ছাত্রলীগের ‘আমাদের স্বাধীনতা শব্দটি’ বইয়ের মোড়ক উন্মোচন


Dhaka | Published: 2020-09-30 02:52:25 BdST | Updated: 2024-05-11 11:08:13 BdST

জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকী উপলক্ষে বঙ্গবন্ধুর ৭ই মার্চের ভাষণ তাৎপর্য অনুসন্ধান শীর্ষক বাংলাদেশ ছাত্রলীগের প্রকাশনা ‘আমাদের স্বাধীনতা শব্দটি’ বইয়ের মোড়ক উন্মোচন করা হয়েছে।

মঙ্গলবার (২৯ সেপ্টেম্বর) ২৩ বঙ্গবন্ধু এভিনিউ সংগঠনের দলীয় কার্যালয়ে ছাত্রলীগ সভাপতি আল-নাহিয়ান খান জয়ের সভাপতিত্বে উক্ত অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য আব্দুর রহমান ও বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক বি এম মোজাম্মেল হক। এছাড়া উক্ত অনুষ্ঠান সঞ্চালনায় ছিলেন ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক লেখক ভট্টাচার্য।

বইটি উৎসর্গ করা হয়েছে বঙ্গবন্ধু কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ৭৪তম শুভ জন্মদিনের মাহাত্ম্যের প্রতি। যে দিনটি ৭৫ পরবর্তী বাংলাদেশের রাজনীতিতে জনগণের ভোট ও ভাতের অধিকার পুনঃপ্রতিষ্ঠায় ঐতিহাসিকভাবে তাৎপর্যপূর্ণ হয়ে উঠেছে।

বইটির উপদেষ্টা হিসেবে ছিলেন ছাত্রলীগ সভাপতি আল-নাহিয়ান খান জয় ও সাধারণ সম্পাদক লেখক ভট্টাচার্য এবং সম্পাদক হিসেবে ছিলেন ছাত্রলীগের প্রশিক্ষণ বিষয়ক সম্পাদক হায়দার মোহাম্মদ জিতু।

ছাত্রলীগ সভাপতি আল-নাহিয়ান খান জয় বলেন, ‘জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ঐতিহাসিক ৭ই মার্চের ভাষণ ইতিহাসের গুরুত্বপূর্ণ দলিল। এবারের সংগ্রাম আমাদের মুক্তির সংগ্রাম, এবারের সংগ্রাম আমাদের স্বাধীনতার সংগ্রাম’ বঙ্গবন্ধুর এই তেজদীপ্ত ঘোষণাই ছিল প্রকৃতপক্ষে আমাদের স্বাধীনতার ভিত্তি। বজ্রকণ্ঠে ঘোষণা করেছিলেন স্বাধীনতা আর মুক্তি সংগ্রামের সূচনার।’

তিনি আরো বলেন, ‘যখনই প্রজন্মের পর প্রজন্ম এই ঐতিহাসিক ভাষণটি শ্রবণ করেন, তখনই তাদের মানসপটে ভেসে ওঠে স্বাধীনতার গৌরবগাথা আন্দোলন-সংগ্রামের মুহূর্তগুলো, আত্মপ্রত্যয়ী হয়ে ওঠে দেশপ্রেমের আদর্শে। বর্তমান নতুন প্রজন্মের কাছে এই ভাষণ প্রেরণার উৎস। যতদিন যাবে নতুন প্রজন্মের কাছে ৭ই মার্চের ভাষণ অনুপ্রেরণার সারথি হিসেবে কাজ করবে।’

ছাত্রলীগ সাধারণ সম্পাদক লেখক ভট্টাচার্য বলেন, ‘১৯৭১ সালের ৭ই মার্চ স্বাধীনতার মহান স্থপতি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান তৎকালীন পাকিস্তানী শাসকগোষ্ঠীর রক্তচক্ষু উপেক্ষা করে অসীম সাহসিকতার সাথে রেসকোর্স ময়দানে লাখো জনতার উদ্দেশে বজ্রকণ্ঠে যে ঐতিহাসিক ভাষণ প্রদান করেন তা ছিল মূলত বাঙালি জাতির মুক্তির সনদ। ঐতিহাসিক ৭ই মার্চের ভাষণ শুধু ১৯৭১ সালে বাঙালি জাতিকেই অনুপ্রাণিত করেছিল তা নয়, বরং এই ভাষণ যুগে যুগে বিশ্বের সকল অবহেলিত, বঞ্চিত ও স্বাধীনতাকামী জাতি-গোষ্ঠীকে অনুপ্রেরণা যোগাতে থাকবে।’

তিনি আরো বলেন, ‘বঙ্গবন্ধুর ঐতিহাসিক ৭ই মার্চের ভাষণ সব ধরনের অন্যায়-অবিচারের বিরুদ্ধে বজ্রতুল্য ঘোষণা। যা কেবল একাত্তরেই নয়, বর্তমান সময়েও আমাদের প্রাণিত ও উজ্জীবিত করে চলেছে। বঙ্গবন্ধু আমাদের এগিয়ে যাওয়ার পথ দেখিয়ে গেছেন- তার দেখানো পথেই আমরা গড়ে তুলবো ‘সোনার বাংলা’।’

এছাড়া উক্ত অনুষ্ঠানে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের সভাপতি সনজিত চন্দ্র দাস ও সাধারণ সম্পাদক সাদ্দাম হোসেন সহ ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দ ও সংগঠনের বিভিন্ন স্তরের নেতাকর্মী উপস্থিত ছিলেন।