলা সহ যাবতীয় নিত্যসদাই পাঠিয়ে দেন রাবি ছাত্রলীগ কর্মী মীর হামজা, আলাউদ্দিন এর মাধ্যমে।

ঢাবি ছাত্রলীগের ইসতিয়াক জানান, "বঙ্গবন্ধু সারাজীবন মানুষের কল্যাণে কাজ করে গেছেন, মানুষের পাশে ছিলেন। তাঁর আদর্শ বুকে এবং মনে ধারণ করতেই ছাত্রলীগের একজন হিসেবে আরেকজন ছাত্রলীগের ভাইয়ের পাশে দাঁড়ানোর প্রয়াস। করোনা মহামারি যতদিন থাকবে ততদিন আমার এ চেষ্টা অব্যাহত থাকবে"।

শাহপরানের মা আবেগাপ্লুত হয়ে স্টুডেন্ট জার্নালকে জানান, " স্বামী হারাইছি আরো ৬-৭ বছর আগেই।আমার একমাত্র সম্বল ছিল শাহপরান। পড়ালেখা করবে, চাকরি করবে এটাই আমার স্বপ্ন ছিল। আমার বুক খালি করে আল্লাহ আমার ছেলেকে তার কাছে নিয়ে গেছে। আপনারাই আমার ছেলেমেয়ে। আপনারা আমার খোঁজ খবর নিতেছেন, বাজার করে দিতেছেন। আমার শাহপরান এর জন্য দোয়া করবেন"।

উল্লেখ্য, ইসতিয়াক এ পর্যন্ত দেশের বিভিন্ন প্রান্তে ১৩৫ টি পরিবারের মাঝে আর্থিক সহায়তা এবং নিত্য সদাই পৌঁছে দিয়েছেন। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে প্রায় ৩০০-৪০০ অবলা কুকুর, বিড়াল প্রাণীকেও কয়েকজন ভলান্টিয়ার নিয়ে নিয়মিত খাবারের যোগান দিয়ে আসছেন। ছাত্রলীগের পাশাপাশি তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় গবেষণা সংসদ(DURS) এর সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্ব পালন করছেন।