'ধর্ষকদের চামড়া দিয়ে ডুগডুগি বাজিয়ে আমরা তাদের শাস্তি নিশ্চিত করবো'


Dhaka | Published: 2020-10-10 06:46:22 BdST | Updated: 2024-05-03 13:04:30 BdST

ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক লেখক ভট্টাচার্য বলেন, “সারা দেশে ধর্ষণের মহাযজ্ঞ শুরু হয়েছে। মানুষের মাঝ থেকে নীতি-নৈতিকতা উঠে গেছে। সারা দেশে ধর্ষকদের গ্রেপ্তার করা হচ্ছে, বিচার হচ্ছে। কিন্তু ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী ধর্ষণের বিচার হচ্ছে না। নুরু গংরা ধর্ষণের ইস্যু নিয়ে দেশে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করছে। তারা ধর্ষণবিরোধী আন্দোলনকে সরকারবিরোধী আন্দোলনে রূপ দিতে চায়। সরকার নিয়ে কেন আপনাদের এত সমস্যা? সবাইকেই তো গ্রেপ্তার করা হয়েছে। শুধু নুরু গংরাই গ্রেপ্তার হয়নি।

শুক্রবার বিকেলে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের টিএসসির সন্ত্রাসবিরোধী রাজু ভাস্কর্যের পাদ দেশে ধর্ষকদের গ্রেপ্তার ও নারীর প্রতি সহিংসতার স্থায়ী অবসানের দাবিতে আয়োজিত বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশে তিনি এসব কথা বলেন। 

লেখক বলেন "তারা ধর্ষকদের শ্রেণিভুক্ত করতে চায়। ধর্ষকর তো কোনো দল নাই। কেন কিছু হলেই ছাত্রলীগের প্রতি অভিযোগ আসে? নুর-মামুন কি ছাত্রলীগ করে? সাভারের ঘটনার হত্যাকারীরা কি ছাত্রলীগ করে? ফেনীতে এক নারীকে বিবস্ত্র করে সোশ্যাল মিডিয়ায় তার ভিডিও ছড়িয়ে দেওয়া হয়েছে, তারা কি ছাত্রলীগ করে? তাহলে কেন ছাত্রলীগের প্রতি আপনাদের টার্গেট? বাংলাদেশ ছাত্রলীগ ধর্ষকের পক্ষে অবস্থান করেনি। বাংলাদেশ ছাত্রলীগ গলা উঁচু করে আমাদের বোন ফাতেমার পাশে এসে দাঁড়িয়েছি। বাংলাদেশ ছাত্রলীগ প্রত্যেকটি ধর্ষণের বিচার নিশ্চিতের দাবি জানিয়েছে।”

নুর-রাশেদের প্রতি ঈঙ্গিত করে লেখক ভট্টাচার্য বলেন, তারা এই(ধর্ষণবিরোধী) আন্দোলনকে ভিন্ন খাতে প্রবাহিত করতে চায়, সরকারবিরোধী আন্দোলনে রুপ দিতে চায়। কেন সরকার নিয়ে আপনাদের কী সমস্যা? সবাইকেই তো গ্রেফতার করা হয়েছে শুধু মাত্র তাদের এজেন্ডা বাহিনী ছাড়া। তাদের গ্রেফতার করুন। তাহলে সব ধর্ষক ভয় পাবে। যে বাবা তার মেয়েকে ধর্ষণ করেছে সেখানে নৈতিক স্খলন ছাড়া আর কোনো কারণ আছে?

তিনি নেতাকর্মীদের উদ্দেশে বলেন, আপনার আওতার মধ্যে যদি কোন মা-বোনকে ধর্ষণ করা হয়, শ্লীলতাহানি বা ইভটিজিং করা হয়, সাথে সাথে তার বিরুদ্ধে প্রতিরোধ গড়ে তুলুন। ধর্ষকদের চামড়া দিয়ে ডুগডুগি বাজিয়ে আমরা তাদের শাস্তি নিশ্চিত করবো।

আল নাহিয়ান খান জয় বলেন, “আজকে অসাম্প্রদায়িক বাংলাদেশে সাম্প্রদায়িক শক্তি মাথাচাড়া দিয়ে উঠেছে। ধর্ষণবিরোধী আন্দোলনের নামে সাম্প্রদায়িক শক্তি দেশকে অস্থিতিশীল করার পাঁয়তারা করছে। আজকে ধর্ষকদের কারা উসকে দেয়, এটা ভাববার বিষয়। কিছু হলেই ছাত্রলীগকে কলুষিত করা হয়। আপনারা সচেতন থাকবেন, কেউ যাতে ছাত্রলীগের কাঁধে ভর করে অন্যায় কাজ করতে না পারে। আপনারা সোচ্চার থাকবেন, যেখানেই বাংলাদেশকে অস্থিতিশীল করতে চাইবে কেউ তাদেরকে আপনারা কঠোর হস্তে দমন করবেন।

সমাবেশে অন্যদের মধ্যে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক সাদ্দাম হোসেন, ঢাকা মহানগর দক্ষিণের সভাপতি মেহেদি হাসান, সাধারণ সম্পাদক জুবায়ের আহমেদ, ঢাকা মহানগর উত্তরের সভাপতি সাইদুর রহমান হৃদয়, সাধারণ সম্পাদক ইব্রাহিম হোসেন প্রমুখ বক্তব্য দেন।